কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউসে কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলির ঐতিহাসিক বৈঠক হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে তাতে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীও। ওই বৈঠকের ঠিক আগে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ‘টেররিস্ট অ্যান্ড আদার মিলিট্যান্ট গ্রুপস ইন পাকিস্তান’ শীর্ষক রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয় সিআরএস-এর তরফে। তাতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী’র তকমা দিয়েছে আমেরিকা। তারমধ্যে অন্তত ১২টি ইমরান খানের দেশে বহালতবিয়তে ঘাঁটি গেড়ে আছে। জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে সিআরএসের রিপোর্টে। এগুলি হল – বিশ্ব, আফগানিস্তান, ভারত ও কাশ্মীর কেন্দ্রীক, অন্তর্দেশীয় ও শিয়াবিরোধী।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের রিপোর্ট উল্লেখ করে সিআরএস জানিয়েছে, বেশ কিছু আঞ্চলিক জঙ্গি সংগঠনের কাছে পাকিস্তান এখনও স্বর্গরাজ্য। পাক মদতেই সেদেশের মাটিতে বসে ভারত ও আফগানিস্তানে নাশকতা চালাচ্ছে তারা। রিপোর্টে উল্লেখ, ১৯৮০ সালের পরের দিকে পাকিস্তানে লস্কর-ই-তোইবা গঠিত হয়। ২০০১ সালে আমেরিকা এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তকমা দেয়। ২০০৮-এর মুম্বই হামলার মতো ভারতে একাধিক নাশকতার সঙ্গে তারা যুক্ত। পাশাপাশি, পাক মদতপুষ্ট আর এক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মহম্মদের ঠিকুজি-কুষ্ঠিও রিপোর্টে তুলে ধরেছে সিআরএস। তারা জানিয়েছে, ভারতের পাশাপাশি আমেরিকার বিরুদ্ধেও খোলাখুলি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে জয়েস। কিন্তু, এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পাকিস্তান। ভারত বিভিন্ন সময় বলেছে, বিশ্বের নজরে নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করছে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু, সবটাই লোক দেখানো। জঙ্গিদের কার্যত লালন-পালন করে পাক প্রশাসন। সিআরএসের এই রিপোর্ট ভারতের বক্তব্যকে আরও শক্তিশালী করল বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন রিপোর্টে এই দুই জঙ্গি সংগঠন ছাড়াও হুজি, আল কায়েদা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিন্যান্ট (একিউআইএস), ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি), আফগান তালিবান, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো জঙ্গি সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।