যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
এ কথা সত্য যে আমাদের জাগতিক বাসনা সাময়িকভাবে তৃপ্ত হয় এবং আমরা কিছু পরিমাণ ভোগ ও সফলতা লাভ করি। কিন্তু আমরা সর্বদা ভুলে যাই যে এগুলি অস্থায়ী। আমরা যদি ভোগ ও সফলতা গ্রহণ করি তবে আমাদের যন্ত্রণা ও ব্যর্থতা গ্রহণের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রাচীন ভারতের দার্শনিক কপিল এই পূর্ণাবস্থাকে নেতিবাচক শব্দে প্রকাশ করেছেন: ‘‘দুঃখের আত্যন্তিক বিরতি’’। বৈদিক ঋষিরা ইতিবাচক শব্দে এভাবে বোঝাতে চেয়েছেন: সৎ বা অমর জীবন; চিৎ বা অনন্ত জ্ঞান; এবং আনন্দ বা শাশ্বত প্রেম ও পরমসুখ। প্রত্যেক মানবিক প্রচেষ্টার লক্ষ্য (যদিও তা অজ্ঞাতভাবে ও ভ্রমপথে চালিত) হচ্ছে সচ্চিদানন্দ লাভ। ভগবৎদর্শনই যে জীবনের উদ্দেশ্য— আমরা অধিকাংশই এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল নই, তাই বার বার একই ভোগ এবং তার ফলস্বরূপ যন্ত্রণা পাই। অস্থায়ী জাগতিক বস্তু প্রাপ্তির জন্য আমরা শক্তির অপচয় করি এবং সসীমের মধ্যে অমরতা খুঁজি। নানাবিধ ভোগ ও যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে অভিজ্ঞতা লাভের পর আমাদের বিবেকবুদ্ধির উদয় হয়। তখন আমরা বুঝি যে এ জগতে কোন বস্তু আমাদের চিরস্থায়ী শান্তি দিতে পারে না, এবং শাশ্বত সুখ ও আনন্দ রয়েছে একমাত্র ঈশ্বর। পূর্ণতা লাভের জন্য আমাদের সংগ্রাম করতেই হবে, কারণ উহাই আমাদের আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার। সেন্ট পলের কথায়: ‘‘চৈতন্য নিজেই আমাদের আত্মাতে প্রতিভাত হয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান। যেহেতু সন্তান সেহেতু উত্তরাধিকারী— ভগবানের উত্তরাধিকারী এবং এ উত্তরাধিকারে আমরা খ্রীস্টের মতো সমান অংশীদার। কিন্তু কোথায় পূর্ণতা? কোথায় ঈশ্বর? বেদান্ত মতে এই নামরূপাত্মক জগতের অন্তরালে একটা দৈবী ভূমি আছে এবং তা হচ্ছে ব্রহ্ম।