Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বোঝাপড়ার অঙ্কেই কি এত আসন দাবি?
তন্ময় মল্লিক

দৃশ্য-১: স্থান-পি সুন্দরাইয়া ভবন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের সিপিএমের এরিয়া অফিস। কিছুক্ষণ পরেই হবে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি। তাই বাইরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের জটলা। একটি ঘরে চলছে পঞ্চায়েত দখলের শলাপরামর্শ। যাকে বলে, একেবারে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। রয়েছেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী, কিন্তু সকলেই সিপিএম নন। তারমধ্যে পাঁচজন বিজেপি এবং দু’জন নির্দল সদস্য। ক্রস ভোটিং এড়াতে নেওয়া হচ্ছে ক্লাস। প্রশিক্ষকের ভূমিকায় দুই দলের দুই নেতা। একজন সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক, অন্যজন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত, প্রধান হবে সিপিএমের, উপ প্রধান বিজেপির। প্রত্যেকে বাধ্য ছাত্রের মতো ঘাড় নেড়ে জানিয়ে দিলেন, কোনও ভুলচুক হবে না।
দৃশ্য-২: স্থান-নন্দকুমার বিডিও অফিসের সভাকক্ষ। দলবদ্ধভাবে ঢুকলেন ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য। হাজির তৃণমূলের টিকিটে জেতা ১১জন সদস্যও। উভয় দলের পক্ষ থেকে প্রধান ও উপ প্রধানের নাম প্রস্তাব করা হল। নিয়ম মেনে নেওয়া হল ভোট। গোপন ব্যালটে। ফলাফল সিপিএম-বিজেপি জোটের অনুকূলে ১২-১১।
দৃশ্য-৩: সবই হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। তাই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের একটা দায় থেকেই যায়। ফের ১২জন পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের এরিয়া অফিসে ঢুকলেন। জানালেন তাঁদের দায়িত্ব পালনের কথা। তারপর সাংবাদিকদের দাবি মেনে ১২জন সদস্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালেন। মুখে হাসি, হাতে বিজয়চিহ্ন। সিপিএম-বিজেপি-নির্দল মিলেমিশে একাকার। ঝলসে উঠল ক্যামেরার ফ্ল্যাশগান। তাঁদের মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে কমরেড জ্যোতি বসুর ছবি। 
হ্যাঁ, এরপরেও সিপিএমের নেতারা বুক ফুলিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের কথা বলবেন। কারণ তাঁরা গোয়েবেলসের থিওরিতেই বিশ্বাসী। মিথ্যেকে সত্যি বলে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাই একই মিথ্যে বারবার বলে যেতে হবে। একবার, দু’বার, দশবারেও বিশ্বাস না করলে একটা সময় মিথ্যে শুনতে শুনতে তাকেই ‘সত্যি’ বলে ভাববে। হিটলারের যাবতীয় অপরাধ এইভাবেই আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন গোয়েবেলস। তাঁর সেই থিওরি পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়। কিন্তু এই থিওরির একটাই সমস্যা, প্রকৃত সত্যিটা সামনে এলে বিশ্বাস উবে যায় কর্পূরের চেয়েও তাড়াতাড়ি। 
তিন রা঩জ্যে জেতার পর বঙ্গ বিজেপির লম্ফঝম্ফ কিঞ্চিৎ বেড়েছে। জয় সেলিব্রেট করার জন্য জেলায় জেলায় গেরুয়া আবির মেখে মিছিল হয়েছে। কোথাও কোথাও লাড্ডু বিলিও হয়েছে। বিজেপির এসব কাণ্ডকারখানা দেখে সিপিএম রাজত্বের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তখন বাংলায় কংগ্রেস টিম টিম করে জ্বলছে। ক্ষমতায় ফেরা তো দূরের কথা, সিপিএমের সঙ্গে লড়াইয়ের জায়গাতেও নেই। কিন্তু অন্য রাজ্যে দল জিতলেই বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নেমে পড়তেন। বাজনা বাজিয়ে, পটকা ফাটিয়ে, আবির খেলতে খেলতে বিজয়মিছিল করতেন। নাচনকোদন দেখে মনে হতো, কংগ্রেস বোধহয় এরাজ্যেই জিতেছে। কিন্তু ’৭৭ সালে কংগ্রেস সেই যে গেল আর ফিরল না। অথচ তারপর কংগ্রেস বারবার দিল্লির ক্ষমতায় বসেছে। কিন্তু বাংলা দখল করতে পারেনি। কারণ বাংলা একবার মুখ ঘুরিয়ে নিলে তার দিকে ফিরেও তাকায় না। এটাই বাংলার ট্র্যাডিশন। বাংলার পর রাজস্থানেও শূন্য হয়ে গেল সিপিএম। গতবার দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার আরও বেশি আসন পাওয়ার আশায় ছিল। ভেবেছিল, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে তারাই হবে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’। কিন্তু কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমও সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে রাজস্থানে তাদের আর ‘কিং মেকার’ হওয়া হল না। 
এর আগে ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে রুখে দিতে পারেনি সিপিএম। তবে, সেখানে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল। সেটাকেই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার ‘ঢাল’ বানিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভোট কাটুয়া’ বলে সিপিএম, কংগ্রেস একযোগে আক্রমণ করেছিল। বলেছিল, বিজেপিকে জেতানোর জন্যই তৃণমূল ত্রিপুরায়, মেঘালয়ে প্রার্থী দিয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তৃণমূল সেটিং করে বিজেপির ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’ গঠনে সাহায্য করছে।
তর্কের খাতিরে ধরেই নেওয়া গেল, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারিয়ে দিয়েছেন। তাহলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই ফল হল কেন? সেখানে তো তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারেও যাননি। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের কেন এই ফল? সিপিএম কেন রাজস্থানে দু’টি আসন ধরে রাখতে পারল না?
বাংলায় একটা কথা আছে, যত দোষ নন্দ ঘোষ। কংগ্রেস ও সিপিএমের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ‘নন্দ ঘোষ’। ভোটে হারলেই তাঁর দিকে তোলে আঙুল। তিন রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পর লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী ছিলেন ‘স্পিকটি নট’। মুখে রা কাটেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলামাত্র অধীরবাবুর মুখে বুলি ফিরেছে। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কংগ্রেস সিট শেয়ারিং করলে তিন রাজ্যে এই ফল হতো না। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা হলে চব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না। এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির জয়কে বড় করে দেখাতে চাননি। তিনি সুকৌশলে চব্বিশের ভোটে বিজেপি বিরোধী লড়াইটা ঩জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন। সেটাই কি তাঁর দোষ? বঙ্গ কংগ্রেস আত্মসমালোচনার ধার ধারে না। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তা শুধরে না নিয়ে আক্রমণ করে। উদ্দেশ্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়া। এবারও অধীরবাবু সেটাই করলেন। তাঁর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন? বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানালে অধীরবাবুরা বাজার গরম করার সুযোগটা পেতেন। তাঁরা বলতে পারতেন, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে একজনও তৃণমূল সমর্থক নেই। তাই ওঁর এই আবেদনের কোনও মূল্য নেই। বিজেপিকে হারানোর জন্য কংগ্রেসের অন্য কারও দয়ার দরকার নেই। 
রাজনীতিতে ‘কমন এনিমি’ বলে একটা কথা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বিজেপি, বঙ্গ কংগ্রেস এবং সিপিএমের সেই ‘কমন এনিমি’। তাঁর জন্যই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহরা বাংলায় দাঁত ফোটাতে পারছেন না। তাঁর জন্যই সিপিএমকে ৩৪ বছরের রাজ্যপাট গোটাতে হয়েছে। তাঁর জন্যই বাংলায় কংগ্রেস দলটা আজ সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। ফলে সোনিয়া গান্ধী হাজার চেষ্টা করলেও লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি-বিরোধী জোট করাতে পারবেন না। কেউ ব্যক্তিগত, কেউ দলগত ঝাল মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেই যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য সিপিএম সবসময় এক পায়ে খাড়া। সিপিএম নেতৃত্ব জানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাস্তা নিয়েছে। সেই কারণে গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিজেপিকে দু’হাত উজাড় করে ভোট দিয়ে যাচ্ছে বামেরা। তা করতে গিয়ে নিজেরা শূন্য হয়েছে, কিন্তু রাস্তা বদলায়নি। বিজেপির ক্ষতি হবে এমন কাজ সিপিএম ভুল করেও করে না। পঞ্চায়েত ভোটেও বহু জায়গায় তৃণমূলকে হারানোর জন্য সিপিএম কৌশলে বিজেপিকে আসন ছেড়ে দিয়েছিল। লড়াই হয়েছিল একের বিরুদ্ধে এক। তবে, শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের জন্য কোনও নাটক করেনি। একেবারে খুল্লামখুল্লা বোঝাপড়া। বার্তা পরিষ্কার, লোকসভা ভোটে বাংলায় মমতাকে লড়তে হবে ‘রামধনু জোটে’র বিরুদ্ধে।
নির্বাচনে সংগঠনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও কখনও কখনও ‘হাওয়া’ বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা তার প্রমাণও পেয়েছে। কোনও রকম সাংগঠনিক শক্তি ছাড়াই বিজেপি এরাজ্যে প্রায় অর্ধেক আসন জিতে গিয়েছিল। তারপর থেকেই এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ জেলাতেই বিজেপি অর্ধেক বুথ কমিটিও  তৈরি করতে পারেনি। ফলে প্রতিটি নির্বাচনেই বিজেপি হয়েছে গোহারা। তারপরেও দিল্লির বিজেপি নেতাদের কেউ ৩৫টা, কেউ ২৫টা আসন দখলের হুঙ্কার ছেড়েছেন। নেতারা এত জোর পাচ্ছেন কোথা থেকে? এর পিছনে কি আছে নন্দকুমারের মতো কোনও বোঝাপড়া! নাকি এসব একুশের ভোটের মতোই ফাঁকা আওয়াজ? পর্দা ফাঁসের জন্য অপেক্ষা আর কয়েক মাসের।
09th  December, 2023
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
একনজরে
বেড়ে চলা যন্ত্র নির্ভরতার আবহে ব্যতিক্রম নয় কৃষিক্ষেত্রও। স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিনাজপুরের কৃষিকাজের প্রসারে ব্যাপক যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে শুরু করল প্রশাসন। কৃষকরা যাতে কৃষিকাজে অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার  করে, তারজন্য উৎসাহ দিচ্ছে জেলা কৃষিদপ্তর। ...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়খণ্ড সরকারকে তিনবার ফোন করে বলেছিলেন ধীরে ধীরে জল ছাড়ুন। আগে থেকে একটু সতর্ক করে তবেই জল ছাড়বেন। তা না শোনায় বাংলার ...

গাড়ি বাজারে মান রাখল বাইক বা স্কুটারের মতো দু’চাকা গাড়ি। আগস্টেও কিছুটা কমে গেল যাত্রীবাহী গাড়ির বাজার। জুলাইতেও ভালো যায়নি এই বাজার। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, আসন্ন উৎসবের মরশুমে পরিস্থিতি বদলাবে। ...

দু’বছর জেলে থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ফায়েজি রাফসানজানি। ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিসের মারে মৃত্যু হয়েছিল মাহসা আমিনির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া দিবস
১১৮৭ - মুসলমান সেনারা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডের অংশ হিসেবে সেনাপতি সালাদিনের নেতৃত্বে জেরুজালেম অবরোধ শুরু করেন, যা ২ অক্টোবর তারিখ তাদের দখলে আসে
১৮৩১- বাষ্পচালিত প্রথম বাস নির্মাণ করা হয়
১৮৩৩- চার্লস ডারউইন ঘোড়ায় চড়ে বুয়েনস আইরেস যাত্রা করেন
১৮৫৪- অবিভক্ত বাংলায় প্রথম ডাকটিকেট বিক্রি শুরু হয়, ডাকটিকেটের চিত্রশিল্পী ছিলেন নুমারউদ্দীন
১৮৫৭- বিদ্রোহী সিপাহিদের হাত থেকে ব্রিটিশ সেনারা দিল্লি পুনর্দখল করে নেয়
১৮৬৯- কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যপরিচালক ও নট গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম
১৯৪৬- প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল
১৯৪৮- চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
১৯৫২- বাঙালি পরমাণু বিজ্ঞানী শেখর বসুর জন্ম
১৯৮৬- ঐতিহাসিক, ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ প্রবোধচন্দ্র সেনের মৃত্যু
২০০৪- চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৩৫ টাকা ১১২.৯২ টাকা
ইউরো ৯১.৯২ টাকা ৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। তৃতীয়া ৩৯/৩০ রাত্রি ৯/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ৫৩/৮ রাত্রি ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৩১/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৯ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩০ গতে ১০/০ মধ্যে। 
৩ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। তৃতীয়া রাত্রি ১/৩৩। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৩৫। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৩ গতে ১০/২ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলে সাইবার হানা, চলছে ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত ভিডিও

01:21:08 PM

ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল রাজ্য, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

01:16:00 PM

কলকাতা-মুম্বই ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট
কলকাতা-মুম্বই ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ...বিশদ

01:11:17 PM

দুর্নীতি মামলায় বিধায়ক সুদীপ্ত রায়কে আজ ফের তলব করল ইডি

01:06:00 PM

গুরুগ্রামে বাইক এবং গাড়ির সংঘর্ষ, মৃত বাইক আরোহী

12:57:00 PM

স্বাভাবিক হল ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মেদিনীপুরমুখী রাস্তা, চলছে গাড়ি

12:52:00 PM