Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন। যাঁদের প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকেই কিন্তু মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত। নজর করার মতো বিষয় হল, তিনটি কাজ অনেক দূরের গ্রহ, অনেকে একটি কাজের কথা বলতে গিয়েই হোঁচট খাচ্ছেন। এক উত্তরদাতার সঙ্গে কথোপকথন...
—প্রথমেই বলতে হবে, মোদিজি আমাদের দেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গিয়েছেন। জি-২০ করেছেন।
—আপনার উপকার হয়েছে এমন...।
—বলছি, বলছি... রামমন্দির।
—রামমন্দিরে সরাসরি আপনার উপকার হয়েছে?
—না, তা হলেও। ৫৫০ বছরের ডিসপুট মিটিয়েছেন মোদিজি। 
—তাহলে সেটাকেই আম জনতার রোজকার কাজে লাগার মতো বিষয় ধরতে পারি?
—না, তা নয়। আচ্ছা তিন তালাক!
—আপনি মুসলিম?
—না। 
—তাহলে তিন তালাক রদ আপনাকে কীভাবে সাহায্য করল?
—ঠিক আছে, ঠিক আছে। তাহলে কাশ্মীরে ৩৭০। 
—সে কী, আপনি তো থাকেন কোচবিহারে। কাশ্মীরে ৩৭০ খারিজ হওয়ায় আপনার কী লাভ হল?
—জয় শ্রী রাম।
ইন্টারভিউ শেষ। এই ছবি কিন্তু দেশের সর্বত্র। নরেন্দ্র মোদির ক্যারিশমা নিয়ে বহু মানুষই উদ্বাহু হতে পারেন, তাঁর জমানায় সাধারণ মানুষের সরাসরি কী উপকার হয়েছে, সেই উত্তর খুঁজতে ভক্তকুলও মাথা কুটছে। আগামী শুক্রবার উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোট। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। আর তার প্রাক-মুহূর্তে আম ভোটারের মনে জেগে ওঠা অকাট্য প্রশ্নটা হল, কোন কোন প্রতিশ্রুতি এই পাঁচ বছরে পূরণ হয়েছে? ২০১৯ এবং ২০২১ সালের ভোটে উত্তরবঙ্গের এই জেলাগুলিতেই পায়ের তলার জমি শক্ত করেছিল বিজেপি। ফলে মোদি ব্রিগেডের পক্ষ থেকে যে যে প্রতিশ্রুতি উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য থালায় সাজিয়ে এসেছিল, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েই তো প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। দুর্গাপুজোয় ভোগের দায়িত্ব যাঁকে দেওয়া হয়েছে, রান্না খারাপ হলে পাড়ার লোক তো তাঁকেই ধরবে। পাশের পাড়ার রাঁধুনিকে নিশ্চয়ই নয়। পাঁচ বছর ধরে ‘আস্থা’ রাখার পর কয়েকটি অমৃত ভারত স্টেশন ছাড়া উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কিছুই জোটেনি। গোর্খাল্যান্ড? হয়নি এবং অদূর ভবিষ্যতে হওয়ার মতো কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তা যে দলই সরকারে আসুক না কেন। চা-বাগানের স্বার্থ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমির পাট্টার ব্যবস্থা করেছেন, চা-সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে মাথার উপর ছাদের উদ্যোগ নিয়েছেন, শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি সুনিশ্চিত করেছেন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই পাঁচ বছরে চা-বাগানের জন্য কী করেছে? আলিপুরদুয়ারের ভোটভাগ্য কিন্তু এই ‘নজরকাড়া’ প্রশ্নের উপর অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে। আর এখানেই পেনিট্রেট করার চেষ্টায় আছে সঙ্ঘ। আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই এই কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাবনা পাকাপোক্ত করার জন্য সমাজের একেবারে নিচুতলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উনিশের নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই এই কাজটা চালিয়েছিল সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা। সেটা অবশ্য এখন সব জেলায় হচ্ছে না। বাছাই করা কিছু কেন্দ্রের জন্য তুলে রাখা হয়েছে। কেন? প্রার্থী নিয়ে মন কষাকষি? বঙ্গ বিজেপির বিশেষ কোনও নেতার প্রতি অ্যালার্জি? উত্তর স্পষ্ট নয়। তবে আলিপুরদুয়ারে তলায় তলায় কাজটা চালিয়ে যাচ্ছে সঙ্ঘ। কারণ, এখানকার বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। গেরুয়া শিবিরের একের পর এক প্রতিশ্রুতি এই জেলাতেও ফেল করেছে। গতবারের এমপি জন বারলা বিক্ষুব্ধ। মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে তিনি প্রথম থেকেই তোপ দেগে গিয়েছেন। চা-বাগানের সংগঠনের অন্দরেও তাঁর ভালোরকম প্রভাব। তার উপর ভোটের ময়দানে প্রবল খাটছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইকও। ঠিক যেখানে যেখানে মোদির গ্যারান্টির ফাঁক রয়েছে, সেই জায়গাগুলোই ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তিনি। তার উপর গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই জেলায় গেরুয়া সংগঠনের অনেকটাই তাঁর হাত ধরে তৈরি। ফলে গঙ্গাপ্রসাদের দল ছেড়ে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে বিজেপির জন্য বড় লোকসান। কোথায় কোথায় হাতুড়ি মারলে কাজ হবে, সেটা তিনি বিলক্ষণ জানেন। আপাতত সেটাই করে চলেছেন গঙ্গাপ্রসাদ। এই সব সমীকরণের প্রভাব যাতে ইভিএমে না পড়ে, তার জন্য ড্যামেজ কন্ট্রোলের খুব প্রয়োজন ছিল। সেই চেষ্টাটাই করছে আরএসএস। চা-বাগানের ইউনিয়নকে তারা বুঝিয়েছে, এবার ভোটটা উতরে দাও। সরকারে এলে তোমাদের দাবিদাওয়া বুঝে নেব। কী সেই দাবি? চা-বাগানের লভ্যাংশ। অধিকার। কিন্তু তাতেও কি বিজেপির পক্ষে পরিস্থিতি খুব অনুকূল হয়েছে? তেমনটাও বলা যাচ্ছে না। তার সবচেয়ে বড় কারণ, বিজেপির কাছে নতুন করে দেওয়ার মতো আর কোনও প্রতিশ্রুতিও নেই। আর এটা শুধু আলিপুরদুয়ার নয়, সমস্যা কোচবিহারেরও। এই কেন্দ্রের এমপি নিজেই আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে কতগুলো অভিযোগ রয়েছে, সেটা ভোটের বাজারে অপ্রাসঙ্গিক। সে তো আগেরবারও ছিল। তারপরও নিশীথ প্রামাণিক জিতেছেন। স্রেফ বিজেপি হাওয়ায়। এবারও তেমন একটা হাওয়া-টাওয়া তোলার চেষ্টা চলছে। কারণ বিজেপির অন্দরমহল জানে, নিশীথের উপর ক্ষোভ রয়েছে এলাকার মানুষের। একে তো পাঁচ বছরে ক’দিন তাঁকে সাধারণ মানুষ চোখের সামনে পেয়েছে, তা এক তালুর করেই গুনে বের করা যায়। সেটাও মেনে নেওয়া যেত। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হিল্লি-দিল্লি করতেই পারেন। কিন্তু যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়ে দিল্লি পাঠিয়েছেন, তাঁদের কি কিছুই প্রাপ্য নেই জনপ্রতিনিধির কাছে? যদিও বা চোখের দেখা মিলল, কাছে ঘেঁষাই দায়। সব সময় খান আষ্টেক ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো ঘিরে রেখেছে তাঁকে। চেষ্টা করলে শাহরুখ খানের সঙ্গেও হাত মেলানো যায়। কিন্তু কোচবিহারের এমপি? ভাবতেই ভয়। উপরন্তু আবার বিস্তর চটেছেন অনন্ত মহারাজ। বিজেপি তাঁকে জামাই আদর করে রাজ্যসভায় নিয়ে গিয়েছে। টার্গেট ছিল, লোকসভা ভোটে রাজবংশী সমর্থন সবটা গেরুয়া শিবিরে আসবে। পদ্মপার্টির পাতায় পা রেখেই অনন্ত মহারাজ বুঝেছেন, এ মোটেই সহজ ঠাঁই নয়। পা হড়কে যাবেই যাবে। প্রতিশ্রুতি যা শোনা গিয়েছিল, তার সবটাই কথায় কথায়। কাগজে-কলমে কোনওটাই আসবে না। রাজবংশীদের জন্য আশ্বাস। বাস্তবায়িত হচ্ছে না। পৃথক রাজ্যের স্বপ্নও ধোঁয়া ধোঁয়া। ফলে অনন্ত মহারাজের ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। সেটাই হচ্ছে। এখানেই ছাড়া সুতোটা গুটাতে শুরু করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উদয়ন গুহ। রবিবাবু বেশ কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের সংগঠনটা কোচবিহার জেলায় ধরে রেখেছেন। আসন হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তারপরও হাল ছাড়েননি তিনি। শুধু অপেক্ষা করে গিয়েছেন। উদয়ন গুহ আবার একটু স্টেপ আউট করে খেলতে পছন্দ করেন। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে ঠোকাঠুকি করেই তাঁর দিন গুজরান। কিন্তু সেটা যতটা কথায় কথায় হয়, ততই ভালো। হাত-পা চলাটা কোচবিহারবাসী পছন্দ করেন না। সেটা তাই উদয়নবাবুকে খানিক মাথায় রাখতে হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে কোচবিহার আসনটা বেশ আকর্ষক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। দু’পক্ষই মনে করছে, জেতাটা সময়ের অপেক্ষা। একটা ব্যাপার নিশ্চিত, দিনহাটা সহ দু’-তিনটি পুর এলাকা শেষ মুহূর্তে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যেই দিল্লি শিবিরের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূলও চেষ্টা চালাচ্ছে যাবতীয় ‘ড্যামেজ’ আটকানোর। এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের প্রধান সুবিধার জায়গাটা হল স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লাগাতার কোচবিহারে সভা ও পদযাত্রা করে চলেছেন। বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিজেপির অপশাসন, চা-বাগানের মানুষের জন্য জমির পাট্টার প্রসঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিণত রাজনীতিক। তিনি জানেন, একটি বিষয় মানুষকে বিশ্বাস করাতে গেলে বারবার বলে যেতে হবে। মানুষের মনে সেই ইস্যু দিয়ে আঘাত করতে হবে। আর সেটাই তিনি করছেন। জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে প্রত্যেক পদক্ষেপে পাশে রাখছেন তিনি। বোঝাচ্ছেন, বসুনিয়াকে ভোট দেওয়া মানে তাঁকেই দেওয়া। জগদীশবাবুর ইমেজও এলাকায় বেশ ভালো। ফলে ভোটারদের মনে সেটা রীতিমতো পজিটিভ প্রভাব ফেলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে হয়তো ডার্ক হর্স হিসেবেই নেমেছেন তিনি। কিন্তু ফারাকটা ঘুচিয়ে দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দলের কর্মীদের তো বটেই, নিজেকেও মমতা বলে দিয়েছেন... এই তিনটি আসনই তাঁর চাই।
তৃতীয় আসন, অর্থাৎ জলপাইগুড়ি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, জয়ন্ত রায়কে এবার আর প্রার্থী করছে না বিজেপি। কারণ, দলের অন্দরের ক্ষোভ। বঙ্গ বিজেপির বেশ কয়েকটি অংশ থেকে জয়ন্তবাবুকে প্রার্থী করা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁর নামেই সিলমোহর দিয়েছেন দিল্লির নেতৃত্ব। ফলে প্রচার ও কর্মী-সমর্থনের নিরিখে প্রথমেই মাইনাস থেকে শুরু করতে হয়েছে তাঁকে। উল্টোদিকে তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ ভালো ক্যান্ডিডেট। সমাজে ইমেজ তাঁরও পরিষ্কার। ফলে এখানেও অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল। আর একটা ফ্যাক্টর এই জেলায় কাজ করছে। সেটা হল, বাম ভোট। বহু বছর পর বামফ্রন্টকে এই জেলায় অন্তত কিছুটা আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে। যদি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের বেশ খানিকটা তারা ফিরিয়ে আনতে পারে, সেটা বড় ড্যামেজ করবে বিজেপির। কারণ, সেক্ষেত্রে ভোট কাটাকাটিতে এগিয়ে যাবে তৃণমূল। তবে হ্যাঁ, বাম-কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক এবার অন্য দুটো জেলাতেও নজরে থাকবে। বামের ভোট রামে—এই তত্ত্ব শেষ দু’টি বড় ভোটের পর ফিকে হতে শুরু করেছে। সেটা যেমন তৃণমূলের কাছে আশার, নরেন্দ্র মোদির কাছে আশঙ্কার। তাই তিনিও আসছেন উত্তরবঙ্গে। সভা করছেন। কিন্তু সন্দেশখালি বা সিএএ ছাড়া প্রচারের ইস্যু পাচ্ছেন না। কারণ ওই এক... বলার কিছু নেই। বিজেপিও তাই উত্তরবঙ্গ জুড়ে তলায় তলায় এখন প্রচারে নেমেছে, ‘এটা তো মোদির ভোট। বড় ভোট।’ অর্থাৎ, দিল্লির ভোট মোদিকে দাও। রাজ্যের ভোট দিদিকে। আপাতত তো লোকসভাটা উতরে নেওয়া যাক! বিধানসভার কথা পরে ভাবা যাবে। 
মাস পয়লা পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরও কিন্তু এখন বিজেপির শিয়রে সংক্রান্তি। তারা জানে, উত্তরে ফল বিগড়ে গেলে দক্ষিণেও বড় ধস নামবে। ডাবল ইঞ্জিন হয়নি, সেক্ষেত্রে ডাবল ডিজিট হওয়াও মুশকিল হয়ে যাবে। সিএএ পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। যতটুকু চার্জ দিচ্ছে, রামমন্দির। কিন্তু সে দিয়ে তো আর ২১টা বিধানসভাকে কাবু করা যাবে না! তাই শেষ লগ্নের মরিয়া প্রচার চলছে, তৃণমূল জিতলে সব ক্ষীর কলকাতা খেয়ে নেবে। উত্তরবঙ্গের জন্য কিছু থাকবে না। সত্যিই কি তাই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিন্তু বলার জন্য জমির পাট্টা থেকে চা-সুন্দরী, সবই আছে। নরেন্দ্র মোদির বলার মতো কিছু আছে তো? যা উত্তরবঙ্গের মানুষকে সরাসরি উপকৃত করেছে?
16th  April, 2024
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল সরকার। ...

