অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
জয়ের পর ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে কৃষ্ণনগর থেকে দিল্লির সংসদ ভবনে ফিরতে পেরে। মানুষের ভোটে বিজেপির ঔদ্ধত্যের পতন ঘটেছে।’
ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৬৪ হাজার ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে জয়ী হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু, গত ডিসেম্বর মাসে সংসদ ভবন থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তাই কৃষ্ণনগর ছিল মর্যাদার লড়াই। সেই লড়াইয়ে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন মহুয়া। একদিকে যেমন তৃণমূলের গড় অক্ষুণ্ণ রেখেছেন, তেমনই ব্যক্তিগত লড়াইয়েও সফল হয়েছেন। যদিও এই লড়াইয়ে তৃণমূলেরই অনেক নেতা পাশে ছিলেন না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পরিসংখ্যানই সেকথা বলছে। কিছু বিধানসভা থেকে প্রত্যাশামতো লিড আসেনি।
বিজেপির কাছেও কৃষ্ণনগর লোকসভা প্রেস্টিজ ফাইটের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রার্থী করা হয়েছিল রাজবাড়ির সদস্যা অমৃতা রায়কে। যার জন্যই নির্বাচনের প্রাক্কালে বেনজিরভাবে একই কেন্দ্রে দু’বার ‘ভ্রমণে’ এসেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির আগমনে কৃষ্ণনগর লোকসভায় আশার আলো দেখেছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু, মঙ্গলবার দিনের আলো ফুটতেই সেই আশার আলো নিভে যায় বিজেপির। কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভায় প্রত্যাশার পাহাড় তুলেও গতবারের লিড অতিক্রম করতে পারেনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি তেহট্টতেও বিজেপির জয়যাত্রা দশ হাজারের আগেই থমকে গিয়েছে। সিপিএম ভোট কাটলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এই কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৭১১ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬২৮ ভোট। সিপিএম পেয়েছে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৩ ভোট।
বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় বলেন, ‘যেটা মানুষের রায় সেটাই মানতে হবে। আমি অরাজনৈতিক মানুষ। দল আমাকে যেভাবে চালিয়েছে, আমি সেভাবে চলেছি।’ নিজস্ব চিত্র