কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে আফগানিস্তানে ফের শাসন ক্ষমতায় আসে তালিবান। তাতে সবচেয়ে বেশি উল্লসিত ছিল ইমরানের সরকার। তালিবানকে প্রথম যে রাষ্ট্রনেতা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান, তিনি ইমরান। আফগান সরকার গঠনেও পাকিস্তানের সরাসরি অংশগ্রহণও দেখেছে গোটা বিশ্ব। তালিবানের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতকে জব্দ করার কৌশল এখন বুমেরাং হতে বসেছে পাকিস্তানের। কারণ, ১৫ আগস্টের পর পাক-ভূমে জঙ্গি হামলায় যে পরিমাণ রক্ত ঝরেছে, তা গত চার বছরে হয়নি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে ইমরান সরকারের কপালের ভাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে ‘সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল’। ব্লমবার্গ সংবাদ সংস্থা সহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে পোর্টালটি জানিয়েছে, শুধু আগস্ট মাসেই পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মোট ৩৫টি জঙ্গি হামলা হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৫২ জন সাধারণ নাগরিক। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর একসঙ্গে এতগুলি হামলার ঘটনা ঘটেনি পাকিস্তানে। তার চেয়েও বড় কথা, প্রায় প্রতিটি হামলার পিছনে নাম উঠে আসছে তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি)। আল-কায়েদার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসতেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সংগঠিত করতে তৎপরতা বাড়িয়েছে টিটিপি। কারণ, তারা বুঝে গিয়েছে ক্ষমতার আগ্রাসনে তালিবান তাদের আরও বেশি করে মদত জুগিয়ে যাবে। অর্থে-অস্ত্রে পুষ্ট করে তুলবে টিটিপিকে। এই জঙ্গি সংগঠনটি এমনও বলছে, পাকিস্তানের সার্বিক উন্নয়নে বিকল্প দরজার খোঁজ করতে হবে।
আর সেই ‘বিকল্প দরজা’ বলতে যে সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানের কুর্সি দখল করা, তা এক রকম মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং ফেলো তথা গবেষক উমর করিম বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিটিপি’র ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। অতীতে তালিবানের সঙ্গে টিটিপি’র আদানপ্রদান সর্বজনবিদিত।’ ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস-এর সিনিয়র এক্সপার্ট এ মীরের কথায়, ‘পাকিস্তান মুখে না বললেও তালিবান এবং টিটিপির যোগসাজস তাদের কাছে বড় উদ্বেগের। সেই উৎকণ্ঠা আগামীদিনে আরও বাড়বে।’