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...

পার্লারে মোটা টাকার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবালিকাদের অন্ধকার জগতে নামানো হচ্ছে। একবার এই জগতে পা রখলে আর তাদের ফেরার পথ থাকছে না। বর্ধমান ও দুর্গাপুরে একটি চক্র তাদের বিপথে চালনা করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চক্রটি তাদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নাভি মুম্বাইয়ে ভাঙল চার তলা বাড়ি, আটকে একাধিক
শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ মহারাষ্ট্রের নাভি মুম্বইতে ভেঙে পড়ল একটি ...বিশদ

08:53:17 AM

মেঘলা আকাশের সঙ্গে সামান্য বৃষ্টি, একনজরে শনিবারের আবহাওয়া
শনিবার মূলত মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলির আকাশ। ...বিশদ

08:43:39 AM

অভিযুক্ত আইনজীবী
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমেরিকার এক মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ...বিশদ

08:35:00 AM

উল্লাসের শাস্তি
গত ২৩ জুলাই জেল থেকে ছাড়া পায় নাসিকের গ্যাংস্টার হর্ষদ ...বিশদ

08:25:00 AM

রক্ষা ৪০ পড়ুয়ার
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের খাপরখেড়ায় প্রায় ১০ মিনিট ধরে রেলের লেভেল ক্রসিংয়ের ...বিশদ

08:20:00 AM

সিঁদুরে বাধা
আদিবাসী তরুণীদের মঙ্গলসূত্র ও সিঁদুর পরতে নিষেধ করায় মানেকা দামোর ...বিশদ

08:10:00 AM