Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ফ্রিজ’ হয়েছে কংগ্রেসের রাজনৈতিক লক্ষ্যটাই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রথমে অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’। তারপর শর্তসাপেক্ষে ব্যবহারের অনুমতি। কী সেই শর্ত? প্রথমত, টাকা জমা দেওয়া যাবে না। আর দ্বিতীয়ত, টাকা তোলা যাবে, কিন্তু কী কারণে তোলা হচ্ছে এবং কোন খাতে খরচ, সেটা জানাতে হবে আয়কর দপ্তরকে। বিষয়টা খুব পরিষ্কার—কংগ্রেসের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর পুরোদমে সরকারের নজরদারি। ‘ইন্ডিয়া’ মহাজোট ভেঙে যাওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি নিশ্চিন্ত মনে এখন কংগ্রেসের উপর মনোনিবেশ করতে পেরেছেন। তিনি জানেন, এই পার্টিটাকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। তবে তিনি আশ্বস্ত, তেমন কোনও নমুনাও শতাব্দীপ্রাচীন দলটি দেখাচ্ছে না। তাও দরকার কী ঝুঁকি নেওয়ার! কেটে দাও টাকা আসার পাইপলাইন। দল চালাতে টাকা লাগে। আর দল যত বড় হয়, টাকার পরিমাণও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে। কংগ্রেসের মতো দলে যেমন স্টেটাস রক্ষার খরচই প্রচুর। বহু রাজ্যে সাইনবোর্ডে পরিণত হওয়ার পরও অবশ্য তাতে ফাঁক নেই। তারপর আসছে সঠিকভাবে দল চালানো। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ভরাডুবি কংগ্রেসের উপার্জনের বহু দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। যে দল একশোটা আসন জিততে পারে না, তাদের অ্যাকাউন্ট ভর্তি করার মতো বিলাসিতা কোন কর্পোরেট দেখাবে? মানুষই বা ডোনেশন দেবে কেন? একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কংগ্রেসের ‘দেখানো’ ইনকাম ছিল ৬৮২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। সেটাই পরের আর্থিক বছরে কমেছে একধাক্কায় ৫৮ শতাংশ! তবে কমেছে বললে বেশি সম্মান দেওয়া হয়। বলতে হবে ধস নেমেছে। আয়ের অঙ্কটা সেই বছর দাঁড়িয়েছিল ২৮৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকায়। হিসেবটা প্রতি বছর, প্রত্যেক মাস, প্রতিদিন আরও কমেছে। তার উপর অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’। মোদি বাহিনী জানে, এটাই মাস্টার স্ট্রোক। টাকার লাইনটা কেটে দিলে রাজনৈতিক দলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তার উপর নির্দেশ জারি হয়েছে, অ্যাকাউন্টে ১১৫ কোটি টাকা রাখতেই হবে। এও এক চরম হতাশার হুকুম বটে। কারণ, কংগ্রেস প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছে, অ্যাকাউন্টে অত টাকাই নেই! তার মানে যে প্রশ্নটা এক্ষেত্রে সহজাত—‘কংগ্রেস ভোটটা উতরাতে পারবে তো?’ 
এখানে একটা উল্টো প্রশ্ন করা যাক। কংগ্রেসের মতো ধনী পার্টির একটা অ্যাকাউন্ট নজরদারিতে চলে যাওয়া মানে তারা ভোট করতে পারবে না? এও কি বিশ্বাসযোগ্য? বরং যে প্রশ্ন এখানে লাগসই সেটা হল, কংগ্রেস সত্যিই এবার ৪০ আসন পেরতে পারবে তো? পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা গত কয়েক বছর ধরেই খোরাক। কারণ, ২৩৫ থেকে ওরা এখন শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে। আবার কবে পিদিম জ্বলবে, সেই পিদিম কবে মশাল হবে, কবেই বা হ্যালোজেনের আলো দেবে... এইসব আকাশ-কুসুম চিন্তাধারায় কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ দিনপাত করছেন। কিন্তু বলতে পারেন, কংগ্রেসের জন্য এই প্রশ্ন কেন উঠছে না? অথচ, তাদেরই বেশি করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ এবং ৫২। নরেন্দ্র মোদির প্রথম ইনিংসে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমেছিল ১৬২টি। এর কারণ কী? শুধুই দুর্নীতি? কয়লা কেলেঙ্কারি, অথবা টুজি? খুচরো দুর্নীতি দেখে ভারতবাসী অভ্যস্ত। সেটা আর বিরাট পরিধিতে মানুষের মধ্যে দাগ কাটে না। তার জন্য ৫০টি আসন কমতে পারে। কিন্তু পতনের সংখ্যা ১৬২? কখনওই নয়। তার উপর যেখানে বেশ কয়েকটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প শুরু করেছিল ইউপিএ’র দ্বিতীয় সরকার। প্রধান তো অবশ্যই ছিল খাদ্য সুরক্ষা। তাহলে কারণটা কী? একটা বিষয় এক্ষেত্রে নজর করতে হবে। ২০০৪ সালে কংগ্রেসের মুখ কে ছিলেন? সোনিয়া গান্ধী। আর ২০০৯ সালে? মনমোহন সিং। এ পর্যন্ত কোনও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু ২০১৪ সালে? কংগ্রেস কিন্তু ততদিনে একজনকেই প্রজেক্ট করায় মন দিয়েছিল—রাহুল গান্ধী। তারপর তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। এখনও মুখ সেই রাহুল গান্ধী। তিনি গত কয়েক বছরে সাংবাদিক সম্মেলন এবং ভারত জোড়ো ছাড়া কী করেছেন? তাও এমন সব রাজ্যে, যেখানে বিজেপির কোমরে জোর নেই! কোন কর্মসূচি গত কয়েক বছরে কংগ্রেস নিয়েছে যে, আসন সংখ্যা ৪৪ থেকে লাফিয়ে ১৫৫-তে গিয়ে পৌঁছবে? ইস্যু ধরার ক্ষেত্রে কংগ্রেস গত পাঁচ বছর ধরেই শর্ট টার্ম মেমোরি লস উপসর্গে ভুগছে। কোনও ইস্যুই ছ’মাসের বেশি তাদের মনে থাকে না। তা সে পেগাসাস হোক, টাকার অবমূল্যায়ন, আদানি, পেট্রল-ডিজেল... সবই শেষ ওই প্রেস কনফারেন্সে। তারপরও মানুষ কংগ্রেসের উপর ভরসা রাখবে? এই আশা রাহুল গান্ধীও করেন তো? 
নরেন্দ্র মোদির আর কিছু না থাকুক, নিত্যনতুন স্বপ্ন দেখানোর প্ল্যানিং রয়েছে। আর আছে ঢাক পেটানোর ক্ষমতা। সব মিলিয়ে মার্কেটিংয়ের অকাট্য প্যাকেজ। একটু তলিয়ে দেখলে, মাসখানেক যাবৎ মোদি লাগাতার একটি সংখ্যার উপর জোর দিয়ে চলেছেন—৩৭০। বিজেপি নাকি আসন্ন নির্বাচনে এই অঙ্ক দখল করে ফেলবে। নেপথ্য কারণ কী? কাশ্মীরকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ থেকে ‘মুক্ত’ করার নিঃশব্দ প্রচার। মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া, ‘আমরাই করেছি। কয়েক বছর কেটে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ওই ঐতিহাসিক ঘটনা ভুলে গেলে চলবে না! তাই বারবার আমরা হাতুড়ির ঘা দিয়ে যাব আপনাদের মগজে। বলব, আমরা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছি। ওটাই আমাদের ‘নম্বর’। আসন প্রাপ্তির নিরিখেও তাই ৩৭০ আসবে। বারবার। ভোট পর্যন্ত।’ আম জনতাকে বিশ্বাস করানো হবে, নরেন্দ্র মোদিই ফিরছেন ক্ষমতায়। অন্যত্র ভোট দিয়ে লাভ নেই। কারণ, তাদের কোনও সম্ভাবনাই এটাই নিয়তি। 
নিয়তির প্রসঙ্গ টেনেছিলেন জওহরলাল নেহরুও। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম ভাষণে। এই দেশ কীভাবে যুগ যুগ ধরে নিয়তির সঙ্গে ঘর-সংসার পেতে এসেছে। কীভাবে তাকে মাথা পেতে নিয়েছে। কীভাবে লড়াই করেছে। বলেছিলেন, ‘যে প্রাপ্তি নিয়ে আজ আমরা আনন্দ করছি, সেটা প্রথম ধাপ মাত্র। সাফল্য আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেই পথচলা শুরু হয়ে গিয়েছে আজ। সেই সাফল্য ছোঁয়ার মতো সাহস এবং বিবেচনা করার ক্ষমতা আমাদের আছে তো? ভবিষ্যৎ যে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে, তা আমরা নিতে প্রস্তুত তো?’ নেহরুর সেই বিখ্যাত ভাষণের অর্থ অবশ্য মোদি জমানায় বদলে গিয়েছে। নতুন সূর্যোদয়ে দেশবাসীকে জাগিয়ে তোলার যে চেষ্টা তিনি করেছিলেন, এখন সেটাই হয়ে গিয়েছে ভারতকে হেয় করার চেষ্টা! নরেন্দ্র মোদি সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন, ভারতের সামর্থ্যে আস্থা ছিল না নেহরুর। স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও তাও দেশ এতটুকু এগতে পারেনি। ভারতকে সামনের সারিতে ঠেলে দেওয়ার কারিগর শুধু এবং শুধুই মোদি। কংগ্রেস মুক্ত ভারত হলে দেশবাসীর লাভ কী হবে? দুর্নীতি কমে যাবে? মূল্যবৃদ্ধি থাকবে না? বছরে ২ কোটি চাকরি হবে? নাকি প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকবে? আসলে, এর কোনওটাই হবে না। তাহলে কংগ্রেস-মুক্ত ভারতে লাভ কার? একমাত্র নরেন্দ্র মোদির। কারণ তিনি জানেন, এই একটি দল যদি কোনওভাবে ১৫০ আসন পেয়ে যায়, তাঁর তৃতীয়বার সরকারে ফেরা হবে না। আঞ্চলিক দলগুলি সব মিলিয়ে কত আসন পেতে পারে? খুব বেশি হলে ১৫০! তার মধ্যেও আবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে ছাড়া ৩০ পেরনোর ক্ষমতা খুব বেশি দলের নেই। আম আদমি পার্টি দিল্লি এবং পাঞ্জাব দিয়ে কিছুটা মেক আপ দেবে। সমাজবাদী পার্টি যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আসরে নামত, তাহলে উত্তরপ্রদেশেও কিছুটা লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা ছিল। এখন বিজেপি বিরোধী ভোট নিশ্চিতভাবে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। কয়েকটা আসন মায়াবতীও দখল করবেন। তেলেঙ্গানায় কেসিআর যে ক’টা পাবেন, কিংবা অন্ধ্রে জগন্মোহন রেড্ডি... ধরে নেওয়া যেতে পারে, সবটাই চলে যাবে বিজেপি তথা এনডিএর ঝুলিতে। তাই এভাবে কুড়িয়ে-বাড়িয়ে সরকার গড়া মুশকিল। শুধুমাত্র কংগ্রেস যদি ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়াতে পারে, জোট সরকার গঠন সম্ভব। নরেন্দ্র মোদি সেটাই চান না। তাই রাহুল গান্ধীদের কফিনে পেরেক মেরেই চলেছেন তিনি। এই ট্রেন্ড আপাতত চলবে। আর মোদি জানেন, যতদিন রাহুল গান্ধীরা বিরোধী পক্ষকে ‘নেতৃত্ব’ দেবে, ততই তাঁর লাভ। বিরোধীদের উপর থেকে ভরসার ‘ভ’ টুকুও আর থাকবে না দেশবাসীর মনে। তাই অ্যাকাউন্ট তো বাহানা মাত্র। লক্ষ্য তাঁর অনেক বড়। দাবার বোর্ড সাজিয়ে বসেছেন মোদি। গুটিগুলো সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু এখনও সবটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে। অঘটন ঘটানোর মতো মন্ত্রী-ঘোড়া বিরোধীদের নেই। বোড়েই শেষ আশা তাদের। আর রাজনীতির দাবাখেলায় বোড়ে কারা? আম জনতা।
20th  February, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বিশদ

28th  August, 2024
একনজরে
সম্প্রতি ইউক্রেনের একাধিক শহরে লাগাতার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এবার পুতিনের দেশকে তার মোক্ষম জবাব দিল জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ অধিকৃত খারকিভ অঞ্চলে আকাশ পথে হানায় আগুন ঝরাল ইউক্রেন। সৌজন্যে ‘ড্রাগন ড্রোন’। যা নিমেষের মধ্যে গাছপালা পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। ...

রাতের বেলা দামোসের ধারে চলছিল আড্ডা। এমন সময় হঠাৎ আগমন কয়েকজন দুষ্কৃতীর। কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি চলল তিন রাউন্ড গুলি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হলেন এক তৃণমূল কর্মী ...

লখনউয়ে একটি তিনতলা বাড়ি ভেঙে পড়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ...

সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM