কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র বলেন, আমাদের কর্মীরা কাজে যোগ দেওয়ার আগে নিজেদের কাছে থাকা অর্থের হিসেবে রেজিস্টার খাতায় উল্লেখ করতে হচ্ছে। সাম্প্রতিকালে এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আসানসোলেও তা মেনে চলা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘুষ কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে দেশজুড়ে। পুলিস কর্মীদের ঘুষ নেওয়া থেকে সীমান্তে অসাধু বিএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স। বিভিন্ন গুডস শেড থেকে সামগ্রী লুট, মালগাড়ি থেকে সরকারি সম্পত্তি চুরির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আরপিএফ কর্মীদের। এমনকী আরপিএফকে ঘুষ দিলেই রেলে অসাধু কাজের ছাড়পত্র মেলে বলেও নানা জায়গায় প্রচার রয়েছে। এই ঘুষ চক্র ভাঙতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল আরপিএফ। কর্তব্যরত অবস্থায় যাত্রীদের সিট ম্যানেজের টাকা থেকে গুডস ট্রেন গার্ডের বিশেষ বন্দোবস্ত করে বাড়তি মুনাফার টাকা পকেটে ঢোকানো ঠেকাতে এবার পকেটেই নজরদারি শুরু করে দিল আরপিএফ কর্তৃপক্ষ। আরপিএফ কর্মীদের পকেটে কত টাকা রয়েছে তা সিনিয়র অফিসাররা আচমকা চেকিং করবেন বলে জানা গিয়েছে। তাতে অনেকেই এবার থেকে ঘুষ নিতে ভয় পাবে বলে অফিসারদের আশা। বিশেষ অভিযান, তল্লাশি ও স্পেশাল ড্রাইভের দিনেও কর্মীদের জন্য এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। ফলে স্পেশাল চেকিংয়ের দিনেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আরপিএফ কর্মীদের চেক করে দেখতে পারবেন, বাড়তি টাকা পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না। শুধু যাত্রী হয়রানি নয়, রেলে চুরির ঘটনাও এতে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।