Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বোঝাপড়ার অঙ্কেই কি এত আসন দাবি?
তন্ময় মল্লিক

দৃশ্য-১: স্থান-পি সুন্দরাইয়া ভবন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের সিপিএমের এরিয়া অফিস। কিছুক্ষণ পরেই হবে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি। তাই বাইরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের জটলা। একটি ঘরে চলছে পঞ্চায়েত দখলের শলাপরামর্শ। যাকে বলে, একেবারে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। রয়েছেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী, কিন্তু সকলেই সিপিএম নন। তারমধ্যে পাঁচজন বিজেপি এবং দু’জন নির্দল সদস্য। ক্রস ভোটিং এড়াতে নেওয়া হচ্ছে ক্লাস। প্রশিক্ষকের ভূমিকায় দুই দলের দুই নেতা। একজন সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক, অন্যজন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত, প্রধান হবে সিপিএমের, উপ প্রধান বিজেপির। প্রত্যেকে বাধ্য ছাত্রের মতো ঘাড় নেড়ে জানিয়ে দিলেন, কোনও ভুলচুক হবে না।
দৃশ্য-২: স্থান-নন্দকুমার বিডিও অফিসের সভাকক্ষ। দলবদ্ধভাবে ঢুকলেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। হাজির তৃণমূলের টিকিটে জেতা ১১জন সদস্যও। উভয় দলের পক্ষ থেকে প্রধান ও উপ প্রধানের নাম প্রস্তাব করা হল। নিয়ম মেনে নেওয়া হল ভোট। গোপন ব্যালটে। ফলাফল সিপিএম-বিজেপি জোটের অনুকূলে ১২-১১।
দৃশ্য-৩: সবই হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। তাই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের একটা দায় থেকেই যায়। ফের ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের এরিয়া অফিসে ঢুকলেন। জানালেন তাঁদের দায়িত্ব পালনের কথা। তারপর সাংবাদিকদের দাবি মেনে ১২জন সদস্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালেন। মুখে হাসি, হাতে বিজয়চিহ্ন। সিপিএম-বিজেপি-নির্দল মিলেমিশে একাকার। ঝলসে উঠল ক্যামেরার ফ্ল্যাশগান। তাঁদের মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে কমরেড জ্যোতি বসুর ছবি। 
হ্যাঁ, এরপরেও সিপিএমের নেতারা বুক ফুলিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের কথা বলবেন। কারণ তাঁরা গোয়েবেলসের থিওরিতেই বিশ্বাসী। মিথ্যেকে সত্যি বলে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাই একই মিথ্যে বারবার বলে যেতে হবে। একবার, দু’বার, দশবারেও বিশ্বাস না করলে একটা সময় মিথ্যে শুনতে শুনতে তাকেই ‘সত্যি’ বলে ভাববে। হিটলারের যাবতীয় অপরাধ এইভাবেই আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন গোয়েবেলস। তাঁর সেই থিওরি পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়। কিন্তু এই থিওরির একটাই সমস্যা, প্রকৃত সত্যিটা সামনে এলে বিশ্বাস উবে যায় কর্পূরের চেয়েও তাড়াতাড়ি। 
তিন রা঩জ্যে জেতার পর বঙ্গ বিজেপির লম্ফঝম্ফ কিঞ্চিৎ বেড়েছে। জয় সেলিব্রেট করার জন্য জেলায় জেলায় গেরুয়া আবির মেখে মিছিল হয়েছে। কোথাও কোথাও লাড্ডু বিলিও হয়েছে। বিজেপির এসব কাণ্ডকারখানা দেখে সিপিএম রাজত্বের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তখন বাংলায় কংগ্রেস টিম টিম করে জ্বলছে। ক্ষমতায় ফেরা তো দূরের কথা, সিপিএমের সঙ্গে লড়াইয়ের জায়গাতেও নেই। কিন্তু অন্য রাজ্যে দল জিতলেই বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নেমে পড়তেন। বাজনা বাজিয়ে, পটকা ফাটিয়ে, আবির খেলতে খেলতে বিজয়মিছিল করতেন। নাচনকোদন দেখে মনে হতো, কংগ্রেস বোধহয় এরাজ্যেই জিতেছে। কিন্তু ’৭৭ সালে কংগ্রেস সেই যে গেল আর ফিরল না। অথচ তারপর কংগ্রেস বারবার দিল্লির ক্ষমতায় বসেছে। কিন্তু বাংলা দখল করতে পারেনি। কারণ বাংলা একবার মুখ ঘুরিয়ে নিলে তার দিকে ফিরেও তাকায় না। এটাই বাংলার ট্র্যাডিশন। বাংলার পর রাজস্থানেও শূন্য হয়ে গেল সিপিএম। গতবার দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার আরও বেশি আসন পাওয়ার আশায় ছিল। ভেবেছিল, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে তারাই হবে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’। কিন্তু কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমও সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে রাজস্থানে তাদের আর ‘কিং মেকার’ হওয়া হল না। 
এর আগে ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে রুখে দিতে পারেনি সিপিএম। তবে, সেখানে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল। সেটাকেই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার ‘ঢাল’ বানিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভোট কাটুয়া’ বলে সিপিএম, কংগ্রেস একযোগে আক্রমণ করেছিল। বলেছিল, বিজেপিকে জেতানোর জন্যই তৃণমূল ত্রিপুরায়, মেঘালয়ে প্রার্থী দিয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তৃণমূল সেটিং করে বিজেপির ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’ গঠনে সাহায্য করছে।
তর্কের খাতিরে ধরেই নেওয়া গেল, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারিয়ে দিয়েছেন। তাহলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই ফল হল কেন? সেখানে তো তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারেও যাননি। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের কেন এই ফল? সিপিএম কেন রাজস্থানে দু’টি আসন ধরে রাখতে পারল না?
বাংলায় একটা কথা আছে, যত দোষ নন্দ ঘোষ। কংগ্রেস ও সিপিএমের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ‘নন্দ ঘোষ’। ভোটে হারলেই তাঁর দিকে তোলে আঙুল। তিন রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পর লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী ছিলেন ‘স্পিকটি নট’। মুখে রা কাটেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলামাত্র অধীরবাবুর মুখে বুলি ফিরেছে। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কংগ্রেস সিট শেয়ারিং করলে তিন রাজ্যে এই ফল হতো না। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা হলে চব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না। এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির জয়কে বড় করে দেখাতে চাননি। তিনি সুকৌশলে চব্বিশের ভোটে বিজেপি বিরোধী লড়াইটা ঩জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন। সেটাই কি তাঁর দোষ? বঙ্গ কংগ্রেস আত্মসমালোচনার ধার ধারে না। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তা শুধরে না নিয়ে আক্রমণ করে। উদ্দেশ্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়া। এবারও অধীরবাবু সেটাই করলেন। তাঁর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন? বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানালে অধীরবাবুরা বাজার গরম করার সুযোগটা পেতেন। তাঁরা বলতে পারতেন, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে একজনও তৃণমূল সমর্থক নেই। তাই ওঁর এই আবেদনের কোনও মূল্য নেই। বিজেপিকে হারানোর জন্য কংগ্রেসের অন্য কারও দয়ার দরকার নেই। 
রাজনীতিতে ‘কমন এনিমি’ বলে একটা কথা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বিজেপি, বঙ্গ কংগ্রেস এবং সিপিএমের সেই ‘কমন এনিমি’। তাঁর জন্যই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহরা বাংলায় দাঁত ফোটাতে পারছেন না। তাঁর জন্যই সিপিএমকে ৩৪ বছরের রাজ্যপাট গোটাতে হয়েছে। তাঁর জন্যই বাংলায় কংগ্রেস দলটা আজ সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। ফলে সোনিয়া গান্ধী হাজার চেষ্টা করলেও লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি-বিরোধী জোট করাতে পারবেন না। কেউ ব্যক্তিগত, কেউ দলগত ঝাল মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেই যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য সিপিএম সবসময় এক পায়ে খাড়া। সিপিএম নেতৃত্ব জানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাস্তা নিয়েছে। সেই কারণে গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিজেপিকে দু’হাত উজাড় করে ভোট দিয়ে যাচ্ছে বামেরা। তা করতে গিয়ে নিজেরা শূন্য হয়েছে, কিন্তু রাস্তা বদলায়নি। বিজেপির ক্ষতি হবে এমন কাজ সিপিএম ভুল করেও করে না। পঞ্চায়েত ভোটেও বহু জায়গায় তৃণমূলকে হারানোর জন্য সিপিএম কৌশলে বিজেপিকে আসন ছেড়ে দিয়েছিল। লড়াই হয়েছিল একের বিরুদ্ধে এক। তবে, শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের জন্য কোনও নাটক করেনি। একেবারে খুল্লামখুল্লা বোঝাপড়া। বার্তা পরিষ্কার, লোকসভা ভোটে বাংলায় মমতাকে লড়তে হবে ‘রামধনু জোটে’র বিরুদ্ধে।
নির্বাচনে সংগঠনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও কখনও কখনও ‘হাওয়া’ বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা তার প্রমাণও পেয়েছে। কোনও রকম সাংগঠনিক শক্তি ছাড়াই বিজেপি এরাজ্যে প্রায় অর্ধেক আসন জিতে গিয়েছিল। তারপর থেকেই এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ জেলাতেই বিজেপি অর্ধেক বুথ কমিটিও  তৈরি করতে পারেনি। ফলে প্রতিটি নির্বাচনেই বিজেপি হয়েছে গোহারা। তারপরেও দিল্লির বিজেপি নেতাদের কেউ ৩৫টা, কেউ ২৫টা আসন দখলের হুঙ্কার ছেড়েছেন। নেতারা এত জোর পাচ্ছেন কোথা থেকে? এর পিছনে কি আছে নন্দকুমারের মতো কোনও বোঝাপড়া! নাকি এসব একুশের ভোটের মতোই ফাঁকা আওয়াজ? পর্দা ফাঁসের জন্য অপেক্ষা আর কয়েক মাসের।
09th  December, 2023
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM

মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজের উপর চলন্ত গাড়িতে আগুন, আতঙ্ক

09:57:00 AM

আজকের আবহাওয়া
সকাল আর রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা। দিনভর শীতের আর দেখা ...বিশদ

09:53:44 AM