Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বারবার আক্রান্ত হয়েছে বাংলা ভাষা
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলা ভাষার যে প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে, তা কম করে হাজার বছরের। মোটামুটি ‘চর্যাপদ’ই হল বাংলা ভাষার প্রথম প্রামাণ্য গ্রন্থ। এই হাজার বছর ধরে বাংলা ভাষাকে বার বার লড়াই করতে হয়েছে অন্য ভাষার সঙ্গে। তার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে অন্য ভাষাকে। অন্য ভাষা দিয়ে বাংলাকে নির্মূল করার চেষ্টা বাঙালি কিন্তু মেনে নেয়নি। বার বার সে তার মাতৃভাষা রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। সেই লড়াইকেই স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাই আজ সারা বিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। 
২১ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৫২ সালে এই দিনেই বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, জব্বাররা। এই লড়াইয়ের সূচনা ১৯৪৭-এ পাকিস্তানের জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। পাকিস্তান জোর করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবের ঘোষণা করে। মনে রাখা দরকার, তখন কিন্তু সমগ্র পাকিস্তানে উর্দুভাষীর থেকে বাংলায় কথা বলা মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন বাঙালি মুসলমানদের জাতীয়তাবোধ ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। তাই সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নেননি। তাঁদের প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল। দাবি ছিল, সরকারি কাজে বাংলা ভাষাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে। মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার লক্ষ্যে ধর্মীয় প্রশ্নকে দূরে সরিয়ে রেখে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। তাঁদের কাছে প্রধান লক্ষ্য ছিল বাঙালির জাতীয়তাবোধকে রক্ষা করা, বাঙালির সংস্কৃতিকে রক্ষা করা। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে নেমে এল ছাত্র-যুবকদের অনমনীয় প্রতিবাদের ঝড়। সেই আন্দোলনে শাসকের গুলিতে প্রাণ গেল রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারদের। সেই ভাষা আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিয়ে ১৯৯৯ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। 
কিন্তু বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ সেটাই প্রথম ছিল না। তার আগে ইংরেজ আমলেও তার লক্ষণগুলি দেখা গিয়েছিল। আরবি, ফারসি, হিন্দি দিয়ে বাংলা ভাষার অগ্রগতি রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল। সেদিন বাংলা ভাষার সম্মানের জন্য প্রতিবাদী ভূমিকা গ্রহণ করেন একজন ইংরেজ। নাম তাঁর উইলিয়াম কেরি। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু হল মধ্যযুগের শেষ শক্তিমান কবি ভারতচন্দ্রের। তারপর একবারে ঈশ্বর গুপ্তের হাত ধরে সূচনা হল সাহিত্যের নতুন যুগের। মোটামুটি একশো বছর ছিল বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ। যে কোনও ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখে তার সাহিত্য। সারস্বত সাধনার মধ্য দিয়ে পুষ্ট না হলে ভাষার মান অধোগামী হয়ে ওঠে। তখন একদিকে নিম্নমানের কুরুচিকর সাহিত্য ও খেউড় গানের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিল, অন্যদিকে ইংরেজদের অবজ্ঞা আর অবহেলায় তার মর্যাদা ক্রমেই ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল। একদম প্রথম যুগের ইংরেজদের মধ্যে অনেকেই বাংলা ভাষাকে পছন্দ করত না। তাই আরবি, ফারসি আর হিন্দি ভাষার চাপে শ্বাসরুদ্ধ হচ্ছিল বাংলা ভাষার। সেই বদ্ধ আবহ থেকে তাকে মুক্ত আলোয় পাখা মেলার উদ্যোগ নিলেন উইলিয়াম কেরি। ১৮০০ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা একটি মাইলস্টোন। ভারতে কেরি আসেন ১৭৯৩ সালে। এসেই তিনি সংস্কৃত, ফারসি, হিন্দি ভাষা শেখেন। বুঝেছিলেন বাংলায় কাজ করতে গেলে বাংলা ভাষাটাও শেখা দরকার। সেটা শিখলেন রামরাম বসুর কাছ থেকে। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যোগদানের পর তিনি বাংলা ভাষার প্রসারে উদ্যোগী হন। তিনি মনে করেছিলেন বাংলা ভাষাকে  শক্তিশালী করতে গেলে বাংলায় লেখা কয়েকটি বইয়ের প্রয়োজন। ১৮০১ সালে কেরি লিখলেন বাংলা ব্যাকরণ বই। অবশ্য এ ব্যাপারে কেরির আগে আরও দুই বিদেশির নাম করতে হয়। প্রথমে মানোয়েল দ্য আসসুম্পসাঁও এবং পরে নাথানিয়াল হ্যালহেড। দু’জনেই বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন। কেরির ব্যাকরণ অবশ্য ছিল অনেক বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বুঝেছিলেন, শুধু সাধু ভাষা নয়, বাংলা ভাষাকে সমুন্নত করার জন্য দরকার সাহিত্যে সাধারণ মানুষের অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষের মুখের ভাষাকে তুলে ধরা। সেই উদ্দেশ্য থেকে লিখলেন ‘কথোপকথন’। জেলে, মুটে, মজুর থেকে ভিক্ষুকের ভাষা সেখানে স্থান পেয়েছে। এরপর তিনি অন্যদেরও বাংলা ভাষায় বই লেখার প্রেরণা দিলেন। রামরাম বসুকে দিয়ে লেখালেন ‘প্রতাপাদিত্য চরিত্র’। নিজে লিখলেন বাংলা অভিধানও। তারপরেও চলল প্রবল লড়াই। কলেজের ফরাসি, উর্দু, হিন্দি বিভাগের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হল, তার অর্ধেকও হল না বাংলা বিভাগের জন্য। এছাড়াও বাংলা বিভাগকে সঙ্কুচিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ উঠে পড়ে লাগল। হাল ছাড়লেন না কেরি। একদিকে কলেজে বাংলার মর্যাদা রক্ষার লড়াই, অন্যদিকে কলেজের বাইরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাংলা বই ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস। এই লড়াইয়ে তিনি হেরে যাননি। তাঁর ‘কথোপকথন’ বইটি থেকে উৎসাহিত হয়ে সেই ভাষায় সাহিত্য রচনায় প্রয়াসী হয়েছিলেন টেকচাঁদ ঠাকুর, হুতোম পেঁচা, দীনবন্ধু মিত্ররা। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে তাই উইলিয়াম কেরির অবদান ভোলার নয়।       
২১ ফেব্রুয়ারির আড়ালে যেন খানিকটা চাপা পড়ে গিয়েছে আর একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৬১ সালের ১৯ মে। অসমে রাজ্যভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল অসমিয়া ভাষাকে। অথচ সেই সময় সেখানে বাংলায় যত মানুষ কথা বলতেন, প্রায় ততজন মানুষই অসমিয়া ভাষায় কথা বলতেন। কিন্তু দিল্লি এবং অসম সরকার মদত দিল অসমিয়াদের। বরাক উপত্যকার বাঙালিদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ১৯৬০ সালের ১০ অক্টোবর অসম বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল রাজ্যভাষা বিল। সেখানে অসমিয়া ভাষাকেই একমাত্র রাজ্যভাষা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হল। প্রতিবাদে শুরু হল বাঙালিদের আন্দোলন। মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে এবং বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের সেই আন্দোলন হয়ে উঠেছিল রক্তাক্ত। ধিকি আগুন জ্বলছিল হাইলাকান্দি, শিলচর, বদরপুর, করিমগঞ্জ, মাজুলিতে। অসমিয়াদের অত্যাচারে জর্জরিত হলেন সেখানকার বাঙালিরা। তাঁদের স্লোগান ছিল, ‘জান দেব, জবান দেব না’। কিন্তু ১৯৬১-র ১৯ মে সত্যাগ্রহ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল বিপর্যয়। শিলচর স্টেশনে  বাঙালির অহিংস আন্দোলনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল সেনারা। গুলির পর গুলি চলল। স্বাধীন ভারতে যেন আর এক জালিয়ানওয়ালাবাগ। মুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন ১১ জন সত্যাগ্রহী। কমলা ভট্টাচার্য, হিতেশ বিশ্বাস, কুমুদ দাস, শচীন পাল সহ ১১ জন। সেই ভাষা-শহিদদেরও আমরা যেন ভুলে না যাই।     
আসলে ভাষার সম্মান রক্ষার লড়াই হল অধিকার রক্ষার লড়াই, যে অধিকারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে রাজনৈতিক অধিকারও। ভাষা একটা জাতির সংস্কৃতির পরিচয়। জাতিসত্তার বিকাশের মাধ্যম হল এই ভাষা। মনে রাখা দরকার, আজও বাংলা সহ দেশের অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলি ভাষা সন্ত্রাসের শিকার। বাহুবলী সরকার হিন্দি ভাষার দাদাগিরি চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রত্যেকেই এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ভাষাদিবস স্মরণ করার একটা তাৎপর্য রয়েছে। বাঙালির জাতীয়তাবোধ এতটুকু খর্ব হলে তার ভাষা ও সংস্কৃতি বিপর্যস্ত হতে পারে। তার কিছু কিছু লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। তাই সাবধান হওয়া দরকার। সতর্ক থাকতে হবে, বাংলা ভাষার ওপর যেন গুটকার ছাপ না পড়ে।  প্রতি মুহূর্তে নিঃশব্দে সোশ্যাল মিডিয়া, সিরিয়াল, চলচ্চিত্র, কথোপকথনের মধ্য  দিয়ে আমাদের ভাষা থেকে বাস্তুচ্যূত করার খেলা চলছে, আমাদের পরাধীন করার চেষ্টা চলছে। 
শুধু কবিতা লিখে আর গল্প, উপন্যাস লিখে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। মুখের কথার মধ্য দিয়ে তার অস্তিত্ব বজায় থাকে। তা বলে কী আমরা অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার নেব না! অবশ্যই নেব। পৃথিবীর সব ভাষাই অন্য ভাষা থেকে শব্দগ্রহণ করে পুষ্ট হয়েছে। কিন্তু বিদেশি শব্দকে প্রত্যেক ভাষা নিজের মতো করে আত্তীকরণ করেছে। বাংলাও তার চলার পথে নানা ভাষা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আত্তীকরণ করেছে। কিন্তু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে সে বিদ্রোহ করেছে। 
ভাষা হল স্রোতস্বিনী নদীর মতো। চলতে চলতে তার শব্দভাণ্ডার পূর্ণ হয়। কিছু শব্দ আসে, কিছু হারিয়ে যায়। হাজার বছরে বাংলা ভাষার বারবার বদল ঘটেছে। চর্যাপদের কাহ্নপাদ, ভুসুকপাদ থেকে বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন হয়ে জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাসের সরণি বেয়ে বাংলা ভাষা এগিয়েছে। মুকুন্দরাম, ভারতচন্দ্র, রামপ্রসাদের কাল পেরিয়ে ভাষা এসে পৌঁছেছে আধুনিক কালে। বঙ্কিমচন্দ্র যে ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন, রবীন্দ্রনাথ সে ভাষায় করেননি। শরৎচন্দ্র, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, মানিকের ভাষার মধ্যেও ভিন্নতা আছে। আবার জীবনানন্দ যে বাংলায় কবিতা লেখেন, বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ সেই ভাষায় কবিতা লেখেন না। কিন্তু সবই বাংলা ভাষা। মনে রাখা দরকার, বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত মাতৃদর্শন করি।  তাই কেউ যখন বলেন, ‘আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না’, তখন বোঝা যায় তিনি আসলে নিজের অজান্তেই ভাষা-সন্ত্রাসের শিকার। তিনি মৃত এক সত্তা।   
21st  February, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বিশদ

28th  August, 2024
একনজরে
সম্প্রতি ইউক্রেনের একাধিক শহরে লাগাতার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এবার পুতিনের দেশকে তার মোক্ষম জবাব দিল জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ অধিকৃত খারকিভ অঞ্চলে আকাশ পথে হানায় আগুন ঝরাল ইউক্রেন। সৌজন্যে ‘ড্রাগন ড্রোন’। যা নিমেষের মধ্যে গাছপালা পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। ...

সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...

লখনউয়ে একটি তিনতলা বাড়ি ভেঙে পড়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ...

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। অন্তত ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধাতালিকায় স্থান পায়নি। অথচ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM