Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ডেভিলস অ্যাডভোকেট
মৃণালকান্তি দাস 

ফ্যাসিবাদের ভয়াবহতায় কিশোর বয়সে ইহুদি উদ্বাস্তু হিসেবে জার্মানি ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন আমেরিকায়। হেইঞ্জ আলফ্রেড কিসিঞ্জার। নাম বদলে হয়েছিলেন হেনরি। 
হার্ভার্ডে পড়ার সময় এফবিআইয়ের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত ছিলেন গোয়েন্দাগিরিতে। আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র ও বিদেশনীতি নিয়ে তাঁর লেখা বই ‘নিউক্লিয়ার উইপনস অ্যান্ড ফরেন পলিসি’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। এই বইয়ে তিনি আমেরিকার জয় নিশ্চিত করতে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করতেও পরামর্শ দিয়েছিলেন। সমালোচকরা তাঁর নাম দিয়েছিলেন, ‘ড. হেনরি কিলিঞ্জার’। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এম নিক্সনের ‘ডান হাত’ হিসেবে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে মার্কিন কূটনীতির হাল ধরেছিলেন। আবার চীনের উত্থান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন প্রযুক্তির এই যুগে নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা— সবকিছু মিলিয়ে তাঁর শতবর্ষী জীবন নিয়ে বুঁদ হয়ে রয়েছেন অনেকেই। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছিলেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে কূটনীতি যদি একটি শিল্প হয়ে ওঠে, তাহলে হেনরি কিসিঞ্জার ছিলেন কূটনীতির একজন শিল্পী।’
তবে পশ্চিম দুনিয়ার বাইরে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই কিসিঞ্জারের এই জীবন বিতর্কিত। তাঁদের চোখে, মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে ‘কুখ্যাত’ যুদ্ধাপরাধী তিনিই। স্নায়ুযুদ্ধের সময় নিষ্ঠুর ও নির্দয়ের মতো অবস্থান নিয়েছিলেন কিসিঞ্জার। ইন্দোনেশিয়ার একনায়ক সুহার্তোর নেতৃত্বে পূর্ব তিমুরে, চিলিতে, কম্বোডিয়ায় নির্দয় ও নির্বিচার বোমাবর্ষণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা এবং খেমারুজের গণহত্যার পিছনে পরোক্ষভাবে কিসিঞ্জারের সমর্থন ছিল। তিনি আমেরিকার বিদেশ নীতির মহীরুহ হতে পারেন, কিন্তু তাঁর হাতে লেগে রয়েছে নিহত লাখো মানুষের রক্তের দাগ। যে ভিয়েতনাম যুদ্ধ তিন বছর আগেই বন্ধ করা যেত, কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য তা তিনি জিইয়ে রেখেছিলেন। তারই জন্য ১৯৭৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। দুনিয়াজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ উঠেছিল। সমালোচনা ও বিক্ষোভের ভয়ে তিনি পুরস্কার নিতেই যাননি। মার্কিন নথি বলছে, কিসিঞ্জার কোথায় কতগুলি বোমা পাঠাতে হবে, কোথায় কতগুলি বোমা ফেলতে হবে, তা ব্যক্তিগতভাবে তদারক করতেন। এই বোমাবাজি তাঁকে নেশার মতো পেয়ে বসেছিল।
কিসিঞ্জার বরাবর নিজের ভূমিকা জাতীয় স্বার্থের নিরিখে বিচারের কথা বলেছেন। মার্কিন অনুসৃত নীতির কারণে বহু মৃত্যু ও ধ্বংস হয়েছে, এ কথা তিনি স্বীকার করেছেন। কিন্তু তাঁর যুক্তি হল, ‘জন্ম মানেই মৃত্যু, জীবন মানেই যন্ত্রণা।’ তাঁর ভাষায়, এই কূটনীতি ‘রিয়েল পলিটিক’। যার মূল কথা, যেকোনও মূল্যে বিজয় অর্জন করতে হবে। সোজা কথায়, হোক ধ্বংস, হোক মানবাধিকারের লঙ্ঘন, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভালো-মন্দের বাছবিচার অবান্তর। ঠিক এই যুক্তিতেই তিনি উত্তর ভিয়েতনামের নেতৃত্বকে কাবু করার জন্য চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যে রেলযোগাযোগ-ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
নিজের ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে কিসিঞ্জার কত দূর যেতে প্রস্তুত ছিলেন, তার এক বড় উদাহরণ বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় গণহত্যা শুরু হয়েছিল, এ তথ্য কিসিঞ্জারের অজানা ছিল না। তখন তিনি প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সবচেয়ে কাছের লোক। তখন উইলিয়াম রজার্স বিদেশসচিব হলেও কিসিঞ্জারই ছিলেন নিক্সনের মন্ত্রণাদাতা। পাকিস্তানের গণহত্যার নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ‘আমাকে শয়তানের পক্ষে ওকালতি (ডেভিলস অ্যাডভোকেট) করতে দাও।’ গোটা কর্মজীবনে তাই-ই করেছেন!
