Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘এই সব ঝুটা। আমাদের স্থানীয় মিডিয়া যা সমীক্ষা করেছে, তার ফল দেখুন। আমরাই ক্ষমতায় আসছি। ওটাই মিলবে।’ জাতীয় সংবাদমাধ্যমের অধিকাংশই কিন্তু বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তা সত্ত্বেও রামন সিং কীভাবে এই দাবিটা করলেন? কীসের কনফিডেন্সে?
প্রশ্ন ২: ‘রাজনীতিতে নির্দিষ্ট কোনও ছক হয় না। নমনীয় আপনাকে হতেই হবে। রিজিড হয়ে থাকলে চলবে না।’ তেলেঙ্গানার ভোটের আগে এই বিশ্লেষণ অমিত শাহের। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মানুষের মনোভাব আমি বুঝেছি। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে বিজেপিই জিতবে। আর চব্বিশে মোদিজি আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন।’ মধ্যপ্রদেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া, রাজস্থান-ছত্তিশগড়ে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কংগ্রেসের জয়জয়কার, সাধারণ মানুষ দিকে দিকে বলেছে যে কংগ্রেস কাজ করেছে... এরপরও এতটা নিশ্চিত তিনি কীভাবে ছিলেন? কীভাবেই বা মানুষের মন বুঝে গেলেন?
প্রশ্ন ৩: চার রাজ্যের ফল ঘোষণার পর মোদিজি ধন্যবাদ জানালেন তেলেঙ্গানার মানুষকে। এই রাজ্যে কংগ্রেস জিতেছে। বিজেপি ক’টি আসন পেয়েছে? মাত্র আটটি। এটাও কি পাওয়ার ছিল? গেরুয়া শিবিরের লোকজনও বোধহয় এত বড় স্বপ্ন দেখেনি। তাহলে এই ফল হল কীভাবে? মোদিজিও হঠাৎ এত গদগদ হয়ে তেলেঙ্গানাকেই বা ধন্যবাদ জানালেন কেন? আগামী দিনে কি আবার কোনও চমক অপেক্ষা করছে? অপারেশন লোটাস?
সেমি-ফাইনালের ফল নিরঙ্কুশ। কিন্তু তারপরও কেন প্রশ্ন ফুরোচ্ছে না? কারণ, হিসেব উল্টেছে। অধিকাংশ এক্সিট পোল যা বলেছিল, তা মেলেনি। পাবলিক যা ভেবেছিল, মেলেনি তাও। রাজস্থান মেনে নেওয়া যায়। সেখানে প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে সরকার বদলায়। এ বছর বিজেপি, তো পাঁচ বছর পর কংগ্রেস। এটাই ট্রেন্ড। সেই কারণেই হয়তো অশোক গেহলট ঢালাও উপহার দেওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস জিতল না। ৫০০ টাকায় গ্যাস, সাধারণের অ্যাকাউন্টে টাকা... সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি যদিও বা কাজ করে যেত, শচীন পাইলটের সৌজন্যে সেটাও হল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার ছিল রাজস্থানে। সমীক্ষা থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রত্যেকেই বলেছিলেন, যেই জিতুক না কেন, কান ঘেঁষে সরকার হবে মরুরাজ্যে। কিন্তু সেই ‘ফাইট’ আর হল না। শচীন মাঠে নামলেন না। গুর্জর ভোটও বিপক্ষে গেল। ফল? বিজেপির একচ্ছত্র। 
খুব জোরজবরদস্তি করলে মানার চেষ্টা করা যায় মধ্যপ্রদেশেও। বিজেপি বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, থুড়ি লাডলি বেহনা প্রকল্পের কথা। মানে, মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা পৌঁছে যাওয়া। খুব বেশিদিন শিবরাজ সিং চৌহান এই প্রকল্প কিন্তু চালু করেননি। তাও মরিয়া হয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে বিজেপি নামিয়ে দিয়েছে একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে। উদ্দেশ্য ছিল, ভোটারদের সবদিক থেকে বেঁধে ফেলা। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের আম জনতা কি এতটুকুতেই ভুলে গেলেন? প্রাক-ভোট অভিজ্ঞতা সে কথা বলছে না। গত পাঁচ বছরে এ রাজ্যে উন্নয়ন যে হয়নি, সে ব্যাপারে এক সুর ধরেছেন এখানকার সাধারণ ভোটাররা। গেরুয়া রাজনীতির সমালোচনা শোনা গিয়েছে মাঠে-প্রান্তরে। এমনকী চার বছর আগের সরকার ভাঙা-গড়ার দগদগে স্মৃতিও উস্কে উঠেছে। গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকার মানুষ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে। রাজকুমার নিজেও যে ছিলেন ব্যাকফুটে! তাঁর চাহিদার অনেকাংশই পূরণ করেনি দিল্লি নেতৃত্ব। ফলে, যতজন সিন্ধিয়া-অনুগামী এই ভোটে টিকিট পাবেন বলে ধারণা করা হয়েছি, তার অর্ধেকও মেলেনি। দলে দলে ঘনিষ্ঠরা তাঁর সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরেছেন, উগরেছেন ক্ষোভ। খুব সহজ একেবারেই মনে হয়নি মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন। তাহলে কোন জাদুবলে সিন্ধিয়া গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকার প্রায় পুরোটাই দখল করে নিলেন? মোদি-শিবরাজ ফাটলের যে তত্ত্ব নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বেসামাল করে রেখেছিল, কীভাবে তা বস্তাবন্দি করে ভোটের ব্যালান্স বিজেপি ফিরে পেল? আর সবচেয়ে বড় কথা, ভোট হওয়া মাত্র সরকারে ফেরার আত্মবিশ্বাসটাই বা কীভাবে পেয়ে গেলেন দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তো তাঁরা নন! তাহলে অঙ্কটা কী?  
এই অঙ্কের সূত্র একটাই—সাধারণ মানুষ যা বলেছে, ইভিএমে তা করেননি। কিংবা এও বলা যায়, সাধারণ মানুষ মুখে যা বলেছে, ইভিএম তা যথাযথভাবে কার্যকর করেনি। খুব মারাত্মক অভিযোগ। কংগ্রেস ইতিমধ্যে এ নিয়ে গোঁসা উজাড় করতে শুরু করেছে। কিন্তু তারা একটা বিষয় ভাবছে না... ডিজিটাল রিগিং একেবারে অসম্ভব না হলেও ইভিএমে বিপুল আকারে তা বাস্তবসম্মত নয়। কারচুপি ধরা পড়বেই। কারণ এটি কোনও একজন বা দু’জনের কাজ নয়। বহু সংখ্যক মানুষকে এই কাজে জুতে দিতে হবে। আর তাতে কিছুতেই আর খবর পেটের ভিতর থাকবে না। লিক হবেই হবে। তাহলে উপায় কী? র‌্যান্ডাম কয়েকটিতে কারচুপি করা যেতে পারে। সংখ্যায় সেগুলি কত হবে? ২০? ৫০? ২০০? তাতে কি একটা ভোটের ফল বদলে যেতে পারে? সেক্ষেত্রে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের ভরাডুবি হল কেন? বিজেপির রেউড়ি রাজনীতির প্রতিশ্রুতি মানুষ বিশ্বাস করল, আর যে দু’রাজ্যে এই পাঁচ বছর ধরে সামাজিক সুরক্ষা তারা পেয়ে এসেছে, সেই বাস্তবে আস্থা রাখল না? এও কি হয়? কোন খেলা হয়ে গেল নেপথ্যে? 
হ্যাটট্রিক। আসলে এটাই এখন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দলের মূল মন্ত্র। যেভাবে হোক তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতেই হবে। তার জন্য যা যা করার, সেটাই করবে বিজেপি। এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবি হলে মোদির ইমেজ অবশ্যই ধাক্কা খেত। একগুচ্ছ সমালোচনা কাঁধে নিয়ে নামতে হতো লোকসভা ভোটের ময়দানে... তাহলে কি মোদি ম্যাজিক খতম? ভোট পর্যন্ত এই প্রশ্ন অন্তত আর উঠবে না। বিজেপির প্রচারের জন্য খুব বেশি তির কিন্তু তূণীরে নেই। এই ব্রহ্মাস্ত্রটা তাই দরকার ছিল। সেটা আপাতত হাতে থেকে গেল। মোদিজির আচ্ছে দিন, মোদিজির বিকাশ, আর এবার মোদিজির গ্যারান্টি। প্রতি পাঁচ বছরে স্লোগান বদলেছে বিজেপির। ব্যক্তিটি এক রয়ে গিয়েছেন। এছাড়া আর মুখই বা কোথায়? তাই ক্ষমতা চাই। যে কোনও মূল্যে। এর মোহ যে অপার। ম্যাজিক হোক বা মেশিনারি, কাজ উতরে দিতে হবে। কাজ উতরে যাবে। শুধুমাত্র ছাপ্পা দিলেই এখন আর ভোটের খেলা হয় না। প্রযুক্তি এখনকার রাজনৈতিক দলগুলির হাতে অপরিসীম শক্তি দিয়েছে। ছেলেবেলায় পড়া ছিল, জেরম কে জেরমের টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড। এখন বেঁচে থাকলে তিনি হয়তো লিখতেন, টেকনোলজি ফর পলিটিক্স। একপক্ষ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়, আর এক পক্ষ চায় ক্ষমতায় আসতে। গণতন্ত্রের এই যুদ্ধে ভারত এখন দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জন্য উত্তর ভারত। আর কংগ্রেসের দাপট দক্ষিণে। তেলেঙ্গানা অবশেষে সোনিয়া গান্ধীকে রিটার্ন গিফ্ট দিয়েছে। দশ বছর পর। সোনিয়া গান্ধীই ছিলেন পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের কারিগর। এতদিন তাঁর এবং তেলেঙ্গানার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেসিআর। এবার তিনিও পিছনের সারিতে। অপারেশন লোটাস না হলে এই রাজ্য কংগ্রেসের জন্য সান্ত্বনা পুরস্কার হয়ে থাকবে। ভোট পর্যন্ত। কিন্তু সান্ত্বনা পুরস্কার কেন? কারণ, কংগ্রেসের পাখির চোখ ছিল এই পাঁচ রাজ্যের ফল। শুধু সরকার গঠন নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’য় বড়দাদার মর্যাদা দখলের। তাই এতদিন থমকে থেকেছে জোটের বৈঠক, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনাও। আর আজ তিনটি বড় রাজ্যে ব্যর্থতা কংগ্রেসের উচ্চাকাঙ্ক্ষার উড়ানকে মাটিতে টেনে নামিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিইউ, সমাজবাদী পার্টি কিংবা আপ... প্রত্যেকেই এখন স্পষ্ট ভাষায় তাদের বুঝিয়ে দেবে, ‘বেশি বেড়ো না। নেতৃত্ব আমরা যে কেউ দিতে পারি।’ কংগ্রেসও তা মানতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু বিরোধী মহাজোটকে আরও একটা সারসত্য বুঝতে হবে, মোদি ব্রিগেডকে হটাতে হলে এবং দিল্লিতে স্থিতিশীল সরকার গড়তে গেলে কংগ্রেসকে ১৪০ থেকে ১৫০টি আসন পেতেই হবে। আঞ্চলিক দলগুলি তাদের পূর্ণ ক্ষমতায় জিতলেও কংগ্রেসের সমর্থন দরকার হবেই। কারণ, লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারকুল কিন্তু স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী। বিজেপি না হলে কংগ্রেস—একটি নাম তাদের প্রয়োজন। অন্তত এই মুহূর্তে। বিজেপি হয় মোদি ম্যাজিকের জন্য জিততে চাইবে, না হলে মোদি ম্যাজিক আছে... সেটা প্রমাণ করার জন্য। একটার সঙ্গে আর একটা পরিপূরকের মতো আজ জড়িয়ে গিয়েছে। ম্যাজিকের সঙ্গে তাই নির্দ্বিধায় এখন জুড়ে যেতেই পারে মেশিনারি। ভোট মেশিনারি। যা আছে রাষ্ট্রের হাতে। পাঁচ রাজ্যের ভোটেও কি কলকাঠি তেমন কিছুরই? প্রশ্নটা তোলা থাকল লোকসভা ভোটের জন্য। 
ও হ্যাঁ, ২০১৯ সালে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়... এই তিনটি রাজ্যেই কিন্তু জিতেছিল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত আসন কত ছিল? মাত্র ৫২টি। আর একটু পিছনে যাওয়া যাক। ২০০৩ সাল। এই সবক’টি রাজ্যেই হেরেছিল কংগ্রেস। বিজেপির কাছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ইউপিএ। কংগ্রেস বলতেই পারে, পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে মিত্রোঁ।
05th  December, 2023
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
একনজরে
সব্জির বাজারে গিয়ে কার্যত মাথায় হাত পড়ছে আমজনতার। কাঁচালঙ্কা কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। ডাবল সেঞ্চুরি পার করে আড়াইশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে লঙ্কা। দাম শুনেই ...

ইজরায়েলি হামলায় খতম হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। বৃহস্পতিবার এই খবর জানাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবরের গণহত্যা ও নৃশংসতার মূলচক্রী সিনওয়ারকে নিকেশ করেছেন ইজরায়েলি সেনা।’ ...

এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট ১২০ নয়, ৬০ দিন আগে থেকে কাটা যাবে। এই খবর পেয়েই খুশি আম জনতা। অনেকেই বলছেন, মনে হচ্ছে এর ফলে ট্রেনের টিকিট একটু হলেও সহজলভ্য হবে। ...

নিমতলায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে কংক্রিটের ঘাটের একাংশ অনেকদিন ধরেই ভাঙছে। সিঁড়ি ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। ঘাটের সামনের যে অংশের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তার ফাঁক গলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭১: কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যু
১৯১৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম
১৯৩১: গ্রামাফোনের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু
১৯৪০: টলিউড অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা ওমপুরীর জন্ম
১৯৫৬: বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম
১৯৬১: প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার গ্ল্যাডস্টোন স্মলের জন্ম
১৯৮০: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৪: বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক শঙ্কু মহারাজের
২০১৮: বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ১৯/৫ দিবা ১/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/৩০ দিবা ১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৫/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ২/৫৭। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/০। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৫ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
১৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ৮ রানে আউট ম্যাট হেনরি, নিউজিল্যান্ড ২৩৪/৭ (তৃতীয় দিন)

10:35:00 AM

পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় প্রাক্তন ভারতীয় গোয়েন্দার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় একজন প্রাক্তন ...বিশদ

10:35:00 AM

শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
শহরের ঘুম ভাঙল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবরে। আজ, শুক্রবার ভোর ...বিশদ

10:25:03 AM

প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ১৪ রানে আউট গ্লেন ফিলিপস, নিউজিল্যান্ড ২২৩/৬ (তৃতীয় দিন)

10:21:00 AM

খুনের হুমকি পেয়েছেন সলমন খান! তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করল মুম্বই পুলিস

10:18:33 AM

আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি

10:17:00 AM