Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বোঝাপড়ার অঙ্কেই কি এত আসন দাবি?
তন্ময় মল্লিক

দৃশ্য-১: স্থান-পি সুন্দরাইয়া ভবন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের সিপিএমের এরিয়া অফিস। কিছুক্ষণ পরেই হবে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি। তাই বাইরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের জটলা। একটি ঘরে চলছে পঞ্চায়েত দখলের শলাপরামর্শ। যাকে বলে, একেবারে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। রয়েছেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী, কিন্তু সকলেই সিপিএম নন। তারমধ্যে পাঁচজন বিজেপি এবং দু’জন নির্দল সদস্য। ক্রস ভোটিং এড়াতে নেওয়া হচ্ছে ক্লাস। প্রশিক্ষকের ভূমিকায় দুই দলের দুই নেতা। একজন সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক, অন্যজন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত, প্রধান হবে সিপিএমের, উপ প্রধান বিজেপির। প্রত্যেকে বাধ্য ছাত্রের মতো ঘাড় নেড়ে জানিয়ে দিলেন, কোনও ভুলচুক হবে না।
দৃশ্য-২: স্থান-নন্দকুমার বিডিও অফিসের সভাকক্ষ। দলবদ্ধভাবে ঢুকলেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। হাজির তৃণমূলের টিকিটে জেতা ১১জন সদস্যও। উভয় দলের পক্ষ থেকে প্রধান ও উপ প্রধানের নাম প্রস্তাব করা হল। নিয়ম মেনে নেওয়া হল ভোট। গোপন ব্যালটে। ফলাফল সিপিএম-বিজেপি জোটের অনুকূলে ১২-১১।
দৃশ্য-৩: সবই হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। তাই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের একটা দায় থেকেই যায়। ফের ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের এরিয়া অফিসে ঢুকলেন। জানালেন তাঁদের দায়িত্ব পালনের কথা। তারপর সাংবাদিকদের দাবি মেনে ১২জন সদস্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালেন। মুখে হাসি, হাতে বিজয়চিহ্ন। সিপিএম-বিজেপি-নির্দল মিলেমিশে একাকার। ঝলসে উঠল ক্যামেরার ফ্ল্যাশগান। তাঁদের মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে কমরেড জ্যোতি বসুর ছবি। 
হ্যাঁ, এরপরেও সিপিএমের নেতারা বুক ফুলিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের কথা বলবেন। কারণ তাঁরা গোয়েবেলসের থিওরিতেই বিশ্বাসী। মিথ্যেকে সত্যি বলে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাই একই মিথ্যে বারবার বলে যেতে হবে। একবার, দু’বার, দশবারেও বিশ্বাস না করলে একটা সময় মিথ্যে শুনতে শুনতে তাকেই ‘সত্যি’ বলে ভাববে। হিটলারের যাবতীয় অপরাধ এইভাবেই আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন গোয়েবেলস। তাঁর সেই থিওরি পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়। কিন্তু এই থিওরির একটাই সমস্যা, প্রকৃত সত্যিটা সামনে এলে বিশ্বাস উবে যায় কর্পূরের চেয়েও তাড়াতাড়ি। 
তিন রা঩জ্যে জেতার পর বঙ্গ বিজেপির লম্ফঝম্ফ কিঞ্চিৎ বেড়েছে। জয় সেলিব্রেট করার জন্য জেলায় জেলায় গেরুয়া আবির মেখে মিছিল হয়েছে। কোথাও কোথাও লাড্ডু বিলিও হয়েছে। বিজেপির এসব কাণ্ডকারখানা দেখে সিপিএম রাজত্বের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তখন বাংলায় কংগ্রেস টিম টিম করে জ্বলছে। ক্ষমতায় ফেরা তো দূরের কথা, সিপিএমের সঙ্গে লড়াইয়ের জায়গাতেও নেই। কিন্তু অন্য রাজ্যে দল জিতলেই বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নেমে পড়তেন। বাজনা বাজিয়ে, পটকা ফাটিয়ে, আবির খেলতে খেলতে বিজয়মিছিল করতেন। নাচনকোদন দেখে মনে হতো, কংগ্রেস বোধহয় এরাজ্যেই জিতেছে। কিন্তু ’৭৭ সালে কংগ্রেস সেই যে গেল আর ফিরল না। অথচ তারপর কংগ্রেস বারবার দিল্লির ক্ষমতায় বসেছে। কিন্তু বাংলা দখল করতে পারেনি। কারণ বাংলা একবার মুখ ঘুরিয়ে নিলে তার দিকে ফিরেও তাকায় না। এটাই বাংলার ট্র্যাডিশন। বাংলার পর রাজস্থানেও শূন্য হয়ে গেল সিপিএম। গতবার দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার আরও বেশি আসন পাওয়ার আশায় ছিল। ভেবেছিল, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে তারাই হবে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’। কিন্তু কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমও সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে রাজস্থানে তাদের আর ‘কিং মেকার’ হওয়া হল না। 
এর আগে ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে রুখে দিতে পারেনি সিপিএম। তবে, সেখানে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল। সেটাকেই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার ‘ঢাল’ বানিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভোট কাটুয়া’ বলে সিপিএম, কংগ্রেস একযোগে আক্রমণ করেছিল। বলেছিল, বিজেপিকে জেতানোর জন্যই তৃণমূল ত্রিপুরায়, মেঘালয়ে প্রার্থী দিয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তৃণমূল সেটিং করে বিজেপির ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’ গঠনে সাহায্য করছে।
তর্কের খাতিরে ধরেই নেওয়া গেল, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারিয়ে দিয়েছেন। তাহলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই ফল হল কেন? সেখানে তো তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারেও যাননি। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের কেন এই ফল? সিপিএম কেন রাজস্থানে দু’টি আসন ধরে রাখতে পারল না?
বাংলায় একটা কথা আছে, যত দোষ নন্দ ঘোষ। কংগ্রেস ও সিপিএমের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ‘নন্দ ঘোষ’। ভোটে হারলেই তাঁর দিকে তোলে আঙুল। তিন রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পর লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী ছিলেন ‘স্পিকটি নট’। মুখে রা কাটেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলামাত্র অধীরবাবুর মুখে বুলি ফিরেছে। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কংগ্রেস সিট শেয়ারিং করলে তিন রাজ্যে এই ফল হতো না। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা হলে চব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না। এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির জয়কে বড় করে দেখাতে চাননি। তিনি সুকৌশলে চব্বিশের ভোটে বিজেপি বিরোধী লড়াইটা ঩জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন। সেটাই কি তাঁর দোষ? বঙ্গ কংগ্রেস আত্মসমালোচনার ধার ধারে না। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তা শুধরে না নিয়ে আক্রমণ করে। উদ্দেশ্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়া। এবারও অধীরবাবু সেটাই করলেন। তাঁর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন? বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানালে অধীরবাবুরা বাজার গরম করার সুযোগটা পেতেন। তাঁরা বলতে পারতেন, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে একজনও তৃণমূল সমর্থক নেই। তাই ওঁর এই আবেদনের কোনও মূল্য নেই। বিজেপিকে হারানোর জন্য কংগ্রেসের অন্য কারও দয়ার দরকার নেই। 
রাজনীতিতে ‘কমন এনিমি’ বলে একটা কথা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বিজেপি, বঙ্গ কংগ্রেস এবং সিপিএমের সেই ‘কমন এনিমি’। তাঁর জন্যই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহরা বাংলায় দাঁত ফোটাতে পারছেন না। তাঁর জন্যই সিপিএমকে ৩৪ বছরের রাজ্যপাট গোটাতে হয়েছে। তাঁর জন্যই বাংলায় কংগ্রেস দলটা আজ সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। ফলে সোনিয়া গান্ধী হাজার চেষ্টা করলেও লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি-বিরোধী জোট করাতে পারবেন না। কেউ ব্যক্তিগত, কেউ দলগত ঝাল মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেই যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য সিপিএম সবসময় এক পায়ে খাড়া। সিপিএম নেতৃত্ব জানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাস্তা নিয়েছে। সেই কারণে গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিজেপিকে দু’হাত উজাড় করে ভোট দিয়ে যাচ্ছে বামেরা। তা করতে গিয়ে নিজেরা শূন্য হয়েছে, কিন্তু রাস্তা বদলায়নি। বিজেপির ক্ষতি হবে এমন কাজ সিপিএম ভুল করেও করে না। পঞ্চায়েত ভোটেও বহু জায়গায় তৃণমূলকে হারানোর জন্য সিপিএম কৌশলে বিজেপিকে আসন ছেড়ে দিয়েছিল। লড়াই হয়েছিল একের বিরুদ্ধে এক। তবে, শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের জন্য কোনও নাটক করেনি। একেবারে খুল্লামখুল্লা বোঝাপড়া। বার্তা পরিষ্কার, লোকসভা ভোটে বাংলায় মমতাকে লড়তে হবে ‘রামধনু জোটে’র বিরুদ্ধে।
নির্বাচনে সংগঠনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও কখনও কখনও ‘হাওয়া’ বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা তার প্রমাণও পেয়েছে। কোনও রকম সাংগঠনিক শক্তি ছাড়াই বিজেপি এরাজ্যে প্রায় অর্ধেক আসন জিতে গিয়েছিল। তারপর থেকেই এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ জেলাতেই বিজেপি অর্ধেক বুথ কমিটিও  তৈরি করতে পারেনি। ফলে প্রতিটি নির্বাচনেই বিজেপি হয়েছে গোহারা। তারপরেও দিল্লির বিজেপি নেতাদের কেউ ৩৫টা, কেউ ২৫টা আসন দখলের হুঙ্কার ছেড়েছেন। নেতারা এত জোর পাচ্ছেন কোথা থেকে? এর পিছনে কি আছে নন্দকুমারের মতো কোনও বোঝাপড়া! নাকি এসব একুশের ভোটের মতোই ফাঁকা আওয়াজ? পর্দা ফাঁসের জন্য অপেক্ষা আর কয়েক মাসের।
09th  December, 2023
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
আলুর দাম কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ফের এই দাবি করলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়। শুক্রবার বণিকসভা আইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে। ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...

গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল সরকার। ...

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM