Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দ্বিতীয় মণ্ডল: কংগ্রেসকে বদলে দিচ্ছেন রাহুল?
সমৃদ্ধ দত্ত

রাহুল গান্ধী শুধু নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারে নয়, স্বাধীনতার পর কংগ্রেসের ইতিহাসেও সম্ভবত সবথেকে বড় এক সিদ্ধান্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাজি নিয়েছেন ঠিক লোকসভা ভোটের আগে। নিজের দলের ইতিহাসের ঘোষিত অথবা অঘোষিত অবস্থানের ঠিক বিপরীত অবস্থানে গিয়ে রাহুল গান্ধী সরাসরি জাতিগত রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন। বিজেপির হিন্দুত্ব ও উগ্র জাতীয়তাবাদের সঙ্গে কোনও ইস্যুতেই টক্কর দিতে না পেরে রাহুল হয়তো সর্বশেষ রাজনৈতিক জুয়ায় এগিয়ে দিয়েছেন দলকে। তাঁকে প্রবল উচ্চকিতভাবে দেখা যাচ্ছে দলিত, অনগ্রসরদের দাবি ও অধিকার আদায়ের প্রতিনিধি হতে। জাতীয় স্তরে কোনও জাতিগত আইডেন্টিটি নিয়েই রাজনীতি করে এরকম দল নেই। যা ছিল বিগত শতকের নয়ের দশকে সেগুলি এখনও আঞ্চলিক স্তরেই রয়ে গিয়েছে। রাহুল গান্ধী এবার জাতীয় স্তরের কাস্ট লিডার হয়ে উঠতে চাইছেন। তিনি কি সফল হবেন? নাকি ব্যর্থ? 
ইতিহাসে ফেরা যাক। প্রথম লোকসভা ভোট হয়ে যাওয়ার পরই সংরক্ষণ নিয়ে দাবি উঠতে শুরু করে। কংগ্রেসেরই অনগ্রসর শ্রেণির নেতারা জওহরলাল নেহরুকে বললেন, পণ্ডিতজি, সরকারি চাকরিতে অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ দেওয়া দরকার। নচেৎ তারা এগবে কীভাবে? নেহরুর নিজের ব্রাহ্মণ পরিচয়ের জন্য তাঁর নামের আগে পণ্ডিতজি শব্দটা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে ছিল। কিন্তু তিনি জাতপাত নিয়ে এমনিতে মাথা ঘামাতেন না। উচ্চবর্ণ শ্রেষ্ঠ এরকম ধারণাও পোষণ করতেন না। আবার একমাত্র জাতিগত কারণেই তফসিলিদের জন্য সংরক্ষণ দিতে হবে এই ভাবনারও বিশেষ সমর্থক তিনি নন। তিনি মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের অনগ্রসর মনে করতেন। তবু এই সম্মিলিত দাবিকে উপেক্ষা করা যায় না। ফলে স্বাধীন ভারতে প্রথম অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কমিশন গঠন করলেন তিনি। ১৯৫৩ সালের ২৯ জানুয়ারি। কী দেখবে এই কমিশন? সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ভারতবাসী কী অবস্থায় আছে, তাদের হাল হকিকত জানবে এবং রিপোর্ট দেবে। কমিশনের প্রধান দত্তাত্রেয় বালাকৃষ্ণ কালেকর। সমাজ সংস্কারক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী। 
১৯৫৫ সালে কালেকর রিপোর্ট জমা দিলেন। যেখানে তালিকাভুক্ত করা হল, ২৩৯৯ টি জাতিকে যারা আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া। তাঁর সুপারিশ ছিল, ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হোক এই শ্রেণিকে। নেহরু নিজে সরাসরি কোনও মত দিলেন না। কিন্তু তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোবিন্দবল্লভ পন্থ মনে করলেন যে, সবেমাত্র দেশ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখনই যদি এই সুপারিশ কার্যকর করা হয় তাহলে প্রথমেই জাতিগত কারণে দেশে বিভাজন তৈরি হবে। আর তার ফলে শিল্প, পরিকাঠামো কিংবা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি নির্মাণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটা বাধাপ্রাপ্ত হবে। সব মনোযোগ চলে যাবে ওই সংরক্ষণের দিকে। উচ্চবর্ণ বিদ্রোহ করতে পারে। নেহরু সমর্থন বিরোধিতা কিছুই করলেন না। ফলে সংসদে সেই রিপোর্ট জমা হল না। 
১৯৬১ সালে নেহরু সরকার স্থির করল, এই পদক্ষেপ রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। রাজ্যগুলিই ঠিক করুক তাদের মতো করে। সেইমতো বেশ কিছু রাজ্য নিজেদের কমিশন গঠন করল। দক্ষিণের রাজ্যগুলি সংরক্ষণ ঘোষণা করল তাদের মতো করে। পাঞ্জাবও ৫ শতাংশ সংরক্ষণ দিল। 
ভোটের প্রচারে ১৯৭৭ সালে জনতা দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা ক্ষমতাসীন হয়ে কালেকর কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করবে। তারা ক্ষমতায় এল বটে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হল না। ১৯৭৮ সালে কিন্তু জনতা দলেরই বিহার সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুর এক ধাক্কায় ২৬ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন ওবিসিদের জন্য। কিন্তু বিহারে তো বটেই, জাতীয় স্তরেও প্রবল তোলপাড় শুরু হল। উচ্চবর্ণ বিহারে সরাসরি বিদ্রোহ করল। যা ভয় পাইয়ে দিল জনতা দলকে। পিছিয়ে এলেন কর্পূরী ঠাকুর। তিনি সংরক্ষণ রাখলেন। তবে মহিলা ও আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের ৩ শতাংশ করে দিলেন সংরক্ষণ। ওবিসিদের সংরক্ষণ কমে গেল। 
এবারই নড়েচড়ে বসল জনতা পার্টি। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে জনতা সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই ভারতের দ্বিতীয় অনগ্রসর কমিশন গঠন করলেন। কমিশনের সভাপতির নাম বিন্ধ্যেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিন্ধ্যেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি যে, তাঁর  পদবি এভাবে একদিন ভারতের ঘরে ঘরে রাজনীতির প্রতিটি চর্চায় আলোচিত হবে। মণ্ডল কমিশন! মণ্ডল কমিশন যখন রিপোর্ট সমাপ্ত করল ততদিনে ভারতের রাজনৈতিক আকাশে বিরাট পটবদল হয়ে গিয়েছে। ১৯৮০ সালে যখন রিপোর্ট জমা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এসেছে তখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় আবার ইন্দিরা গান্ধী। 
বছরের শেষ দিনে বিন্ধ্যেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নর্থ ব্লকের অফিসে যখন আসেন তখন নর্থ ব্লক প্রায় ফাঁকা। কে থাকবে ওই নিউ ইয়ার্স ইভের দিনে! তবে আগে থেকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁরই অপেক্ষায় ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম জ্ঞানী জৈল সিং। তাঁর হাতে রিপোর্ট জমা হল।  কী ছিল সুপারিশ? ওবিসিদের জন্য সর্বোচ্চ সংরক্ষণ। কত? ২৭ শতাংশ। এই সংখ্যার কারণ কী? কারণ ১৯৩১ সালের জনগণনায় ওবিসির সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ। অতএব সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ। এর বেশি নয় কেন? কারণ ১৯৬৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল (এম আর বালাজি বনাম মহীশূর রাজ্য মামলা) সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারবে না। যেহেতু তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ তার অনেক আগে থেকেই সাড়ে ২২ শতাংশ রয়েছে, তাই ওবিসিকে সর্বোচ্চ দেওয়া হোক সংরক্ষণ অর্থাৎ ২৭ শতাংশ।
বিরোধী দলগুলি দাবি করল ওই রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হোক। ইন্দিরা গান্ধী একটি কমিটি গঠন করলেন। এই রিপোর্টের সুপারিশ কার্যকর করা যায় কি না অথবা কীভাবে কার্যকর করা যায়, এসব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ওই কমিটি। কমিটির প্রধান কে ছিলেন? পি ভি নরসিমা রাও। এক বছর...দু বছর...তিন বছর...। কমিটি বৈঠকের পর বৈঠক করে গেল। সিদ্ধান্ত হল না।  ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী আততায়ীর হাতে নিহত হলেন। 
রাজীব গান্ধী সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়ে দিলেন, এই রিপোর্ট মোতাবেক আমরা তাঁদের সামগ্রিক আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করব। কিন্তু সংরক্ষণে তাঁর সায় ছিল না। অতএব মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট আলমারি বন্দি হল। 
১৯৯০ সালের আগস্ট মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং বোমা ফাটালেন। বললেন, মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করা হবে। কীভাবে? সেই খুঁটিনাটি সরকারি অফিসারদের সাহায্যে স্থির করবেন সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের এক যুবক মন্ত্রী। যিনি অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। মন্ত্রীর নাম রামবিলাস পাসোয়ান। তাই হল। ৭ আগস্ট সংসদের দুই কক্ষে ঘোষণা করা হল মণ্ডল কমিশন। ভারতের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হল। রাজনীতি বদলে গেল। সমাজ বদলে গেল। লালুপ্রসাদ যাদব, মুলায়ম সিং যাদব, নীতীশকুমার, মায়াবতী নামক একঝাঁক আইডেন্টিটি পলিটিক্সের দলনেতানেত্রীর আবির্ভাব ঘটল সরাসরি প্রথম সারিতে। আর বিজেপি আরও তীব্রভাবে সুযোগ পেল মন্দির রাজনীতির। মণ্ডল বনাম মন্দির। 
সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল একটি দল। কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী তাঁর দলকে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে আজ নিয়ে আসছেন। প্রথম পদক্ষেপ দলের সভাপতি করা হয়েছে দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। আর দ্বিতীয় পদক্ষেপ আবার কাস্ট সেন্সাস করার দাবি। তাঁর অভিমত হল, আরও বেশি সংরক্ষণ দেওয়া উচিত। 
রাহুল গান্ধী কি নরেন্দ্র মোদিকে ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত দলের মণ্ডলায়নের পথে হাঁটছেন? লাভ হবে? নাকি লোকসান? ১৯৯০ সালের পর ২০২৪ সালে রাহুল ভারতে আবার ফেরালেন মণ্ডল বনাম মন্দির রাজনীতি। তাঁর পরিবারে প্রত্যেকে জাতিগত রাজনীতির বিরুদ্ধে ছিলেন। রাহুল সম্পূর্ণ বদলে দিচ্ছেন দলকে। ইতিহাসের বিস্ময়কর অধ্যায় হল, তাঁর পিতা রাজীব গান্ধীকে যিনি প্রায় একক চেষ্টায় ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, সেই ভি পি সিং এর রেখে যাওয়া অস্ত্রই হাতে তুলে নিচ্ছেন রাহুল। কেমন হতে চলেছে রাহুলের মণ্ডল-টু? 
23rd  February, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
একনজরে
বিমানে বোমাতঙ্ক থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না কিছুতেই। সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল বিমানে বোমা রাখার হুমকি। বৃহস্পতিবারও তাতে ছেদ পড়ল না। এদিনও হুমকির জেরে  ফের একের পর এক বিমানে আতঙ্ক ছড়াল। গত চারদিনে এই নিয়ে মোট ২০টি বিমান এমন হুমকির মুখে ...

ইজরায়েলি হামলায় খতম হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। বৃহস্পতিবার এই খবর জানাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবরের গণহত্যা ও নৃশংসতার মূলচক্রী সিনওয়ারকে নিকেশ করেছেন ইজরায়েলি সেনা।’ ...

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে একের পর এক বিপর্যয়ের সামনে ভারতীয় দল। বুধবার বৃষ্টিতে বল গড়ায়নি মাঠে। বৃহস্পতিবার খেলা শুরু হলেও ব্যাটিং ধসে বেসামাল রোহিত শর্মারা। ...

নিমতলায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে কংক্রিটের ঘাটের একাংশ অনেকদিন ধরেই ভাঙছে। সিঁড়ি ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। ঘাটের সামনের যে অংশের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তার ফাঁক গলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭১: কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যু
১৯১৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম
১৯৩১: গ্রামাফোনের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু
১৯৪০: টলিউড অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা ওমপুরীর জন্ম
১৯৫৬: বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম
১৯৬১: প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার গ্ল্যাডস্টোন স্মলের জন্ম
১৯৮০: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৪: বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক শঙ্কু মহারাজের
২০১৮: বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ১৯/৫ দিবা ১/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/৩০ দিবা ১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৫/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ২/৫৭। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/০। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৫ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
১৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
শহরের ঘুম ভাঙল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবরে। আজ, শুক্রবার ভোর ...বিশদ

10:25:03 AM

প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ১৪ রানে আউট গ্লেন ফিলিপস, নিউজিল্যান্ড ২২৩/৬ (তৃতীয় দিন)

10:21:00 AM

খুনের হুমকি পেয়েছেন সলমন খান! তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করল মুম্বই পুলিস

10:18:33 AM

আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি

10:17:00 AM

দিল্লির ভোলানাথ নগরের একটি বাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যু হল ২ জনের, জখম ৪

10:10:00 AM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু। তবুও বৃষ্টি চলছে কোথাও ...বিশদ

10:07:00 AM