Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বোঝাপড়ার অঙ্কেই কি এত আসন দাবি?
তন্ময় মল্লিক

দৃশ্য-১: স্থান-পি সুন্দরাইয়া ভবন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের সিপিএমের এরিয়া অফিস। কিছুক্ষণ পরেই হবে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি। তাই বাইরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের জটলা। একটি ঘরে চলছে পঞ্চায়েত দখলের শলাপরামর্শ। যাকে বলে, একেবারে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। রয়েছেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী, কিন্তু সকলেই সিপিএম নন। তারমধ্যে পাঁচজন বিজেপি এবং দু’জন নির্দল সদস্য। ক্রস ভোটিং এড়াতে নেওয়া হচ্ছে ক্লাস। প্রশিক্ষকের ভূমিকায় দুই দলের দুই নেতা। একজন সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক, অন্যজন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত, প্রধান হবে সিপিএমের, উপ প্রধান বিজেপির। প্রত্যেকে বাধ্য ছাত্রের মতো ঘাড় নেড়ে জানিয়ে দিলেন, কোনও ভুলচুক হবে না।
দৃশ্য-২: স্থান-নন্দকুমার বিডিও অফিসের সভাকক্ষ। দলবদ্ধভাবে ঢুকলেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। হাজির তৃণমূলের টিকিটে জেতা ১১জন সদস্যও। উভয় দলের পক্ষ থেকে প্রধান ও উপ প্রধানের নাম প্রস্তাব করা হল। নিয়ম মেনে নেওয়া হল ভোট। গোপন ব্যালটে। ফলাফল সিপিএম-বিজেপি জোটের অনুকূলে ১২-১১।
দৃশ্য-৩: সবই হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। তাই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের একটা দায় থেকেই যায়। ফের ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের এরিয়া অফিসে ঢুকলেন। জানালেন তাঁদের দায়িত্ব পালনের কথা। তারপর সাংবাদিকদের দাবি মেনে ১২জন সদস্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালেন। মুখে হাসি, হাতে বিজয়চিহ্ন। সিপিএম-বিজেপি-নির্দল মিলেমিশে একাকার। ঝলসে উঠল ক্যামেরার ফ্ল্যাশগান। তাঁদের মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে কমরেড জ্যোতি বসুর ছবি। 
হ্যাঁ, এরপরেও সিপিএমের নেতারা বুক ফুলিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের কথা বলবেন। কারণ তাঁরা গোয়েবেলসের থিওরিতেই বিশ্বাসী। মিথ্যেকে সত্যি বলে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাই একই মিথ্যে বারবার বলে যেতে হবে। একবার, দু’বার, দশবারেও বিশ্বাস না করলে একটা সময় মিথ্যে শুনতে শুনতে তাকেই ‘সত্যি’ বলে ভাববে। হিটলারের যাবতীয় অপরাধ এইভাবেই আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন গোয়েবেলস। তাঁর সেই থিওরি পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়। কিন্তু এই থিওরির একটাই সমস্যা, প্রকৃত সত্যিটা সামনে এলে বিশ্বাস উবে যায় কর্পূরের চেয়েও তাড়াতাড়ি। 
তিন রা঩জ্যে জেতার পর বঙ্গ বিজেপির লম্ফঝম্ফ কিঞ্চিৎ বেড়েছে। জয় সেলিব্রেট করার জন্য জেলায় জেলায় গেরুয়া আবির মেখে মিছিল হয়েছে। কোথাও কোথাও লাড্ডু বিলিও হয়েছে। বিজেপির এসব কাণ্ডকারখানা দেখে সিপিএম রাজত্বের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তখন বাংলায় কংগ্রেস টিম টিম করে জ্বলছে। ক্ষমতায় ফেরা তো দূরের কথা, সিপিএমের সঙ্গে লড়াইয়ের জায়গাতেও নেই। কিন্তু অন্য রাজ্যে দল জিতলেই বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নেমে পড়তেন। বাজনা বাজিয়ে, পটকা ফাটিয়ে, আবির খেলতে খেলতে বিজয়মিছিল করতেন। নাচনকোদন দেখে মনে হতো, কংগ্রেস বোধহয় এরাজ্যেই জিতেছে। কিন্তু ’৭৭ সালে কংগ্রেস সেই যে গেল আর ফিরল না। অথচ তারপর কংগ্রেস বারবার দিল্লির ক্ষমতায় বসেছে। কিন্তু বাংলা দখল করতে পারেনি। কারণ বাংলা একবার মুখ ঘুরিয়ে নিলে তার দিকে ফিরেও তাকায় না। এটাই বাংলার ট্র্যাডিশন। বাংলার পর রাজস্থানেও শূন্য হয়ে গেল সিপিএম। গতবার দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার আরও বেশি আসন পাওয়ার আশায় ছিল। ভেবেছিল, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে তারাই হবে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’। কিন্তু কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমও সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে রাজস্থানে তাদের আর ‘কিং মেকার’ হওয়া হল না। 
এর আগে ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে রুখে দিতে পারেনি সিপিএম। তবে, সেখানে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল। সেটাকেই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার ‘ঢাল’ বানিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভোট কাটুয়া’ বলে সিপিএম, কংগ্রেস একযোগে আক্রমণ করেছিল। বলেছিল, বিজেপিকে জেতানোর জন্যই তৃণমূল ত্রিপুরায়, মেঘালয়ে প্রার্থী দিয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তৃণমূল সেটিং করে বিজেপির ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’ গঠনে সাহায্য করছে।
তর্কের খাতিরে ধরেই নেওয়া গেল, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারিয়ে দিয়েছেন। তাহলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই ফল হল কেন? সেখানে তো তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারেও যাননি। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের কেন এই ফল? সিপিএম কেন রাজস্থানে দু’টি আসন ধরে রাখতে পারল না?
বাংলায় একটা কথা আছে, যত দোষ নন্দ ঘোষ। কংগ্রেস ও সিপিএমের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ‘নন্দ ঘোষ’। ভোটে হারলেই তাঁর দিকে তোলে আঙুল। তিন রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পর লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী ছিলেন ‘স্পিকটি নট’। মুখে রা কাটেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলামাত্র অধীরবাবুর মুখে বুলি ফিরেছে। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কংগ্রেস সিট শেয়ারিং করলে তিন রাজ্যে এই ফল হতো না। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা হলে চব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না। এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির জয়কে বড় করে দেখাতে চাননি। তিনি সুকৌশলে চব্বিশের ভোটে বিজেপি বিরোধী লড়াইটা ঩জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন। সেটাই কি তাঁর দোষ? বঙ্গ কংগ্রেস আত্মসমালোচনার ধার ধারে না। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তা শুধরে না নিয়ে আক্রমণ করে। উদ্দেশ্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়া। এবারও অধীরবাবু সেটাই করলেন। তাঁর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন? বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানালে অধীরবাবুরা বাজার গরম করার সুযোগটা পেতেন। তাঁরা বলতে পারতেন, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে একজনও তৃণমূল সমর্থক নেই। তাই ওঁর এই আবেদনের কোনও মূল্য নেই। বিজেপিকে হারানোর জন্য কংগ্রেসের অন্য কারও দয়ার দরকার নেই। 
রাজনীতিতে ‘কমন এনিমি’ বলে একটা কথা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বিজেপি, বঙ্গ কংগ্রেস এবং সিপিএমের সেই ‘কমন এনিমি’। তাঁর জন্যই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহরা বাংলায় দাঁত ফোটাতে পারছেন না। তাঁর জন্যই সিপিএমকে ৩৪ বছরের রাজ্যপাট গোটাতে হয়েছে। তাঁর জন্যই বাংলায় কংগ্রেস দলটা আজ সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। ফলে সোনিয়া গান্ধী হাজার চেষ্টা করলেও লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি-বিরোধী জোট করাতে পারবেন না। কেউ ব্যক্তিগত, কেউ দলগত ঝাল মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেই যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য সিপিএম সবসময় এক পায়ে খাড়া। সিপিএম নেতৃত্ব জানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাস্তা নিয়েছে। সেই কারণে গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিজেপিকে দু’হাত উজাড় করে ভোট দিয়ে যাচ্ছে বামেরা। তা করতে গিয়ে নিজেরা শূন্য হয়েছে, কিন্তু রাস্তা বদলায়নি। বিজেপির ক্ষতি হবে এমন কাজ সিপিএম ভুল করেও করে না। পঞ্চায়েত ভোটেও বহু জায়গায় তৃণমূলকে হারানোর জন্য সিপিএম কৌশলে বিজেপিকে আসন ছেড়ে দিয়েছিল। লড়াই হয়েছিল একের বিরুদ্ধে এক। তবে, শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের জন্য কোনও নাটক করেনি। একেবারে খুল্লামখুল্লা বোঝাপড়া। বার্তা পরিষ্কার, লোকসভা ভোটে বাংলায় মমতাকে লড়তে হবে ‘রামধনু জোটে’র বিরুদ্ধে।
নির্বাচনে সংগঠনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও কখনও কখনও ‘হাওয়া’ বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা তার প্রমাণও পেয়েছে। কোনও রকম সাংগঠনিক শক্তি ছাড়াই বিজেপি এরাজ্যে প্রায় অর্ধেক আসন জিতে গিয়েছিল। তারপর থেকেই এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ জেলাতেই বিজেপি অর্ধেক বুথ কমিটিও  তৈরি করতে পারেনি। ফলে প্রতিটি নির্বাচনেই বিজেপি হয়েছে গোহারা। তারপরেও দিল্লির বিজেপি নেতাদের কেউ ৩৫টা, কেউ ২৫টা আসন দখলের হুঙ্কার ছেড়েছেন। নেতারা এত জোর পাচ্ছেন কোথা থেকে? এর পিছনে কি আছে নন্দকুমারের মতো কোনও বোঝাপড়া! নাকি এসব একুশের ভোটের মতোই ফাঁকা আওয়াজ? পর্দা ফাঁসের জন্য অপেক্ষা আর কয়েক মাসের।
09th  December, 2023
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বিশদ

28th  August, 2024
একনজরে
সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...

লখনউয়ে একটি তিনতলা বাড়ি ভেঙে পড়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ...

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়ছে। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। দেশের সেরা টুর্নামেন্টের আগে কতটা তৈরি অংশগ্রহণকারী ১৩টি দল। কোচেরা কী বলছেন, ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে কাদের দিকে— ...

সম্প্রতি ইউক্রেনের একাধিক শহরে লাগাতার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এবার পুতিনের দেশকে তার মোক্ষম জবাব দিল জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ অধিকৃত খারকিভ অঞ্চলে আকাশ পথে হানায় আগুন ঝরাল ইউক্রেন। সৌজন্যে ‘ড্রাগন ড্রোন’। যা নিমেষের মধ্যে গাছপালা পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM