Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ফ্রিজ’ হয়েছে কংগ্রেসের রাজনৈতিক লক্ষ্যটাই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রথমে অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’। তারপর শর্তসাপেক্ষে ব্যবহারের অনুমতি। কী সেই শর্ত? প্রথমত, টাকা জমা দেওয়া যাবে না। আর দ্বিতীয়ত, টাকা তোলা যাবে, কিন্তু কী কারণে তোলা হচ্ছে এবং কোন খাতে খরচ, সেটা জানাতে হবে আয়কর দপ্তরকে। বিষয়টা খুব পরিষ্কার—কংগ্রেসের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর পুরোদমে সরকারের নজরদারি। ‘ইন্ডিয়া’ মহাজোট ভেঙে যাওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি নিশ্চিন্ত মনে এখন কংগ্রেসের উপর মনোনিবেশ করতে পেরেছেন। তিনি জানেন, এই পার্টিটাকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। তবে তিনি আশ্বস্ত, তেমন কোনও নমুনাও শতাব্দীপ্রাচীন দলটি দেখাচ্ছে না। তাও দরকার কী ঝুঁকি নেওয়ার! কেটে দাও টাকা আসার পাইপলাইন। দল চালাতে টাকা লাগে। আর দল যত বড় হয়, টাকার পরিমাণও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে। কংগ্রেসের মতো দলে যেমন স্টেটাস রক্ষার খরচই প্রচুর। বহু রাজ্যে সাইনবোর্ডে পরিণত হওয়ার পরও অবশ্য তাতে ফাঁক নেই। তারপর আসছে সঠিকভাবে দল চালানো। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ভরাডুবি কংগ্রেসের উপার্জনের বহু দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। যে দল একশোটা আসন জিততে পারে না, তাদের অ্যাকাউন্ট ভর্তি করার মতো বিলাসিতা কোন কর্পোরেট দেখাবে? মানুষই বা ডোনেশন দেবে কেন? একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কংগ্রেসের ‘দেখানো’ ইনকাম ছিল ৬৮২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। সেটাই পরের আর্থিক বছরে কমেছে একধাক্কায় ৫৮ শতাংশ! তবে কমেছে বললে বেশি সম্মান দেওয়া হয়। বলতে হবে ধস নেমেছে। আয়ের অঙ্কটা সেই বছর দাঁড়িয়েছিল ২৮৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকায়। হিসেবটা প্রতি বছর, প্রত্যেক মাস, প্রতিদিন আরও কমেছে। তার উপর অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’। মোদি বাহিনী জানে, এটাই মাস্টার স্ট্রোক। টাকার লাইনটা কেটে দিলে রাজনৈতিক দলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তার উপর নির্দেশ জারি হয়েছে, অ্যাকাউন্টে ১১৫ কোটি টাকা রাখতেই হবে। এও এক চরম হতাশার হুকুম বটে। কারণ, কংগ্রেস প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছে, অ্যাকাউন্টে অত টাকাই নেই! তার মানে যে প্রশ্নটা এক্ষেত্রে সহজাত—‘কংগ্রেস ভোটটা উতরাতে পারবে তো?’ 
এখানে একটা উল্টো প্রশ্ন করা যাক। কংগ্রেসের মতো ধনী পার্টির একটা অ্যাকাউন্ট নজরদারিতে চলে যাওয়া মানে তারা ভোট করতে পারবে না? এও কি বিশ্বাসযোগ্য? বরং যে প্রশ্ন এখানে লাগসই সেটা হল, কংগ্রেস সত্যিই এবার ৪০ আসন পেরতে পারবে তো? পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা গত কয়েক বছর ধরেই খোরাক। কারণ, ২৩৫ থেকে ওরা এখন শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে। আবার কবে পিদিম জ্বলবে, সেই পিদিম কবে মশাল হবে, কবেই বা হ্যালোজেনের আলো দেবে... এইসব আকাশ-কুসুম চিন্তাধারায় কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ দিনপাত করছেন। কিন্তু বলতে পারেন, কংগ্রেসের জন্য এই প্রশ্ন কেন উঠছে না? অথচ, তাদেরই বেশি করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ এবং ৫২। নরেন্দ্র মোদির প্রথম ইনিংসে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমেছিল ১৬২টি। এর কারণ কী? শুধুই দুর্নীতি? কয়লা কেলেঙ্কারি, অথবা টুজি? খুচরো দুর্নীতি দেখে ভারতবাসী অভ্যস্ত। সেটা আর বিরাট পরিধিতে মানুষের মধ্যে দাগ কাটে না। তার জন্য ৫০টি আসন কমতে পারে। কিন্তু পতনের সংখ্যা ১৬২? কখনওই নয়। তার উপর যেখানে বেশ কয়েকটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প শুরু করেছিল ইউপিএ’র দ্বিতীয় সরকার। প্রধান তো অবশ্যই ছিল খাদ্য সুরক্ষা। তাহলে কারণটা কী? একটা বিষয় এক্ষেত্রে নজর করতে হবে। ২০০৪ সালে কংগ্রেসের মুখ কে ছিলেন? সোনিয়া গান্ধী। আর ২০০৯ সালে? মনমোহন সিং। এ পর্যন্ত কোনও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু ২০১৪ সালে? কংগ্রেস কিন্তু ততদিনে একজনকেই প্রজেক্ট করায় মন দিয়েছিল—রাহুল গান্ধী। তারপর তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। এখনও মুখ সেই রাহুল গান্ধী। তিনি গত কয়েক বছরে সাংবাদিক সম্মেলন এবং ভারত জোড়ো ছাড়া কী করেছেন? তাও এমন সব রাজ্যে, যেখানে বিজেপির কোমরে জোর নেই! কোন কর্মসূচি গত কয়েক বছরে কংগ্রেস নিয়েছে যে, আসন সংখ্যা ৪৪ থেকে লাফিয়ে ১৫৫-তে গিয়ে পৌঁছবে? ইস্যু ধরার ক্ষেত্রে কংগ্রেস গত পাঁচ বছর ধরেই শর্ট টার্ম মেমোরি লস উপসর্গে ভুগছে। কোনও ইস্যুই ছ’মাসের বেশি তাদের মনে থাকে না। তা সে পেগাসাস হোক, টাকার অবমূল্যায়ন, আদানি, পেট্রল-ডিজেল... সবই শেষ ওই প্রেস কনফারেন্সে। তারপরও মানুষ কংগ্রেসের উপর ভরসা রাখবে? এই আশা রাহুল গান্ধীও করেন তো? 
নরেন্দ্র মোদির আর কিছু না থাকুক, নিত্যনতুন স্বপ্ন দেখানোর প্ল্যানিং রয়েছে। আর আছে ঢাক পেটানোর ক্ষমতা। সব মিলিয়ে মার্কেটিংয়ের অকাট্য প্যাকেজ। একটু তলিয়ে দেখলে, মাসখানেক যাবৎ মোদি লাগাতার একটি সংখ্যার উপর জোর দিয়ে চলেছেন—৩৭০। বিজেপি নাকি আসন্ন নির্বাচনে এই অঙ্ক দখল করে ফেলবে। নেপথ্য কারণ কী? কাশ্মীরকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ থেকে ‘মুক্ত’ করার নিঃশব্দ প্রচার। মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া, ‘আমরাই করেছি। কয়েক বছর কেটে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ওই ঐতিহাসিক ঘটনা ভুলে গেলে চলবে না! তাই বারবার আমরা হাতুড়ির ঘা দিয়ে যাব আপনাদের মগজে। বলব, আমরা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছি। ওটাই আমাদের ‘নম্বর’। আসন প্রাপ্তির নিরিখেও তাই ৩৭০ আসবে। বারবার। ভোট পর্যন্ত।’ আম জনতাকে বিশ্বাস করানো হবে, নরেন্দ্র মোদিই ফিরছেন ক্ষমতায়। অন্যত্র ভোট দিয়ে লাভ নেই। কারণ, তাদের কোনও সম্ভাবনাই এটাই নিয়তি। 
নিয়তির প্রসঙ্গ টেনেছিলেন জওহরলাল নেহরুও। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম ভাষণে। এই দেশ কীভাবে যুগ যুগ ধরে নিয়তির সঙ্গে ঘর-সংসার পেতে এসেছে। কীভাবে তাকে মাথা পেতে নিয়েছে। কীভাবে লড়াই করেছে। বলেছিলেন, ‘যে প্রাপ্তি নিয়ে আজ আমরা আনন্দ করছি, সেটা প্রথম ধাপ মাত্র। সাফল্য আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেই পথচলা শুরু হয়ে গিয়েছে আজ। সেই সাফল্য ছোঁয়ার মতো সাহস এবং বিবেচনা করার ক্ষমতা আমাদের আছে তো? ভবিষ্যৎ যে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে, তা আমরা নিতে প্রস্তুত তো?’ নেহরুর সেই বিখ্যাত ভাষণের অর্থ অবশ্য মোদি জমানায় বদলে গিয়েছে। নতুন সূর্যোদয়ে দেশবাসীকে জাগিয়ে তোলার যে চেষ্টা তিনি করেছিলেন, এখন সেটাই হয়ে গিয়েছে ভারতকে হেয় করার চেষ্টা! নরেন্দ্র মোদি সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন, ভারতের সামর্থ্যে আস্থা ছিল না নেহরুর। স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও তাও দেশ এতটুকু এগতে পারেনি। ভারতকে সামনের সারিতে ঠেলে দেওয়ার কারিগর শুধু এবং শুধুই মোদি। কংগ্রেস মুক্ত ভারত হলে দেশবাসীর লাভ কী হবে? দুর্নীতি কমে যাবে? মূল্যবৃদ্ধি থাকবে না? বছরে ২ কোটি চাকরি হবে? নাকি প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকবে? আসলে, এর কোনওটাই হবে না। তাহলে কংগ্রেস-মুক্ত ভারতে লাভ কার? একমাত্র নরেন্দ্র মোদির। কারণ তিনি জানেন, এই একটি দল যদি কোনওভাবে ১৫০ আসন পেয়ে যায়, তাঁর তৃতীয়বার সরকারে ফেরা হবে না। আঞ্চলিক দলগুলি সব মিলিয়ে কত আসন পেতে পারে? খুব বেশি হলে ১৫০! তার মধ্যেও আবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে ছাড়া ৩০ পেরনোর ক্ষমতা খুব বেশি দলের নেই। আম আদমি পার্টি দিল্লি এবং পাঞ্জাব দিয়ে কিছুটা মেক আপ দেবে। সমাজবাদী পার্টি যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আসরে নামত, তাহলে উত্তরপ্রদেশেও কিছুটা লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা ছিল। এখন বিজেপি বিরোধী ভোট নিশ্চিতভাবে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। কয়েকটা আসন মায়াবতীও দখল করবেন। তেলেঙ্গানায় কেসিআর যে ক’টা পাবেন, কিংবা অন্ধ্রে জগন্মোহন রেড্ডি... ধরে নেওয়া যেতে পারে, সবটাই চলে যাবে বিজেপি তথা এনডিএর ঝুলিতে। তাই এভাবে কুড়িয়ে-বাড়িয়ে সরকার গড়া মুশকিল। শুধুমাত্র কংগ্রেস যদি ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়াতে পারে, জোট সরকার গঠন সম্ভব। নরেন্দ্র মোদি সেটাই চান না। তাই রাহুল গান্ধীদের কফিনে পেরেক মেরেই চলেছেন তিনি। এই ট্রেন্ড আপাতত চলবে। আর মোদি জানেন, যতদিন রাহুল গান্ধীরা বিরোধী পক্ষকে ‘নেতৃত্ব’ দেবে, ততই তাঁর লাভ। বিরোধীদের উপর থেকে ভরসার ‘ভ’ টুকুও আর থাকবে না দেশবাসীর মনে। তাই অ্যাকাউন্ট তো বাহানা মাত্র। লক্ষ্য তাঁর অনেক বড়। দাবার বোর্ড সাজিয়ে বসেছেন মোদি। গুটিগুলো সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু এখনও সবটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে। অঘটন ঘটানোর মতো মন্ত্রী-ঘোড়া বিরোধীদের নেই। বোড়েই শেষ আশা তাদের। আর রাজনীতির দাবাখেলায় বোড়ে কারা? আম জনতা।
20th  February, 2024
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...

শুক্রবার বিকেল। আইফেল টাওয়ারের অদূরে হঠাৎই নজর কেড়ে নিলেন পাঞ্জাবি স্বামী-স্ত্রী। বয়স মেরেকেটে ৩০-৩৫। কাঁধে ঝোলানো এক তালবাদ্য। আর তাতেই হাতের খেল দেখাচ্ছেন তাঁরা। উপরি পাওনা অমরিন্দরের গান। খোলা গলায় তিনি ধরেছেন দালের মেহেন্দির ‘বোলো তা রা রা রা...’।  ওলিম্পিকসের ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের নিরিখে ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM