Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দ্বিতীয় মণ্ডল: কংগ্রেসকে বদলে দিচ্ছেন রাহুল?
সমৃদ্ধ দত্ত

রাহুল গান্ধী শুধু নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারে নয়, স্বাধীনতার পর কংগ্রেসের ইতিহাসেও সম্ভবত সবথেকে বড় এক সিদ্ধান্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাজি নিয়েছেন ঠিক লোকসভা ভোটের আগে। নিজের দলের ইতিহাসের ঘোষিত অথবা অঘোষিত অবস্থানের ঠিক বিপরীত অবস্থানে গিয়ে রাহুল গান্ধী সরাসরি জাতিগত রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন। বিজেপির হিন্দুত্ব ও উগ্র জাতীয়তাবাদের সঙ্গে কোনও ইস্যুতেই টক্কর দিতে না পেরে রাহুল হয়তো সর্বশেষ রাজনৈতিক জুয়ায় এগিয়ে দিয়েছেন দলকে। তাঁকে প্রবল উচ্চকিতভাবে দেখা যাচ্ছে দলিত, অনগ্রসরদের দাবি ও অধিকার আদায়ের প্রতিনিধি হতে। জাতীয় স্তরে কোনও জাতিগত আইডেন্টিটি নিয়েই রাজনীতি করে এরকম দল নেই। যা ছিল বিগত শতকের নয়ের দশকে সেগুলি এখনও আঞ্চলিক স্তরেই রয়ে গিয়েছে। রাহুল গান্ধী এবার জাতীয় স্তরের কাস্ট লিডার হয়ে উঠতে চাইছেন। তিনি কি সফল হবেন? নাকি ব্যর্থ? 
ইতিহাসে ফেরা যাক। প্রথম লোকসভা ভোট হয়ে যাওয়ার পরই সংরক্ষণ নিয়ে দাবি উঠতে শুরু করে। কংগ্রেসেরই অনগ্রসর শ্রেণির নেতারা জওহরলাল নেহরুকে বললেন, পণ্ডিতজি, সরকারি চাকরিতে অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ দেওয়া দরকার। নচেৎ তারা এগবে কীভাবে? নেহরুর নিজের ব্রাহ্মণ পরিচয়ের জন্য তাঁর নামের আগে পণ্ডিতজি শব্দটা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে ছিল। কিন্তু তিনি জাতপাত নিয়ে এমনিতে মাথা ঘামাতেন না। উচ্চবর্ণ শ্রেষ্ঠ এরকম ধারণাও পোষণ করতেন না। আবার একমাত্র জাতিগত কারণেই তফসিলিদের জন্য সংরক্ষণ দিতে হবে এই ভাবনারও বিশেষ সমর্থক তিনি নন। তিনি মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের অনগ্রসর মনে করতেন। তবু এই সম্মিলিত দাবিকে উপেক্ষা করা যায় না। ফলে স্বাধীন ভারতে প্রথম অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কমিশন গঠন করলেন তিনি। ১৯৫৩ সালের ২৯ জানুয়ারি। কী দেখবে এই কমিশন? সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ভারতবাসী কী অবস্থায় আছে, তাদের হাল হকিকত জানবে এবং রিপোর্ট দেবে। কমিশনের প্রধান দত্তাত্রেয় বালাকৃষ্ণ কালেকর। সমাজ সংস্কারক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী। 
১৯৫৫ সালে কালেকর রিপোর্ট জমা দিলেন। যেখানে তালিকাভুক্ত করা হল, ২৩৯৯ টি জাতিকে যারা আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া। তাঁর সুপারিশ ছিল, ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হোক এই শ্রেণিকে। নেহরু নিজে সরাসরি কোনও মত দিলেন না। কিন্তু তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোবিন্দবল্লভ পন্থ মনে করলেন যে, সবেমাত্র দেশ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখনই যদি এই সুপারিশ কার্যকর করা হয় তাহলে প্রথমেই জাতিগত কারণে দেশে বিভাজন তৈরি হবে। আর তার ফলে শিল্প, পরিকাঠামো কিংবা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি নির্মাণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটা বাধাপ্রাপ্ত হবে। সব মনোযোগ চলে যাবে ওই সংরক্ষণের দিকে। উচ্চবর্ণ বিদ্রোহ করতে পারে। নেহরু সমর্থন বিরোধিতা কিছুই করলেন না। ফলে সংসদে সেই রিপোর্ট জমা হল না। 
১৯৬১ সালে নেহরু সরকার স্থির করল, এই পদক্ষেপ রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। রাজ্যগুলিই ঠিক করুক তাদের মতো করে। সেইমতো বেশ কিছু রাজ্য নিজেদের কমিশন গঠন করল। দক্ষিণের রাজ্যগুলি সংরক্ষণ ঘোষণা করল তাদের মতো করে। পাঞ্জাবও ৫ শতাংশ সংরক্ষণ দিল। 
ভোটের প্রচারে ১৯৭৭ সালে জনতা দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা ক্ষমতাসীন হয়ে কালেকর কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করবে। তারা ক্ষমতায় এল বটে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হল না। ১৯৭৮ সালে কিন্তু জনতা দলেরই বিহার সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুর এক ধাক্কায় ২৬ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন ওবিসিদের জন্য। কিন্তু বিহারে তো বটেই, জাতীয় স্তরেও প্রবল তোলপাড় শুরু হল। উচ্চবর্ণ বিহারে সরাসরি বিদ্রোহ করল। যা ভয় পাইয়ে দিল জনতা দলকে। পিছিয়ে এলেন কর্পূরী ঠাকুর। তিনি সংরক্ষণ রাখলেন। তবে মহিলা ও আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের ৩ শতাংশ করে দিলেন সংরক্ষণ। ওবিসিদের সংরক্ষণ কমে গেল। 
এবারই নড়েচড়ে বসল জনতা পার্টি। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে জনতা সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই ভারতের দ্বিতীয় অনগ্রসর কমিশন গঠন করলেন। কমিশনের সভাপতির নাম বিন্ধ্যেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিন্ধ্যেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি যে, তাঁর  পদবি এভাবে একদিন ভারতের ঘরে ঘরে রাজনীতির প্রতিটি চর্চায় আলোচিত হবে। মণ্ডল কমিশন! মণ্ডল কমিশন যখন রিপোর্ট সমাপ্ত করল ততদিনে ভারতের রাজনৈতিক আকাশে বিরাট পটবদল হয়ে গিয়েছে। ১৯৮০ সালে যখন রিপোর্ট জমা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এসেছে তখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় আবার ইন্দিরা গান্ধী। 
বছরের শেষ দিনে বিন্ধ্যেশ্বর প্রসাদ মণ্ডল দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নর্থ ব্লকের অফিসে যখন আসেন তখন নর্থ ব্লক প্রায় ফাঁকা। কে থাকবে ওই নিউ ইয়ার্স ইভের দিনে! তবে আগে থেকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁরই অপেক্ষায় ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম জ্ঞানী জৈল সিং। তাঁর হাতে রিপোর্ট জমা হল।  কী ছিল সুপারিশ? ওবিসিদের জন্য সর্বোচ্চ সংরক্ষণ। কত? ২৭ শতাংশ। এই সংখ্যার কারণ কী? কারণ ১৯৩১ সালের জনগণনায় ওবিসির সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ। অতএব সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ। এর বেশি নয় কেন? কারণ ১৯৬৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল (এম আর বালাজি বনাম মহীশূর রাজ্য মামলা) সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারবে না। যেহেতু তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ তার অনেক আগে থেকেই সাড়ে ২২ শতাংশ রয়েছে, তাই ওবিসিকে সর্বোচ্চ দেওয়া হোক সংরক্ষণ অর্থাৎ ২৭ শতাংশ।
বিরোধী দলগুলি দাবি করল ওই রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হোক। ইন্দিরা গান্ধী একটি কমিটি গঠন করলেন। এই রিপোর্টের সুপারিশ কার্যকর করা যায় কি না অথবা কীভাবে কার্যকর করা যায়, এসব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ওই কমিটি। কমিটির প্রধান কে ছিলেন? পি ভি নরসিমা রাও। এক বছর...দু বছর...তিন বছর...। কমিটি বৈঠকের পর বৈঠক করে গেল। সিদ্ধান্ত হল না।  ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী আততায়ীর হাতে নিহত হলেন। 
রাজীব গান্ধী সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়ে দিলেন, এই রিপোর্ট মোতাবেক আমরা তাঁদের সামগ্রিক আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করব। কিন্তু সংরক্ষণে তাঁর সায় ছিল না। অতএব মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট আলমারি বন্দি হল। 
১৯৯০ সালের আগস্ট মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং বোমা ফাটালেন। বললেন, মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করা হবে। কীভাবে? সেই খুঁটিনাটি সরকারি অফিসারদের সাহায্যে স্থির করবেন সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের এক যুবক মন্ত্রী। যিনি অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। মন্ত্রীর নাম রামবিলাস পাসোয়ান। তাই হল। ৭ আগস্ট সংসদের দুই কক্ষে ঘোষণা করা হল মণ্ডল কমিশন। ভারতের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হল। রাজনীতি বদলে গেল। সমাজ বদলে গেল। লালুপ্রসাদ যাদব, মুলায়ম সিং যাদব, নীতীশকুমার, মায়াবতী নামক একঝাঁক আইডেন্টিটি পলিটিক্সের দলনেতানেত্রীর আবির্ভাব ঘটল সরাসরি প্রথম সারিতে। আর বিজেপি আরও তীব্রভাবে সুযোগ পেল মন্দির রাজনীতির। মণ্ডল বনাম মন্দির। 
সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল একটি দল। কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী তাঁর দলকে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে আজ নিয়ে আসছেন। প্রথম পদক্ষেপ দলের সভাপতি করা হয়েছে দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। আর দ্বিতীয় পদক্ষেপ আবার কাস্ট সেন্সাস করার দাবি। তাঁর অভিমত হল, আরও বেশি সংরক্ষণ দেওয়া উচিত। 
রাহুল গান্ধী কি নরেন্দ্র মোদিকে ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত দলের মণ্ডলায়নের পথে হাঁটছেন? লাভ হবে? নাকি লোকসান? ১৯৯০ সালের পর ২০২৪ সালে রাহুল ভারতে আবার ফেরালেন মণ্ডল বনাম মন্দির রাজনীতি। তাঁর পরিবারে প্রত্যেকে জাতিগত রাজনীতির বিরুদ্ধে ছিলেন। রাহুল সম্পূর্ণ বদলে দিচ্ছেন দলকে। ইতিহাসের বিস্ময়কর অধ্যায় হল, তাঁর পিতা রাজীব গান্ধীকে যিনি প্রায় একক চেষ্টায় ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, সেই ভি পি সিং এর রেখে যাওয়া অস্ত্রই হাতে তুলে নিচ্ছেন রাহুল। কেমন হতে চলেছে রাহুলের মণ্ডল-টু? 
23rd  February, 2024
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
একনজরে
নিউটাউনে কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। কিন্তু, যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেই ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিঘ্ন পুলিস ও প্রশাসন। কারণ, সেখানে আলো ও নজরদারির অভাব রয়েছে। ...

আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিতে দ্বিতীয়বার ভারতসেরা হওয়ার হাতছানি মোহন বাগানের সামনে। ২০ ম্যাচে মোলিনা ব্রিগেডের পয়েন্ট ৪৬। বাকি আরও চারটি ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শনিবার কোচিতে ...

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা ইস্যুতে সোমবার রাজ্যসভায় বিজেপির সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের অসহযোগিতাতেই বাংলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে এদিন অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় এমএসএমই মন্ত্রী জিতনরাম মাঝি। ...

সোমবার মাধ্যমিকের প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগে নির্বিঘ্নেই মিটেছে। এদিন পুলিস প্রশাসনের কর্তারা বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে নিরাপত্তা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে বাধা থাকবে। বিকেল থেকে বিদ্যা অনুশীলনে শুভ ফললাভ। নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উন্নতির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: সম্রাট আকবর সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম
১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম
১৯১৭: মার্কিন লেখক সিডনি শেলডনের জন্ম
১৯৪৪ : বিশিষ্ট বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর জন্ম 
১৯৫৭: অভিনেত্রী টিনা মুনিমের জন্ম
১৯৭৯ - আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেলকে জাতীয় স্মারকস্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের
১৯৮০: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৮৩: টলিউড অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৯০: দক্ষিণ আফ্রিকার জেল থেকে মুক্তি পেলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
২০২২: অভিনেতা ভীষ্ম গুহঠাকুরতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৮ টাকা ৮৮.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৭৭ টাকা ১১০.৫১ টাকা
ইউরো ৮৮.৬৮ টাকা ৯২.০৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী ৪১/৪৩ রাত্রি ৬/৫৬। পুষ্যা নক্ষত্র ৩০/৪৮ রাত্রি ৬/৩৪। সূর্যোদয় ৬/১৪/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৭/২। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৯ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/১২ গতে ৪/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৫১ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৩৯ মধ্যে।
২৮ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৭। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতেজ ২/৩০ মধ্যে ও ৩/১৭ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৮/৫৪ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৩/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৩৯ মধ্যে।
১২ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অযোধ্যার রাম মন্দিরের দর্শনের সময় বদল
ভক্তদের জন্য রাম মন্দিরে দর্শনের সময় পরিবর্তন করল কর্তৃপক্ষ। এবার ...বিশদ

05:13:00 PM

জঙ্গলে ছাড়া হল মৈপীঠের বাঘকে

05:13:00 PM

সংসদে বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

05:13:00 PM

১০১৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

05:07:00 PM

ইভিএম মামলা: কোনও তথ্য ডিলিট বা নতুন করে ইনপুট করবেন না, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

04:59:00 PM

জলপাইগুড়িতে আজ মোট সাতজন পরীক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিল
জলপাইগুড়ি জেলায় আজ, মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল মোট ...বিশদ

04:11:00 PM