ভবানীপুরের ভোটযুদ্ধ যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই রাজ্যের আরও চার কেন্দ্রে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়ে যাচ্ছে পুজোর আগেই।
মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা। তাতে কেউ পেয়েছেন ২০০, কেউ বা ১৯৮, আবার কেউ ১৫১। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনয় ভবনের এমএড প্রবেশিকার মেধা তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকদের। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে তা প্রকাশিত হয়।
২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই বছরেই নেওয়া পরীক্ষার উত্তরপত্রে ভুল থাকার অভিযোগ ওঠে। মামলা হয়। অনেক টানাপোড়েনের পর সেই অভিযোগ সূত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে।
কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ২০১৫ সালের আগে তপোবন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা দুর্গাপুজোয় আনন্দ করার সুযোগ পেতেন না। আশপাশের খড়িকা ও নয়াগ্রামে বড় আকারে দুর্গাপুজো হয়, কলমাপুকুরিয়া, পাতিনা, নেগুই গ্রামেও পুজো হয়। তবে অনেক দূর ও নদী ও জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হয় বলে এই এলাকার বাসিন্দারা পুজো দেখতে যেতেন না। কারণ, ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের তপোবন জঙ্গল হাতির হামলার জন্য বিখ্যাত। স্বাভাবিকভাবেই কেউ ঝুঁকি নিয়ে দূরদূরান্তের গ্রামে যেতে চাইতেন না। ২০১৫ সাল থেকে এই এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই রামচন্দ্রপুর গ্রামে দুর্গাপুজো শুরু করেন। সেই পুজো এবছর সাতে পা দিল। এটি নয়াগ্রাম ব্লকের ৩ নম্বর বড় খাঁকড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। সাতবছর আগে এই এলাকার বেলবাড়, নোয়াসাই, বাছুরখোয়াড়, বড়খাঁকড়ি, ভালিয়াঘাট, টোটাসাই, থুরিয়া, রুকনিমাড়া, বড়ডাঙা, মুড়াকাটি সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা সম্মিলিতভাবে এই রামচন্দ্রপুর গ্রামে পুজো শুরু করে। এখানে পুজোর স্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশেই একেবারে জঙ্গলের মাঝে রয়েছে চাঁদাবিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দরখুলি গ্রাম। এই গ্রামে প্রায় ২০০টি লোধা শবর পরিবারের বসবাস। এঁরাও রামচন্দ্রপুরের পুজোয় শামিল হন। এখানকার নোয়াসাই গ্রামে ১৪টি ঢাকি পরিবারের বসবাস। এই ঢাকিরা প্রতিবছর ঝাড়খণ্ডের টাটাতে পুজোয় ঢাক বাজাতে যান। এই গ্রামের ঢাকি পবন বাগ ২০১৮-’১৯ বর্ষে ঢাক বাজানোর প্রতিযোগিতায় জেলায় প্রথম হয়ে রাজ্যস্তরে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ৮ কিমি দূরে কলমাপুকুরিয়াতে জমকালো পুজো হয়, কিন্তু জঙ্গল পথে হাতির জন্য কেউ দেখতে যাওয়ার ঝুঁকি নেয় না। আমাদের রামচন্দ্রপুরে পুজো শুরু হওয়ার পর এখানেই এলাকার সবাই পুজো উপভোগ করেন। আগে যাঁদের টাকা পয়সা বেশি তাঁরা শহরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে দুর্গাপুজো দেখার সুযোগ পেতেন। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পুজোয় শামিল হতেন না। রামচন্দ্রপুর পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ ভবেশ মাহাত বলেন, আমরাই এই পুজোর সূচনা করেছি। করোনা পরিস্থিতির আগে এখানে পুজোয় ব্যাপক ভিড় হতো। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। সে সময় চার থেকে পাঁচলক্ষ টাকা পুজোর বাজেট করা হতো। পুজোর সরকারি অনুদান পাচ্ছি। এখানকার পুজোয় এলাকার মানুষের ঢল নামে। আগে জঙ্গলপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দূরদূরান্তে কেউ পুজো দেখতে যেতেন না। এখানে স্থায়ী একটি মন্দির করার পরিকল্পনা ছিল। করোনা পরিস্থিতির জন্য তা হয়ে ওঠেনি।
