কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৮টি বাড়ি। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩২হাজার ৬৮৪টি কাঁচাবাড়ি। মোট ক্ষতিগ্রস্ত মৌজার সংখ্যা ১৫১২। ভগবানপুর-২ ব্লকের মুগবেড়িয়া গার্লস হাইস্কুলে ২৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রিয়ম জানা নামে এক বছরের এক শিশুও আছে। ওই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বিষ্ণুপদ ধল, কৌশিক মাইতি, সোমনাথ জানা বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তালছিটকিনি গ্রামে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভাঙে। তারপর প্রায় দু’সপ্তাহ হতে চলল এখনও নদী বাঁধ মেরামত করা গেল না। নদীর জল মৌজায় ঢুকে যাওয়ায় এবারের পুজোটাও আমাদের ত্রাণ শিবিরের মধ্যে কাটাতে হবে।
মুগবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের সাত শিশু সহ মোট ২১ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ওই শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রভাত শিট, শুকদেব জানা প্রমুখ বলেন, চাষাবাদ সব শেষ হয়ে গিয়েছে। কাঁচাবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। এখন বাড়ি ফিরে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার মতো অনেকের সুযোগ থাকবে না।
ভগবানপুর ও পটাশপুরের সবকটি হাইস্কুলে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, জেলায় ৩৮৩টি ত্রাণ শিবিরের মধ্যে ১৩১টিতে রান্না করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। বাকি জায়গায় দুর্গতরা নিজেরাই রান্না করছেন। ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম অফিসার(আইসিডিএস) সুহৃদকুমার দাস বলেন, আমরা প্রতিটি ব্লকে গর্ভবতী মা ও শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী দিই। সেপ্টেম্বর মাসে ১৭ তারিখ থেকে দেওয়ার কথা ছিল। বন্যা কবলিত ছ’টি ব্লকে ওই কাজ করা যাচ্ছে না।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, সেচদপ্তরকে দ্রুত নদীবাঁধ মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা নাহলে পুজোর মধ্যে মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে কাটাতে হবে। আমরা বিডিওদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। এখনও পর্যন্ত ৪২ হাজারের কিছু বেশি বাড়ি ভাঙার খবর এসেছে।