কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের কথা শুনলে দেশের এমন হাল হতো না। অতিমারী শুরুর পরেই অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনেক তাবড় বিশেষজ্ঞ, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রসহ অনেকেই বলেছিলেন, মানুষের হাতে নগদ পৌঁছে দেওয়া জরুরি। তাঁদের নীতিটা ছিল পরিষ্কার। করোনাকালে আয় কমেছে মানুষের। তাই হাতে নগদ না থাকলে তাঁরা কেনাকাটা করবেন কীভাবে? হাতে নগদ থাকলেই বাজারে চাহিদা তৈরি হবে। আর তাতেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। নির্মলা সীতারামন ঠিক এর উল্টো পথে হেঁটেছেন। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে তাঁর দাওয়াই ছিল ঋণসর্বস্ব প্যাকেজ। ব্যাঙ্কের ঋণ পেতে উৎসাহ দেওয়া, কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এর ফল হয়েছে উল্টো। কেন্দ্রের এই নীতি সুপার ফ্লপ। পরিণতিতে কেনাকাটার উৎসাহ ঠেকেছে তলানিতে, বেড়েছে বেকারত্ব। সঙ্গত কারণেই কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কেন্দ্রের নীতিকে পুরোপুরি ব্যর্থ ও ভুল বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন। দিল্লির সরকারের অবশ্য তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। উল্টে এপ্রিল-জুনের ত্রৈমাসিকে জিডিপি ২০ শতাংশ বৃদ্ধির হার নিয়ে হইচই শুরু করেছে নির্লজ্জ গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রের কোনটা সত্যি আর কোনটা অসত্য তা নিয়েই কটাক্ষ করে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ বলছেন, গত বছরের এই সময় জিডিপি ২৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল। তার থেকে এবারের উন্নতির ছবিটা তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন নরেন্দ্র মোদিরা। প্রকৃত সত্য হল, জিডিপি আগের জায়গায় ফেরেনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চোখে আঙুল দিয়ে অমিত মিত্র দেখিয়েছেন, ২০১৯-২০’র তুলনায় জিডিপি ৭.৭৯ শতাংশ কম অর্থাৎ এখানেও কেন্দ্রের সেই মিথ্যার ফানুস ওড়ানোর খেলাটি ধরা পড়েছে।
দেশের অর্থনীতির যখন এই অবস্থা, কর্মহীন ৩ কোটির উপর, বিনিয়োগ কমেছে ২ লক্ষ কোটি তখন গেরুয়া বাহিনী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭১তম জন্মদিন পালনে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে! অস্বচ্ছ নানা তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রের গুণগানেই তারা ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোনও লক্ষণই নেই দেশশাসকের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ব্যতিক্রম। আর্থিক অবস্থা ফেরাতে মানুষের হাতে নগদ টাকা নানা প্রকল্পের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার যে তাগিদ তিনি আন্তরিকভাবে অনুভব করেছেন তা মাথাতেও আনেননি ভারতেশ্বর। তাই গোটা দেশে সার্বিকভাবে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেগেটিভ হলেও বাংলায় তা পজেটিভ। এক্ষেত্রেও বাংলাই পথ দেখাল। হেলদোল নেই কেন্দ্রের। কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সত্য প্রকাশ পাবেই। যেমন সামনে এল বিনিয়োগ কমা আর ভয়াবহ বেকারত্বের প্রকৃত তথ্য। যা আড়াল করতেও নরেন্দ্র মোদিরা ব্যর্থ হলেন।