১৯৭১-এর ২৮ মার্চ ঢাকায় মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড এক টেলিগ্রামে হোয়াইট হাউসকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ‘ভীতির রাজত্ব’ কায়েম হয়েছে বলে যে সতর্কবার্তা পাঠান, পরদিন সকালেই সে তথ্য কিসিঞ্জারের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। একদিন পর দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিটিং ‘নির্বাচিত গণহত্যা’ এই শিরোনামে এক টেলিগ্রামে অনুরোধ করেন, ‘নীতির ভিত্তিতে কর্মপন্থা নির্ধারণের এখনই সময়’। কিন্তু ঢাকা থেকে সামরিক অভিযানের খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বদলে খুশিই হয়েছিলেন কিসিঞ্জার। ২৯ মার্চ নিক্সনকে জানান, ‘পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা এখন ইয়াহিয়ার নিয়ন্ত্রণে।’ সে কথা শুনে নিক্সনের জবাব ছিল, ‘চমৎকার। মাঝেমধ্যে শক্তির ব্যবহার কাজে লাগে।’ এক সপ্তাহ পর, ৬ এপ্রিল, ঢাকা থেকে ২১ জন মার্কিন কূটনীতিক বাংলাদেশে গণহত্যায় মার্কিন নীরবতায় তাঁদের ‘ভিন্নমত’ জানিয়ে টেলিগ্রামে কড়া বার্তা পাঠান। স্বাক্ষরকারীদের একজন ছিলেন আর্চার ব্লাড। কিন্তু ১৩ মার্চ নিক্সনের কাছে এক মেমোতে কিসিঞ্জার পরামর্শ দেন, ‘এখন এমন কিছুই আমরা করব না, যা ইয়াহিয়ার পক্ষে অস্বস্তিকর। পাকিস্তানের ঐক্যের স্বার্থে আমাদের উচিত ইয়াহিয়ার সঙ্গে থাকা।’ 
আসলে আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষেই থাকবে, বাঙালিদের নয়— নিক্সন ও কিসিঞ্জার এই সিদ্ধান্ত এক বছর আগেই নিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৭০ সালের ২৫ অক্টোবর হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইয়াহিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি এক বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নেন। নিক্সন তাঁকে জানিয়েছিলেন, ‘আপনাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’ জবাবে ইয়াহিয়া বলেছিলেন, ‘আপনাদের বন্ধুত্বের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। কথা দিচ্ছি, এমন কিছুই করব না, যাতে আপনারা বিব্রত হন।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভিতরেই কিসিঞ্জারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠেছিল। পাত্তা দেননি কিসিঞ্জার। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তাঁর যুক্তি ছিল, এর ফলে ভারতকে সাহায্য করা হবে। সেই কথার সমালোচনা শুরু হলে কিসিঞ্জার নতুন পথ ধরেছিলেন। বলেছিলেন, এই নীতি আমার নয়, প্রেসিডেন্টের। পাকিস্তান, বিশেষত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার জন্য নিক্সনের ‘কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে’। পাকিস্তানের প্রতি কেন এই দুর্বলতা, পাকিস্তানের সামরিক শাসকের সঙ্গে কী বিশেষ সম্পর্ক— সে কথা তখনও অনেকের অজানা। জুলাইয়ের মাঝামাঝি জানা গেল, পাকিস্তানের সামরিক শাসকের মধ্যস্থতায় চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চলছে। নিজের স্মৃতিকথায় কিসিঞ্জার যুক্তি দেখিয়েছেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন আমেরিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর সেই সম্পর্ক স্থাপনে ‘একমাত্র’ সূত্র ছিল পাকিস্তানের ইয়াহিয়া। কথাটা মিথ্যে। 
সেই সময় স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্তা ছিলেন ক্রিস্টোফার ভ্যান হল্যান। পরে এক দীর্ঘ প্রবন্ধে তিনি প্রমাণ করেছেন, শুধু ইয়াহিয়া নয়, রোমানিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান চশেস্কু, ইরানের শাহ ও পোল্যান্ডের মাধ্যমে সেই যোগাযোগের সুযোগ ছিল। বস্তুত ইয়াহিয়ার আগে চশেস্কুর মাধ্যমে চীনা নেতাদের সম্মতিসূচক চিঠি এসে পৌঁছেছিল। ভ্যান হল্যান লিখেছেন, কিসিঞ্জার পিকিং ঘুরে এসেছেন এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে— এই ঘোষণার পর স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্তারা ভেবেছিলেন, পাকিস্তানের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এবার হয়তো আমেরিকা পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যার ব্যাপারে নীতি বদলাবে। কিসিঞ্জার তাতেও আপত্তি করেন। এবার তাঁর যুক্তি হল, ভারত শুধু পূর্ব পাকিস্তানের বিভক্তি নয়, পাকিস্তান আক্রমণ করে দেশটি দখল করতে চায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভ্যান হল্যান জানাচ্ছেন, সিআইএ এবং অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কেউই এই তথ্য দেয়নি। ভারত পূর্ব পাকিস্তান দখলে উদ্যত, এমন কথাও কোনও পক্ষ থেকেই বলা হয়নি। সবটাই কিসিঞ্জারের মনগড়া। অথচ, দিনের পর দিন এমন মনগড়া তথ্য প্রচার করে ভারতের বিরোধিতা করে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বারবার ‘বিচ’ এবং ভারতীয়দের ‘বাস্টার্ড’ ও ‘সান অব বিচ’ বলতেও ছাড়েননি।
বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ আক্রমণের মুখে দীর্ঘ সময় পাকিস্তানি সেনারা টিকে থাকতে পারবে না, এ কথা কিসিঞ্জার ও নিক্সনের অজ্ঞাত ছিল না। শেষ চেষ্টা হিসেবে তাঁরা বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ নৌসীমানায় পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জিত সপ্তম নৌবহর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্তই কাজে আসেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইয়াহিয়া-কিসিঞ্জার-নিক্সন ঠেকাতে পারেননি। কিসিঞ্জার পরে তাঁর ‘হোয়াইট হাউস ইয়ার্স’ গ্রন্থে সাফাই গেয়েছেন, তাঁর জন্যই (পশ্চিম) পাকিস্তানকে বাঁচানো গিয়েছে। বাংলাদেশের গণহত্যায় তিনি বাধা দেননি, কিন্তু ‘সবই করতে হয়েছিল পাকিস্তানকে বাঁচানো জন্য’।
ইতিহাস কীভাবে এই শতবর্ষী কূটনীতিককে মনে রাখবে? বিশ শতকের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব অস্বীকার করার জো নেই। আগ্রাসী মার্কিন বিদেশনীতির তিনিই প্রণেতা। ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য থেকে চিলি—বিগত শতকের প্রতিটি ঘটনায় তাঁর হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোসেফ মাসাদ লিখেছেন, আজ প্যালেস্তিনীয়দের যে দুর্দশা, তার প্রধান নকশাকার ছিলেন এই কিসিঞ্জার। মূলত তাঁর পরিকল্পনাতেই ইজরায়েলকে আমেরিকা অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় স্বার্থের নামে যে ‘রিয়েল পলিটিক’ তিনি প্রস্তাব করেন, তার কারণে শুধু লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানিই ঘটেনি, বিশ্বের মানুষের কাছে আমেরিকা নিন্দিত হয়েছে। বিশ ও একুশ শতকে আমেরিকার ইতিহাস যে তার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ইতিহাস, তার রূপকার কিসিঞ্জার-ই। বাঙালি সেই প্রয়াত হেনরি কিসিঞ্জারকে মনে রাখবে খুনে ইয়াহিয়ার দোসর হিসেবেই। ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক ক্রিস্টোফার হিচেন্স যাঁকে বলেছিলেন, ‘ক্ষমতার পর্নোগ্রাফির এক প্রতীক।’
07th  December, 2023
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
আলুর দাম কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ফের এই দাবি করলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়। শুক্রবার বণিকসভা আইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে। ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...

শুক্রবার বিকেল। আইফেল টাওয়ারের অদূরে হঠাৎই নজর কেড়ে নিলেন পাঞ্জাবি স্বামী-স্ত্রী। বয়স মেরেকেটে ৩০-৩৫। কাঁধে ঝোলানো এক তালবাদ্য। আর তাতেই হাতের খেল দেখাচ্ছেন তাঁরা। উপরি পাওনা অমরিন্দরের গান। খোলা গলায় তিনি ধরেছেন দালের মেহেন্দির ‘বোলো তা রা রা রা...’।  ওলিম্পিকসের ...

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM