Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টোকাটুকিতে ফার্স্টের আস্ফালন
হারাধন চৌধুরী

কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশে সরকার তৈরি করেছিল ১১ ডিসেম্বর, ২০২২। বিজেপির জয়রাম ঠাকুরকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুখ্যমন্ত্রী হন কংগ্রেসের সুখবিন্দর সিং সুখু। ২০ মে, ২০২৩ কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া (সিদ্ধু)। বিজেপির বাসবরাজ বোম্মাইয়ের কাছ থেকে কুর্সি ছিনিয়ে নেন তিনি। কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ের সামনে ধরাশায়ী হয় পূর্বতন দুই শাসক দল বিজেপি এবং জেডিএস। অর্থাৎ ছ’মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পরপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা হারানোয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় ‘মোদি ম্যাজিক’ তত্ত্ব। নরেন্দ্র মোদি শুধু সরকারে নন, বিজেপি এবং এনডিএ-তেও ‘একনায়ক’। কিন্তু তাঁর ক্যারিশমা ফিকে হতেই রাজ্যে রাজ্যে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে থাকে। দ্রুত ভাঙন ধরে এনডিএ’তেও। অকালি দলের পর একে একে এনডিএ ছেড়েছে শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী), জেডিইউ, এআইএডিএমকে এবং কয়েকটি ছোট দল। মওকা বুঝে বিরোধীরা তেড়েফুঁড়ে ‘ইন্ডিয়া’ মহাজোট গঠন করেছে। অমনি পাল্টা দিতে গত ১৯ জুলাই ৩৯ দলের ‘আরও তেজি’ এনডিএ-র চেহারা তুলে ধরেন মোদি। কিন্তু এই জোটে বিজেপি ছাড়া বাস্তবে কোনও উল্লেখযোগ্য দল যে নেই, তা সকলে জানেন।
এই অবস্থাতেই, হল পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার ভোট। বৈতরণী পেরনোর জন্য বিজেপি এবার নতুন প্ল্যান নেয়। কোনও রাজ্যেই আলাদাভাবে কোনও স্থানীয় ‘মুখ’ সামনে আনেনি তারা। সর্বত্রই ভোট চাওয়া হয়েছে মোদির নামে। কোনও সন্দেহ নেই, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে যে ঘরোয়া কোন্দল রয়েছে, সেটা ধামাচাপা দিতেই এই কৌশল। অন্যদিকে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ‘গণতন্ত্রী’ কংগ্রেস বলল, তারা মনে করে বিধানসভা নির্বাচনে হাইকমান্ড নয় স্থানীয় নেতৃত্বেরই গুরুত্ব পাওয়া উচিত। দুটি লাইনেরই ভালোমন্দ দুটি দিক এবং ঝুঁকি আছে। ৩ ও ৪ ডিসেম্বর রেজাল্ট বেরনোর পর পরিষ্কার হয় যে, এই জুয়ায় বিজেপি’ই জিতেছে।
কিন্তু শুধু এই কৌশলেই হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিজেপি জেতেনি এবং বিশেষ শক্তিবৃদ্ধি করেনি দক্ষিণী রাজ্য তেলেঙ্গানায়। বাকিটা ছিল মানুষের মন জয়ের নানা দিক। বিজেপির হিন্দুত্বের তাস অত্যন্ত পুরনো। বহু ব্যবহারে অস্ত্রটির ধার আর কতটা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই সংশয় থাকা অস্বাভাবিক নয়। অতএব মোদিরা এবার গরিব ও মধ্যবিত্তের মন জয়ের জন্যও বিপুল পসরা সাজিয়েছিলেন। কৃষকদের সঙ্কট, নারীর ক্ষমতায়ন, রান্নার গ্যাসের দাম, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্য আর্থ-সামাজিক ইস্যুগুলিতে দিল্লির বিরুদ্ধে যে অভিযোগের তর্জনী উঁচু হয়ে রয়েছে, তা খর্ব করতে কিছু ‘মানবিক’ ঘোষণা রয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ফ্রি রেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি, ভর্তুকি বৃদ্ধি রান্নার গ্যাসে, সারে ভর্তুকি প্রদান, এমএসপি’তে কৃষকের ধানক্রয়, বিনামূল্যে শস্যবিমা প্রভৃতি। বিপুল অর্থের পিএম জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান নামের একটি প্রকল্পও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতা পুনর্দখল করেছে ‘লাডলি বহেনা’য় ভর করে। সারা দেশ জানে, এটা বাংলার অতিজনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সোজাসাপটা টুকলি। বাকিগুলিও কমবেশি বিভিন্ন বিরোধী রাজ্যের ‘হল কালেকশন’। পাঁচ রাজ্যেই কংগ্রেস গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য নানাবিধ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বস্তুত কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের সঙ্গে ‘রেউড়ি’ বিতরণের প্রতিযোগিতার উপরেই বেশি ভরসা রেখেছিল মোদির পার্টি। 
কিন্তু মোদির রেউড়িকে ভোটদাতারা কি বেশি মিষ্টি মানলেন? হিন্দি বলয়ের রেজাল্টের পর রাজনৈতিক মহলকে প্রশ্নটি ভাবাচ্ছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস-সহ মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি কি তাদের চেনা জনমুখী লাইনে কিঞ্চিৎ হলেও আস্থা হারিয়েছে? তা না-হলে এবার কেন তারা হিন্দুত্বের লাইনে মোদির সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হল? খেয়াল করার মতো ব্যাপার এই যে, গত মার্চে কর্ণাটকে মোদিকেই সামনে রেখে হিন্দুত্বের যাবতীয় অস্ত্র প্রয়োগ করেছিল বিজেপি। তবু সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি তারা। এটা দেখার পরও নরম হিন্দুত্বের লাইন থেকে বহুগুণ বেড়েই খেলল এবার কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী এবং অন্য কিছু নামী কংগ্রেস নেতার মন্দিরে মন্দিরে পুজোপাঠের ছবি ব্যাপকভাবে প্রচার পেয়েছে। দারিদ্র্য-পীড়িত ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল সরকার ‘রাম বনগমন পথ’ প্রকল্প গড়তে বিপুল টাকা খরচ করেছে। নয়টি স্থানে বড় মন্দির নির্মাণসহ রামচন্দ্রের মূর্তি বসানো হচ্ছে। কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই কৃতিত্বকে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণেরও ঊর্ধ্বে রেখেছেন! জনসভায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন বাঘেল, ‘বিজেপি কি কংগ্রেসের চেয়ে বড় হিন্দু?’ পুষ্করের জগৎপিতা ব্রহ্মা মন্দিরের রূপ বদলে ব্যস্ত হয়েছিল রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। মরুরাজ্যের মন্দিরটি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট গড়ে তুলছিলেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও মন্দির-রাজনীতিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংকে দশ গোল দিতে সক্রিয় ছিলেন। গেরুয়া শিবিরের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে মন্দির রাজনীতির প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-ও। সরকারি কোষাগার উজাড় করে একাধিক হিন্দুমন্দির নির্মাণ ও সংস্কারে জোর দেন তিনি। চার রাজ্যের রেজাল্ট এটাই কি বুঝিয়ে দিল না, ‘কণ্ঠীদের’ গান মানুষ তেমন পাত্তা দেয় না?
রবিবারের রেজাল্ট ছিল বিজেপির পক্ষে ৩/৪ বা কংগ্রেসের পক্ষে১/৪। সোমবার মিজোরামে জেডপিএম জয়ী হওয়ার পরও উপর্যুক্ত দল দুটির জন্য রেজাল্ট অবিকৃত মনে হতে পারে, বাস্তবে কিন্তু তা নয়। কারণ ২০১৮ সালের রেজাল্টের পাশে উত্তর-পূর্বের এই ক্ষুদ্র রাজ্যেও কংগ্রেস অনেক পিছনে চলে গিয়েছে। গতবার পাঁচটি আসন পেয়ে কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে ছিল, এবার সেই জায়গাটিও রইল না, একটি আসনের মালিক কংগ্রেস এবার ৪ নম্বরে নেমে গিয়েছে। এমনকী নাগাল্যান্ডে একটি আসনের উপনির্বাচনেও গোহারা রাহুল গান্ধীর দল। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানায় ক্ষমতায় না গিয়েও বিজেপি এগিয়েছে অনেকটাই—আসন ১ থেকে ৮ হয়েছে।
রাজ্য দখলের ক্ষেত্রে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে গেল বিজেপি। এই ভোটের আগে বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় ছিল দশটি (হরিয়ানা, ইউপি, উত্তরাখণ্ড, এমপি, গোয়া, গুজরাত, ত্রিপুরা, অসম, মণিপুর ও অরুণাচল) রাজ্যে। রবিবার রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে জয়ের পর বিজেপি এক ডজন রাজ্যের ‘মালিক’ হয়ে উঠেছে। এনডিএ হিসেবে আরও পাঁচটি (মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি, মেঘালয়, সিকিম ও মিজোরাম) রাজ্যে ক্ষমতা ভোগ করে দলটি। কোনও সন্দেহ নেই দল এবং এনডিএ-র ফাটল মেরামতে মোদির এই সাফল্য অনেকখানি সহায়ক হবে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পার্লামেন্টের ভিতরে বাইরে গেরুয়া শিবিরের নয়া আস্ফালন! সব মিলিয়ে এটাই দাঁড়ায় যে, লোকসভা নির্বাচনের আগের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক লড়াই শেষে কংগ্রেসের মুখ সোমবার আরও বেশি ম্লান হয়েছে। তাহলে ব্রাত্য ‘মোদি ম্যাজিক’ তত্ত্বই ফের মাথা তুলছে না কি?
কংগ্রেসের এই পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতার জন্য রাহুল গান্ধীদের চেনা ‘দাদাগিরি’র মানসিকতাই যে বহুলাংশে দায়ী, তাতে সংশয় নেই। উদাহরণ—মধ্যপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সপা, গন্ডোয়ানা গণতন্ত্র পার্টি, রাজস্থানে ভারতীয় আদিবাসী পার্টি, জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানায় সিপিএম প্রভৃতি সামান্য কিছু আসন চেয়েও কংগ্রেসের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়। হিন্দি বলয়ে আপ, সিপিআই, জেডি(ইউ) প্রভৃতিও এবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একা লড়েছিল। এইসব ছোটখাট আহত শক্তি জায়গা ও ক্ষমতা অনুযায়ী কংগ্রেসকে উচিত শিক্ষা দিতে দেরিও করেনি।
‘ইন্ডিয়া’ জোটের পরবর্তী বৈঠকের আগেই, সংশ্লিষ্ট অনেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ‘সামন্ত প্রভু’ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।  পরিস্থিতি যা, তাতে ‘ম্যাজিশিয়ান’ মোদির মোকাবিলায় একজন  সমকক্ষ ম্যাজিশিয়ানকেই সামনে রাখা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এমন গুরুদায়িত্বে তাঁকেই মানায় যাঁকে সারা দেশ চেনে, যিনি বিজেপির মোকাবিলা করে জিততে অভ্যস্ত ও সিদ্ধহস্ত এবং যিনি সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। সোনিয়া গান্ধীর পুত্র ও কন্যার নাম এখন আর কোনও যুক্তিতেই বিবেচনায় আসে না। কারণ রাজনৈতিক-প্রশাসনিক পরীক্ষায় তাঁরা বারবার ফেল করেছেন—এবার তো বটেই। সার্বিকভাবে ‘ইন্ডিয়া’র উজ্জ্বল মুখ হয়ে ওঠার জন্য বাংলার জননেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে যোগ্যতর কেউ নেই। প্রতিটি ভোট বৈতরণী পেরতে যে ‘গোবৎস’ ভরসা, তার নানারূপ একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই আবিষ্কার। প্রকৃত উন্নয়নের সংজ্ঞা ও পন্থা গত এক দশকে বদলে দিয়েছেন তিনি। মমতার উন্নয়নচিন্তারই অনবদ্য কিছু ফসল হল—লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, ও রূপশ্রী, ট্যাব ও সবুজসাথী, খাদ্যশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু প্রভৃতি। জয়ের ভোট পেতে মোদির পার্টিই এবার স্বনামে-বেনামে সবচেয়ে বেশি এই ‘রেউড়ি’ খাইয়েছে মানুষকে। সোজা কথায়, মমতার খাতা সামনে রেখেই গণটোকাটুকি হয়েছে এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে।
অতএব ‘ইন্ডিয়া’র ঘরে উন্নয়নের এমন পরীক্ষিত ও সুসফল মুখ থাকতে তারা কেন আদাড়ে-বাদাড়ে হাতড়াতে যাবে? জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করে ভোটের দামামা সরকারিভাবে বাজানো হবে ঠিকই, কিন্তু ‘রেউড়ি লাইন’ ছেড়ে বেরনোর হিম্মত মোদিবাবুদেরও আর হবে না। সেখানে মমতার প্রকৃত উন্নয়নের নীতি ফেলে হিন্দুত্বের নিন্দনীয় লাইনই-বা টুকতে যাবে কোন দুর্বুদ্ধিতে—তাঁকে সামনে রেখে প্রকৃত জনকল্যাণের নীতিতেই অধিক আস্থা রাখা দরকার ইন্ডিয়ার—গরিব এবং মধ্যবিত্তরাই যে এখনও এই গণতন্ত্রের মূল শক্তি। গরিবের উন্নয়নের নীতি ম্যাজিকের মতোই অত্যন্ত কার্যকরী উপলব্ধি করেই না, প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী মমতার সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির টাকা আটকে দিতে আজও মরিয়া মোদি সরকার? টুকে ফার্স্ট হওয়াই যায়, তবে তার মুখে আস্ফালন বড়ই বেমানান।
06th  December, 2023
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
একনজরে
ধান রোয়ার কাজ করতে এসে কুঁড়ে ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মৃত্যু হল এক মহিলার। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন আরও এক দম্পতি। পুড়ে ছাই হয়ে ...

সুইডেনে প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা কেন্দ্রে গুলি চালানোর ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে হামলাকারীও। ...

ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে মহিলা রেশন ডিলারের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করল সাইবার প্রতারকরা। টেলিকম অথরিটির অফিসারের নাম করে প্রতারকরা বালুরঘাট শহরের এই মহিলাকে ভয় দেখায় ...

ওপেন এআই-এর সিইও স্যাম অলটম্যানের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বৈঠকের দিনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কতা সামনে এল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪০- ওয়াইটাঙ্গি চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশ কলোনি হিসাবে নিউজিল্যান্ডের আত্মপ্রকাশ
১৮৯০- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কর্মী সীমান্ত গান্ধী নামে পরিচিত খান আবদুল গফফর খানের জন্ম
১৮৯১- বিপ্লবী অমর বসুর জন্ম
১৯০৭- ইন্ডিয়ান লিগের প্রতিষ্ঠাতা তথা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রেভারেন্ড কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত্যু
১৯৩১- আইনজীবী, বিপ্লবী ও জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মতিলাল নেহেরুর মৃত্যু
১৯৩২- কলকাতা সমাবর্তন উৎসবে গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে গুলি করেন বিপ্লবী বীণা দাস
১৯৪০- সঙ্গীত শিল্পী ভূপিন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৪৬- বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর মৃত্যু
১৯৭০- অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরির জন্ম
১৯৭২- বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কলকাতায় আগমন এবং ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা
১৯৭৬- চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের মৃত্যু
১৯৮৭- গণিতজ্ঞ তথা গণিতের বহু পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা ও শিক্ষাবিদ কেশব চন্দ্র নাগের মৃত্যু  
১৯৯১- কলকাতায় অবস্থিত এশিয়ার প্রাচীনতম ফটো স্টুডিও বার্ন অ্যান্ড শেফার্ড ভষ্মীভূত হয়।
১৯৯৭- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, নীরদচন্দ্র চৌধুরী, সুখময় ভট্টাচার্য, কোটা শিবরাম করন্থ, এলিজাবেথ ব্রুনার ও ই. সি. জি. সুদর্শন একযোগে "দেশিকোত্তম" সম্মানে ভূষিত হন
২০২০- কলকাতার ক্যাবারে কুইন মিস শেফালির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৮ টাকা ৮৮.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪৬ টাকা ১১১.২২ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ মাঘ ১৪৩১,বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  নবমী ৪১/৩০ রাত্রি ১০/৫৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৩৩/০ রাত্রি ৭/৩০। সূর্যোদয় ৬/১৭/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/২৩/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ১০/৪৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
২৩ মাঘ ১৪৩১,বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  নবমী রাত্রি ১২/৫১।  কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ  রাত্রি ১/৪ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ১০/৪০ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
৭ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ছত্তিশগড়ের ডোঙ্গরগড়ে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই

06:57:00 PM

প্রথম ওয়ান ডে: ৫৯ রানে আউট শ্রেয়স, ভারত ১১৩/৩ (১৬ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

06:56:00 PM

প্রথম ওয়ান ডে: হাফসেঞ্চুরি শ্রেয়সের, ভারত ৯৭/২ (১৩.৪ ওভার), টার্গেট ২৪৯

06:43:00 PM

প্রথম ওয়ান ডে: ভারত ৭৭/২ (১১ ওভার), টার্গেট ২৪৯

06:34:00 PM

আজ মোদি তাঁর ভাষণে শুধু কংগ্রেসকেই আক্রমণ করে গিয়েছেন: জয়রাম রমেশ

06:18:00 PM

প্রথম ওয়ান ডে: ২ রানে আউট রোহিত, ভারত ১৯/২ (৫.৩ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

06:07:00 PM