কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
তাই নয়া আফগান পরিস্থিতিতে উল্লসিত পাকিস্তানের নষ্টামির পরিকল্পনা নিয়ে বাড়তি সতর্কতাই কাম্য। এই আশঙ্কা কতটা সত্যি, তা জানা গেল সম্প্রতি উত্তর ভারতের তিন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জঙ্গির কাছ থেকে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে তাদের পাকড়াও করেছে দিল্লি পুলিস। তারা কবুল করেছে যে ভারতের নানা স্থানে মারাত্মক নাশকতা বা হামলা করার জন্যই তাদের প্রস্তুত করা হয়েছে। মুম্বই হামলার (২৬/১১) অন্যতম চক্রী আজমল কাসবকে পাকিস্তানের যেখানে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল সেই থোট্টা শহরের গোপন ঘাঁটিতেই ট্রেনিং হয়েছিল এদের মধ্যে দু’জনের। সেখানে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে ১৪-১৫ বাংলাভাষী যুবকও। এদেশে ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশকিছু বিদেশি অস্ত্রশস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, এসব ড্রোনের মাধ্যমে পাক সীমান্ত পার করে আনা হয়েছে। ভারতে হামলার জন্য এই ট্রেনিং দিচ্ছেন পাক সেনাবাহিনীর কর্তাব্যক্তিরাই স্বয়ং। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে আইএসআইয়ের স্লিপার সেল। তাদের ভিতর থেকেই কিছু ‘রিক্রুট’কে বাছাই করে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। সেখানে তাদের দেওয়া হচ্ছে সপ্তাহ দুইয়ের ‘আশকারি তালিম’ (মিলিটারি ট্রেনিং)। গাজি, হামজা, জব্বার প্রভৃতি কোড নামের তিন পাক সেনাকর্তা গদর বন্দরের কাছে একটি ক্যাম্পে বাছাই জঙ্গিদের ট্রেনিং দিচ্ছেন। গোয়েন্দারা বলছেন, মুম্বই ধাঁচের হামলা চালানোর জন্যই লস্কর-ই-তোইবা এবং ডি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে চলছে ওই ক্যাম্প।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানা মতে, ওই ক্যাম্পে বঙ্গভাষীদের সিংহভাগই বাংলাদেশের ‘নিও জেএমবি’-র সদস্য। মায়ানমারের বঙ্গভাষী রোহিঙ্গাও রয়েছে দু’-তিনজন। এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ধৃত ৬ জঙ্গির। তারাও একই ট্রেনিং নিয়ে ফিরেছে ভারতে। স্বভাবতই এতে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। আজ, শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এই বিষয়ে করণীয় স্থির করতে এক বৈঠক ডেকেছে। কাবুলে তালিবানের উত্থানের পর বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী বেশ তরতাজা হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রকাশ্য উল্লাস নিয়ে বাংলাদেশও চিন্তিত। হাসিনা সরকারের এই উদ্বেগ যে কোনওভাবেই অমূলক নয় তা দিল্লি পুলিসের সফল অভিযানে আর একবার প্রমাণিত হল। বঙ্গভাষী জঙ্গিদের প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, অসম প্রভৃতি রাজ্য সরকারের তরফেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। কারণ, উৎসবের মরশুমে প্রবেশ এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। জঙ্গিরা এমন মওকাই খোঁজে। ব্যাপারটাকে শুধু ভারতের নয়, আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। মানবতার এই শত্রুদের মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সঙ্গে নিয়েই কড়া পদক্ষেপ করা হোক। বাংলাদেশকে পাশে পেলে পাকিস্তানের নষ্টামির মোকাবিলা অনেক সহজ হবে। এটি এই দুই প্রতিবেশী দেশের অভিন্ন স্বার্থেরও বিষয়।