যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
(১) ‘সত্যে আঁট থাকলে জীবনে কষ্টে পড়তে হয় না।’, (২) ‘যেখানে ধর্ম সেখানে জয়। মানুষ কি করতে পারে।’, (৩) ‘অবজ্ঞা বা ঘৃণা করিলে, কাহারও প্রাণে ব্যথা দিলে এবং কাহারও মর্যাদা লঙ্ঘন করিলে তাহার জন্য এ রাজ্যের দ্বার অর্গলবদ্ধ। এ রাজ্যে প্রবেশের পথ প্রত্যেক নরনারীর পদতলে।’, (৪) ‘অন্তরে দীনতা থাকলে সর্বকার্যে ভগবান সহায় হন।’ এই সব মহাজনবাক্য সর্বদা আপনারা স্মরণ রাখবেন। অবাঞ্ছিত ব্যক্তির প্রতিও যেন শ্রদ্ধার আলো না নিভে—কেন না, তার ভেতরেও আপনার ভগবান আছেন। অর্জুন ভগবৎ নির্দেশে অসুরস্বভাব-সম্পন্ন আত্মীয় স্বজনকেও ধ্বংস করেছেন। কিন্তু তাদের প্রতি বিদ্বেষ বা অশ্রদ্ধা পোষণ করেন নি মনে।
আপনি চিন্তা করবেন না। শান্ত মনে ধর্মকে আশ্রয় করে থাকবেন। নিজে দুঃখ সহ্য করবেন নীরবে, তবু কাউকে দুঃখ দেবেন না। আপনি শুধু ধর্মকার্যে অর্থ সাহায্য করবেন এ আমি চাই না—আরো অনেক বেশী আপনার কাছে চাই। আপনাকে একজন আদর্শ বৈষ্ণব হিসাবে আমি পেতে চাই। আমাদের জীবনে দুঃখের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, —দুঃখের আলোয় আমরা জীবন ও ভুবনকে দেখি, চিনি। আমরা লাভ করি সত্য দৃষ্টি। দুঃখের আলোতেই দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাবার পথ খুঁজে পাই। ঈশ্বরের দিকে তখন তাকাই, তাঁর শক্তিকে, তাঁকে বুঝতে শিখি। একজন মানুষের কাছ থেকে আমরা কতটুকু পেতে পারি? সে নিজেই অপূর্ণ, অজস্র তার অভাব—মাটির ঘটে কত ছিদ্র থাকে, যা দিয়ে ক্ষণে-ক্ষণে তলিয়ে যায় তার আশা, আয়ু, জরায় জীর্ণ হয়ে ধুলোর মত ঝরছে তার জীবন, জীবনের স্বপ্ন, সাধ। দুঃখের দিনে আমরা অনুভব করি আত্মীয় বন্ধুর অন্তঃসারহীন সহানুভূতিকে, তেমনি এও বুঝি—আমরা কত অসহায়। ঈশ্বরের কাছে তখন শক্তি প্রার্থনার প্রয়োজন প্রাণে-প্রাণে অনুভব করি। যদি জীবনে দুঃখ কিছু এসে থাকে, এতে বিষন্ন হয়ো না। এর পশ্চাতে নিশ্চয়ই কোনো কল্যাণ রয়েছে। এই দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাবার পথ খুঁজতে গিয়েই মানুষের সত্যের পথে শুরু হয় যাত্রা। আগুন আবর্জনাকে পুড়ে ছাই করে; কিন্তু সোনাকে করে উজ্জ্বল। তিনি তাঁর প্রিয়জনকে দুঃখের আগুনে পুড়িয়ে আরো সুন্দর করেন।সকলে মহৎ জীবন চায়—কিন্তু কী করে তা পেতে হয়, তা জানে না। অথচ নিরালম্ব হয়ে বাঁচতে পারে না মানুষ—একটা কিছু তার চাই। সে তখন অন্ধকারে আবিল পথেই একটা কিছু পেতে চায়, আপাতসুখের মোহে যায় মজে।