Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘এই সব ঝুটা। আমাদের স্থানীয় মিডিয়া যা সমীক্ষা করেছে, তার ফল দেখুন। আমরাই ক্ষমতায় আসছি। ওটাই মিলবে।’ জাতীয় সংবাদমাধ্যমের অধিকাংশই কিন্তু বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তা সত্ত্বেও রামন সিং কীভাবে এই দাবিটা করলেন? কীসের কনফিডেন্সে?
প্রশ্ন ২: ‘রাজনীতিতে নির্দিষ্ট কোনও ছক হয় না। নমনীয় আপনাকে হতেই হবে। রিজিড হয়ে থাকলে চলবে না।’ তেলেঙ্গানার ভোটের আগে এই বিশ্লেষণ অমিত শাহের। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মানুষের মনোভাব আমি বুঝেছি। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে বিজেপিই জিতবে। আর চব্বিশে মোদিজি আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন।’ মধ্যপ্রদেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া, রাজস্থান-ছত্তিশগড়ে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কংগ্রেসের জয়জয়কার, সাধারণ মানুষ দিকে দিকে বলেছে যে কংগ্রেস কাজ করেছে... এরপরও এতটা নিশ্চিত তিনি কীভাবে ছিলেন? কীভাবেই বা মানুষের মন বুঝে গেলেন?
প্রশ্ন ৩: চার রাজ্যের ফল ঘোষণার পর মোদিজি ধন্যবাদ জানালেন তেলেঙ্গানার মানুষকে। এই রাজ্যে কংগ্রেস জিতেছে। বিজেপি ক’টি আসন পেয়েছে? মাত্র আটটি। এটাও কি পাওয়ার ছিল? গেরুয়া শিবিরের লোকজনও বোধহয় এত বড় স্বপ্ন দেখেনি। তাহলে এই ফল হল কীভাবে? মোদিজিও হঠাৎ এত গদগদ হয়ে তেলেঙ্গানাকেই বা ধন্যবাদ জানালেন কেন? আগামী দিনে কি আবার কোনও চমক অপেক্ষা করছে? অপারেশন লোটাস?
সেমি-ফাইনালের ফল নিরঙ্কুশ। কিন্তু তারপরও কেন প্রশ্ন ফুরোচ্ছে না? কারণ, হিসেব উল্টেছে। অধিকাংশ এক্সিট পোল যা বলেছিল, তা মেলেনি। পাবলিক যা ভেবেছিল, মেলেনি তাও। রাজস্থান মেনে নেওয়া যায়। সেখানে প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে সরকার বদলায়। এ বছর বিজেপি, তো পাঁচ বছর পর কংগ্রেস। এটাই ট্রেন্ড। সেই কারণেই হয়তো অশোক গেহলট ঢালাও উপহার দেওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস জিতল না। ৫০০ টাকায় গ্যাস, সাধারণের অ্যাকাউন্টে টাকা... সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি যদিও বা কাজ করে যেত, শচীন পাইলটের সৌজন্যে সেটাও হল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার ছিল রাজস্থানে। সমীক্ষা থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রত্যেকেই বলেছিলেন, যেই জিতুক না কেন, কান ঘেঁষে সরকার হবে মরুরাজ্যে। কিন্তু সেই ‘ফাইট’ আর হল না। শচীন মাঠে নামলেন না। গুর্জর ভোটও বিপক্ষে গেল। ফল? বিজেপির একচ্ছত্র। 
খুব জোরজবরদস্তি করলে মানার চেষ্টা করা যায় মধ্যপ্রদেশেও। বিজেপি বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, থুড়ি লাডলি বেহনা প্রকল্পের কথা। মানে, মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা পৌঁছে যাওয়া। খুব বেশিদিন শিবরাজ সিং চৌহান এই প্রকল্প কিন্তু চালু করেননি। তাও মরিয়া হয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে বিজেপি নামিয়ে দিয়েছে একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে। উদ্দেশ্য ছিল, ভোটারদের সবদিক থেকে বেঁধে ফেলা। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের আম জনতা কি এতটুকুতেই ভুলে গেলেন? প্রাক-ভোট অভিজ্ঞতা সে কথা বলছে না। গত পাঁচ বছরে এ রাজ্যে উন্নয়ন যে হয়নি, সে ব্যাপারে এক সুর ধরেছেন এখানকার সাধারণ ভোটাররা। গেরুয়া রাজনীতির সমালোচনা শোনা গিয়েছে মাঠে-প্রান্তরে। এমনকী চার বছর আগের সরকার ভাঙা-গড়ার দগদগে স্মৃতিও উস্কে উঠেছে। গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকার মানুষ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে। রাজকুমার নিজেও যে ছিলেন ব্যাকফুটে! তাঁর চাহিদার অনেকাংশই পূরণ করেনি দিল্লি নেতৃত্ব। ফলে, যতজন সিন্ধিয়া-অনুগামী এই ভোটে টিকিট পাবেন বলে ধারণা করা হয়েছি, তার অর্ধেকও মেলেনি। দলে দলে ঘনিষ্ঠরা তাঁর সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরেছেন, উগরেছেন ক্ষোভ। খুব সহজ একেবারেই মনে হয়নি মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন। তাহলে কোন জাদুবলে সিন্ধিয়া গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকার প্রায় পুরোটাই দখল করে নিলেন? মোদি-শিবরাজ ফাটলের যে তত্ত্ব নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বেসামাল করে রেখেছিল, কীভাবে তা বস্তাবন্দি করে ভোটের ব্যালান্স বিজেপি ফিরে পেল? আর সবচেয়ে বড় কথা, ভোট হওয়া মাত্র সরকারে ফেরার আত্মবিশ্বাসটাই বা কীভাবে পেয়ে গেলেন দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তো তাঁরা নন! তাহলে অঙ্কটা কী?  
এই অঙ্কের সূত্র একটাই—সাধারণ মানুষ যা বলেছে, ইভিএমে তা করেননি। কিংবা এও বলা যায়, সাধারণ মানুষ মুখে যা বলেছে, ইভিএম তা যথাযথভাবে কার্যকর করেনি। খুব মারাত্মক অভিযোগ। কংগ্রেস ইতিমধ্যে এ নিয়ে গোঁসা উজাড় করতে শুরু করেছে। কিন্তু তারা একটা বিষয় ভাবছে না... ডিজিটাল রিগিং একেবারে অসম্ভব না হলেও ইভিএমে বিপুল আকারে তা বাস্তবসম্মত নয়। কারচুপি ধরা পড়বেই। কারণ এটি কোনও একজন বা দু’জনের কাজ নয়। বহু সংখ্যক মানুষকে এই কাজে জুতে দিতে হবে। আর তাতে কিছুতেই আর খবর পেটের ভিতর থাকবে না। লিক হবেই হবে। তাহলে উপায় কী? র‌্যান্ডাম কয়েকটিতে কারচুপি করা যেতে পারে। সংখ্যায় সেগুলি কত হবে? ২০? ৫০? ২০০? তাতে কি একটা ভোটের ফল বদলে যেতে পারে? সেক্ষেত্রে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের ভরাডুবি হল কেন? বিজেপির রেউড়ি রাজনীতির প্রতিশ্রুতি মানুষ বিশ্বাস করল, আর যে দু’রাজ্যে এই পাঁচ বছর ধরে সামাজিক সুরক্ষা তারা পেয়ে এসেছে, সেই বাস্তবে আস্থা রাখল না? এও কি হয়? কোন খেলা হয়ে গেল নেপথ্যে? 
হ্যাটট্রিক। আসলে এটাই এখন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দলের মূল মন্ত্র। যেভাবে হোক তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতেই হবে। তার জন্য যা যা করার, সেটাই করবে বিজেপি। এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবি হলে মোদির ইমেজ অবশ্যই ধাক্কা খেত। একগুচ্ছ সমালোচনা কাঁধে নিয়ে নামতে হতো লোকসভা ভোটের ময়দানে... তাহলে কি মোদি ম্যাজিক খতম? ভোট পর্যন্ত এই প্রশ্ন অন্তত আর উঠবে না। বিজেপির প্রচারের জন্য খুব বেশি তির কিন্তু তূণীরে নেই। এই ব্রহ্মাস্ত্রটা তাই দরকার ছিল। সেটা আপাতত হাতে থেকে গেল। মোদিজির আচ্ছে দিন, মোদিজির বিকাশ, আর এবার মোদিজির গ্যারান্টি। প্রতি পাঁচ বছরে স্লোগান বদলেছে বিজেপির। ব্যক্তিটি এক রয়ে গিয়েছেন। এছাড়া আর মুখই বা কোথায়? তাই ক্ষমতা চাই। যে কোনও মূল্যে। এর মোহ যে অপার। ম্যাজিক হোক বা মেশিনারি, কাজ উতরে দিতে হবে। কাজ উতরে যাবে। শুধুমাত্র ছাপ্পা দিলেই এখন আর ভোটের খেলা হয় না। প্রযুক্তি এখনকার রাজনৈতিক দলগুলির হাতে অপরিসীম শক্তি দিয়েছে। ছেলেবেলায় পড়া ছিল, জেরম কে জেরমের টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড। এখন বেঁচে থাকলে তিনি হয়তো লিখতেন, টেকনোলজি ফর পলিটিক্স। একপক্ষ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়, আর এক পক্ষ চায় ক্ষমতায় আসতে। গণতন্ত্রের এই যুদ্ধে ভারত এখন দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জন্য উত্তর ভারত। আর কংগ্রেসের দাপট দক্ষিণে। তেলেঙ্গানা অবশেষে সোনিয়া গান্ধীকে রিটার্ন গিফ্ট দিয়েছে। দশ বছর পর। সোনিয়া গান্ধীই ছিলেন পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের কারিগর। এতদিন তাঁর এবং তেলেঙ্গানার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেসিআর। এবার তিনিও পিছনের সারিতে। অপারেশন লোটাস না হলে এই রাজ্য কংগ্রেসের জন্য সান্ত্বনা পুরস্কার হয়ে থাকবে। ভোট পর্যন্ত। কিন্তু সান্ত্বনা পুরস্কার কেন? কারণ, কংগ্রেসের পাখির চোখ ছিল এই পাঁচ রাজ্যের ফল। শুধু সরকার গঠন নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’য় বড়দাদার মর্যাদা দখলের। তাই এতদিন থমকে থেকেছে জোটের বৈঠক, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনাও। আর আজ তিনটি বড় রাজ্যে ব্যর্থতা কংগ্রেসের উচ্চাকাঙ্ক্ষার উড়ানকে মাটিতে টেনে নামিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিইউ, সমাজবাদী পার্টি কিংবা আপ... প্রত্যেকেই এখন স্পষ্ট ভাষায় তাদের বুঝিয়ে দেবে, ‘বেশি বেড়ো না। নেতৃত্ব আমরা যে কেউ দিতে পারি।’ কংগ্রেসও তা মানতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু বিরোধী মহাজোটকে আরও একটা সারসত্য বুঝতে হবে, মোদি ব্রিগেডকে হটাতে হলে এবং দিল্লিতে স্থিতিশীল সরকার গড়তে গেলে কংগ্রেসকে ১৪০ থেকে ১৫০টি আসন পেতেই হবে। আঞ্চলিক দলগুলি তাদের পূর্ণ ক্ষমতায় জিতলেও কংগ্রেসের সমর্থন দরকার হবেই। কারণ, লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারকুল কিন্তু স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী। বিজেপি না হলে কংগ্রেস—একটি নাম তাদের প্রয়োজন। অন্তত এই মুহূর্তে। বিজেপি হয় মোদি ম্যাজিকের জন্য জিততে চাইবে, না হলে মোদি ম্যাজিক আছে... সেটা প্রমাণ করার জন্য। একটার সঙ্গে আর একটা পরিপূরকের মতো আজ জড়িয়ে গিয়েছে। ম্যাজিকের সঙ্গে তাই নির্দ্বিধায় এখন জুড়ে যেতেই পারে মেশিনারি। ভোট মেশিনারি। যা আছে রাষ্ট্রের হাতে। পাঁচ রাজ্যের ভোটেও কি কলকাঠি তেমন কিছুরই? প্রশ্নটা তোলা থাকল লোকসভা ভোটের জন্য। 
ও হ্যাঁ, ২০১৯ সালে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়... এই তিনটি রাজ্যেই কিন্তু জিতেছিল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত আসন কত ছিল? মাত্র ৫২টি। আর একটু পিছনে যাওয়া যাক। ২০০৩ সাল। এই সবক’টি রাজ্যেই হেরেছিল কংগ্রেস। বিজেপির কাছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ইউপিএ। কংগ্রেস বলতেই পারে, পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে মিত্রোঁ।
05th  December, 2023
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অবশেষে জেলমুক্তি বালুর
আজ দুপুরেই রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি-র বিশেষ আদালতে জামিন পান ...বিশদ

06:02:09 PM

মাধ্যমিকের সেন্টার হওয়া স্কুলের শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা
শিয়রে মাধ্যমিক! বাকি আর ঠিকএকমাস। এই পরিস্থিতিতে এবার যে সমস্ত ...বিশদ

06:01:00 PM

তৃতীয় ওডিআই: আয়ারল্যান্ডকে ৩০৪ রানে হারাল ভারতীয় মহিলারা

05:57:00 PM

জুকেরবার্গের ভুল মন্তব্য: ক্ষমা চেয়ে নিল মেটা
গত লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ‘ভুল’ মন্তব্য করেছিলেন মেটা কর্তা মার্ক ...বিশদ

05:44:52 PM

উত্তর দিনাজপুরে গুলিবিদ্ধ দুই পুলিস কর্মী
উত্তর দিনাজপুর জেলার পাঞ্জিপাড়ার কালিবাড়ি এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন ...বিশদ

05:44:00 PM

ট্রায়াল রান: আহমেদাবাদ ও মুম্বই সেন্ট্রালের মধ্যে চালানো হল বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন

05:27:00 PM