Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রশ্নগুলো তোলা থাক লোকসভা ভোটের জন্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রশ্ন ১: এক্সিট পোলে প্রায় সব জাতীয় সংবাদমাধ্যমই জিতিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন রামন সিং। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘এই সব ঝুটা। আমাদের স্থানীয় মিডিয়া যা সমীক্ষা করেছে, তার ফল দেখুন। আমরাই ক্ষমতায় আসছি। ওটাই মিলবে।’ জাতীয় সংবাদমাধ্যমের অধিকাংশই কিন্তু বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তা সত্ত্বেও রামন সিং কীভাবে এই দাবিটা করলেন? কীসের কনফিডেন্সে?
প্রশ্ন ২: ‘রাজনীতিতে নির্দিষ্ট কোনও ছক হয় না। নমনীয় আপনাকে হতেই হবে। রিজিড হয়ে থাকলে চলবে না।’ তেলেঙ্গানার ভোটের আগে এই বিশ্লেষণ অমিত শাহের। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মানুষের মনোভাব আমি বুঝেছি। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে বিজেপিই জিতবে। আর চব্বিশে মোদিজি আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন।’ মধ্যপ্রদেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া, রাজস্থান-ছত্তিশগড়ে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কংগ্রেসের জয়জয়কার, সাধারণ মানুষ দিকে দিকে বলেছে যে কংগ্রেস কাজ করেছে... এরপরও এতটা নিশ্চিত তিনি কীভাবে ছিলেন? কীভাবেই বা মানুষের মন বুঝে গেলেন?
প্রশ্ন ৩: চার রাজ্যের ফল ঘোষণার পর মোদিজি ধন্যবাদ জানালেন তেলেঙ্গানার মানুষকে। এই রাজ্যে কংগ্রেস জিতেছে। বিজেপি ক’টি আসন পেয়েছে? মাত্র আটটি। এটাও কি পাওয়ার ছিল? গেরুয়া শিবিরের লোকজনও বোধহয় এত বড় স্বপ্ন দেখেনি। তাহলে এই ফল হল কীভাবে? মোদিজিও হঠাৎ এত গদগদ হয়ে তেলেঙ্গানাকেই বা ধন্যবাদ জানালেন কেন? আগামী দিনে কি আবার কোনও চমক অপেক্ষা করছে? অপারেশন লোটাস?
সেমি-ফাইনালের ফল নিরঙ্কুশ। কিন্তু তারপরও কেন প্রশ্ন ফুরোচ্ছে না? কারণ, হিসেব উল্টেছে। অধিকাংশ এক্সিট পোল যা বলেছিল, তা মেলেনি। পাবলিক যা ভেবেছিল, মেলেনি তাও। রাজস্থান মেনে নেওয়া যায়। সেখানে প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে সরকার বদলায়। এ বছর বিজেপি, তো পাঁচ বছর পর কংগ্রেস। এটাই ট্রেন্ড। সেই কারণেই হয়তো অশোক গেহলট ঢালাও উপহার দেওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস জিতল না। ৫০০ টাকায় গ্যাস, সাধারণের অ্যাকাউন্টে টাকা... সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি যদিও বা কাজ করে যেত, শচীন পাইলটের সৌজন্যে সেটাও হল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার ছিল রাজস্থানে। সমীক্ষা থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রত্যেকেই বলেছিলেন, যেই জিতুক না কেন, কান ঘেঁষে সরকার হবে মরুরাজ্যে। কিন্তু সেই ‘ফাইট’ আর হল না। শচীন মাঠে নামলেন না। গুর্জর ভোটও বিপক্ষে গেল। ফল? বিজেপির একচ্ছত্র। 
খুব জোরজবরদস্তি করলে মানার চেষ্টা করা যায় মধ্যপ্রদেশেও। বিজেপি বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, থুড়ি লাডলি বেহনা প্রকল্পের কথা। মানে, মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা পৌঁছে যাওয়া। খুব বেশিদিন শিবরাজ সিং চৌহান এই প্রকল্প কিন্তু চালু করেননি। তাও মরিয়া হয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে বিজেপি নামিয়ে দিয়েছে একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে। উদ্দেশ্য ছিল, ভোটারদের সবদিক থেকে বেঁধে ফেলা। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের আম জনতা কি এতটুকুতেই ভুলে গেলেন? প্রাক-ভোট অভিজ্ঞতা সে কথা বলছে না। গত পাঁচ বছরে এ রাজ্যে উন্নয়ন যে হয়নি, সে ব্যাপারে এক সুর ধরেছেন এখানকার সাধারণ ভোটাররা। গেরুয়া রাজনীতির সমালোচনা শোনা গিয়েছে মাঠে-প্রান্তরে। এমনকী চার বছর আগের সরকার ভাঙা-গড়ার দগদগে স্মৃতিও উস্কে উঠেছে। গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকার মানুষ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে। রাজকুমার নিজেও যে ছিলেন ব্যাকফুটে! তাঁর চাহিদার অনেকাংশই পূরণ করেনি দিল্লি নেতৃত্ব। ফলে, যতজন সিন্ধিয়া-অনুগামী এই ভোটে টিকিট পাবেন বলে ধারণা করা হয়েছি, তার অর্ধেকও মেলেনি। দলে দলে ঘনিষ্ঠরা তাঁর সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরেছেন, উগরেছেন ক্ষোভ। খুব সহজ একেবারেই মনে হয়নি মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন। তাহলে কোন জাদুবলে সিন্ধিয়া গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকার প্রায় পুরোটাই দখল করে নিলেন? মোদি-শিবরাজ ফাটলের যে তত্ত্ব নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বেসামাল করে রেখেছিল, কীভাবে তা বস্তাবন্দি করে ভোটের ব্যালান্স বিজেপি ফিরে পেল? আর সবচেয়ে বড় কথা, ভোট হওয়া মাত্র সরকারে ফেরার আত্মবিশ্বাসটাই বা কীভাবে পেয়ে গেলেন দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তো তাঁরা নন! তাহলে অঙ্কটা কী?  
এই অঙ্কের সূত্র একটাই—সাধারণ মানুষ যা বলেছে, ইভিএমে তা করেননি। কিংবা এও বলা যায়, সাধারণ মানুষ মুখে যা বলেছে, ইভিএম তা যথাযথভাবে কার্যকর করেনি। খুব মারাত্মক অভিযোগ। কংগ্রেস ইতিমধ্যে এ নিয়ে গোঁসা উজাড় করতে শুরু করেছে। কিন্তু তারা একটা বিষয় ভাবছে না... ডিজিটাল রিগিং একেবারে অসম্ভব না হলেও ইভিএমে বিপুল আকারে তা বাস্তবসম্মত নয়। কারচুপি ধরা পড়বেই। কারণ এটি কোনও একজন বা দু’জনের কাজ নয়। বহু সংখ্যক মানুষকে এই কাজে জুতে দিতে হবে। আর তাতে কিছুতেই আর খবর পেটের ভিতর থাকবে না। লিক হবেই হবে। তাহলে উপায় কী? র‌্যান্ডাম কয়েকটিতে কারচুপি করা যেতে পারে। সংখ্যায় সেগুলি কত হবে? ২০? ৫০? ২০০? তাতে কি একটা ভোটের ফল বদলে যেতে পারে? সেক্ষেত্রে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের ভরাডুবি হল কেন? বিজেপির রেউড়ি রাজনীতির প্রতিশ্রুতি মানুষ বিশ্বাস করল, আর যে দু’রাজ্যে এই পাঁচ বছর ধরে সামাজিক সুরক্ষা তারা পেয়ে এসেছে, সেই বাস্তবে আস্থা রাখল না? এও কি হয়? কোন খেলা হয়ে গেল নেপথ্যে? 
হ্যাটট্রিক। আসলে এটাই এখন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দলের মূল মন্ত্র। যেভাবে হোক তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতেই হবে। তার জন্য যা যা করার, সেটাই করবে বিজেপি। এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবি হলে মোদির ইমেজ অবশ্যই ধাক্কা খেত। একগুচ্ছ সমালোচনা কাঁধে নিয়ে নামতে হতো লোকসভা ভোটের ময়দানে... তাহলে কি মোদি ম্যাজিক খতম? ভোট পর্যন্ত এই প্রশ্ন অন্তত আর উঠবে না। বিজেপির প্রচারের জন্য খুব বেশি তির কিন্তু তূণীরে নেই। এই ব্রহ্মাস্ত্রটা তাই দরকার ছিল। সেটা আপাতত হাতে থেকে গেল। মোদিজির আচ্ছে দিন, মোদিজির বিকাশ, আর এবার মোদিজির গ্যারান্টি। প্রতি পাঁচ বছরে স্লোগান বদলেছে বিজেপির। ব্যক্তিটি এক রয়ে গিয়েছেন। এছাড়া আর মুখই বা কোথায়? তাই ক্ষমতা চাই। যে কোনও মূল্যে। এর মোহ যে অপার। ম্যাজিক হোক বা মেশিনারি, কাজ উতরে দিতে হবে। কাজ উতরে যাবে। শুধুমাত্র ছাপ্পা দিলেই এখন আর ভোটের খেলা হয় না। প্রযুক্তি এখনকার রাজনৈতিক দলগুলির হাতে অপরিসীম শক্তি দিয়েছে। ছেলেবেলায় পড়া ছিল, জেরম কে জেরমের টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড। এখন বেঁচে থাকলে তিনি হয়তো লিখতেন, টেকনোলজি ফর পলিটিক্স। একপক্ষ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়, আর এক পক্ষ চায় ক্ষমতায় আসতে। গণতন্ত্রের এই যুদ্ধে ভারত এখন দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জন্য উত্তর ভারত। আর কংগ্রেসের দাপট দক্ষিণে। তেলেঙ্গানা অবশেষে সোনিয়া গান্ধীকে রিটার্ন গিফ্ট দিয়েছে। দশ বছর পর। সোনিয়া গান্ধীই ছিলেন পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের কারিগর। এতদিন তাঁর এবং তেলেঙ্গানার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেসিআর। এবার তিনিও পিছনের সারিতে। অপারেশন লোটাস না হলে এই রাজ্য কংগ্রেসের জন্য সান্ত্বনা পুরস্কার হয়ে থাকবে। ভোট পর্যন্ত। কিন্তু সান্ত্বনা পুরস্কার কেন? কারণ, কংগ্রেসের পাখির চোখ ছিল এই পাঁচ রাজ্যের ফল। শুধু সরকার গঠন নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’য় বড়দাদার মর্যাদা দখলের। তাই এতদিন থমকে থেকেছে জোটের বৈঠক, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনাও। আর আজ তিনটি বড় রাজ্যে ব্যর্থতা কংগ্রেসের উচ্চাকাঙ্ক্ষার উড়ানকে মাটিতে টেনে নামিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিইউ, সমাজবাদী পার্টি কিংবা আপ... প্রত্যেকেই এখন স্পষ্ট ভাষায় তাদের বুঝিয়ে দেবে, ‘বেশি বেড়ো না। নেতৃত্ব আমরা যে কেউ দিতে পারি।’ কংগ্রেসও তা মানতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু বিরোধী মহাজোটকে আরও একটা সারসত্য বুঝতে হবে, মোদি ব্রিগেডকে হটাতে হলে এবং দিল্লিতে স্থিতিশীল সরকার গড়তে গেলে কংগ্রেসকে ১৪০ থেকে ১৫০টি আসন পেতেই হবে। আঞ্চলিক দলগুলি তাদের পূর্ণ ক্ষমতায় জিতলেও কংগ্রেসের সমর্থন দরকার হবেই। কারণ, লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারকুল কিন্তু স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী। বিজেপি না হলে কংগ্রেস—একটি নাম তাদের প্রয়োজন। অন্তত এই মুহূর্তে। বিজেপি হয় মোদি ম্যাজিকের জন্য জিততে চাইবে, না হলে মোদি ম্যাজিক আছে... সেটা প্রমাণ করার জন্য। একটার সঙ্গে আর একটা পরিপূরকের মতো আজ জড়িয়ে গিয়েছে। ম্যাজিকের সঙ্গে তাই নির্দ্বিধায় এখন জুড়ে যেতেই পারে মেশিনারি। ভোট মেশিনারি। যা আছে রাষ্ট্রের হাতে। পাঁচ রাজ্যের ভোটেও কি কলকাঠি তেমন কিছুরই? প্রশ্নটা তোলা থাকল লোকসভা ভোটের জন্য। 
ও হ্যাঁ, ২০১৯ সালে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়... এই তিনটি রাজ্যেই কিন্তু জিতেছিল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত আসন কত ছিল? মাত্র ৫২টি। আর একটু পিছনে যাওয়া যাক। ২০০৩ সাল। এই সবক’টি রাজ্যেই হেরেছিল কংগ্রেস। বিজেপির কাছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ইউপিএ। কংগ্রেস বলতেই পারে, পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে মিত্রোঁ।
05th  December, 2023
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মদ্যপান করতে না চাওয়ায় হিমাচলপ্রদেশে এমবিএ পড়ুয়াকে মারধর, অভিযুক্ত ছাত্ররাই

11-09-2024 - 10:11:00 PM

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11-09-2024 - 09:43:00 PM

আর জি কর কাণ্ড: সিজিও-তে হাজির ডিসি নর্থ

11-09-2024 - 09:32:00 PM

হায়দরাবাদে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের উপর হামলা চালাল রোগী
হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের উপর হামলা চালাল ...বিশদ

11-09-2024 - 09:18:00 PM

৫ এবং ৬ ফেব্রুয়ারিতেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন
রাজ্যে পরবর্তী বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসছে ২০২৫ সালের ...বিশদ

11-09-2024 - 08:38:00 PM

পণ্য নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য যাত্রা শুরু কন্টেনারবাহী জাহাজের  
বেঙ্গল-মিডল ইস্ট এক্সপ্রেস সার্ভিসের পথ চলা শুরু। পণ্য নিয়ে কন্টেনারবাহী ...বিশদ

11-09-2024 - 08:19:00 PM