অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে দু’টি লোকসভা আসন— ইনার মণিপুর ও আউটার মণিপুর। ইনার মণিপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী থৌনাওজাম বসন্তকুমারকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী আঙ্গোমছা বিমল আকোইজাম। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আঙ্গোমছা মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। আর আউটার মণিপুর কেন্দ্রে নাগা পিপলস ফ্রন্টের কাছুই টিমোথি জিমিকেরকে পরাস্ত করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী অ্যালফ্রেড কানঙ্গম এস আর্থার।
‘ইন্ডিয়ান রাইনো’ নামে পরিচিত মণিপুরের চুংরেং কোরেন। তিনি এমএমএ ফাইটার। পদক জয়ের পর কান্নাভেজা গলায় বলেছিলেন, ‘মোদিজি দয়া করে একবার মণিপুরে যান। মণিপুরবাসী বেঘোরে মারা পড়ছেন।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। কিন্তু তা প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছয়নি। মঙ্গলবার সেই স্মৃতিই রোমন্থন করছিলেন রাজ্যের একাধিক বুদ্ধিজীবী। কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয়কারী সংগঠন ‘কোকোমি’র উপদেষ্টা অথৌবা খুরাইজাম ‘বর্তমান’কে বলেন, ‘এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণ অ-বিজেপি প্রার্থীদের বেছে নিয়েছেন।’ শুধু মণিপুরই নয়, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে হাত শিবির। নাগাল্যান্ডের একটি আসনে কংগ্রেসের এস এস জামির জয়ী হয়েছেন। মেঘালয়ে ভিপিপি (ভয়েস অব পিপলস পার্টি) প্রার্থী রিকি সিংকোন শিলং লোকসভা থেকে জয়ী হন। অপর আসন তুরা থেকে কংগ্রেসের সালেং এ সাংমা জয়লাভ করেছেন। অগথা কে সাংমাকে পরাস্ত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, অগথা কে সাংমা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমার বোন।
অন্যদিকে, অসমের ১৪ টি আসনের মধ্যে ন’টি আসনে বিজেপি এবং তিনটি কেন্দ্রে কংগ্রেস জয় পেয়েছে। অসম গণপরিষদ ও ইউপিপিএল একটি করে আসন পেয়েছে। এরাজ্যে উল্লেখযোগ্য জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ, বিজেপির সর্বানন্দ সোনেওয়াল। অসমে আসনের নিরিখে পদ্ম শিবিরের তুলনায় হাত শিবির বেশখানিকটা পিছিয়ে থাকলেও ভোট ভাগাভাগির নিরিখে চমকপ্রদ ফল করেছে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ৩৭.৫২ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭.৪২ শতাংশ ভোট।