প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
বিভিন্ন রাজ্যে এই কারণে কয়েকজন আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে। এহেন পাপচক্রে জড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পুলিস পেয়েছে তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্য থেকে। এই মুহূর্তে দেড়শোর বেশি বিপজ্জনক লোন অ্যাপ পুলিসের নজরে। নানা অভিযোগে ৩০ জন অভিযুক্তকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে আছে কয়েকজন চীনা নাগরিকও। সব মিলিয়ে লোন অ্যাপ এক নয়া বিপদের নাম। অ্যাপের মাধ্যমে ভারতে ইনস্ট্যান্ট মাইক্রো লোন নেওয়ার শুরু ২০১৯-এ। ২০২০-র মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে সেটা অনেকখানি বেড়ে যায়। এই ধরনের অ্যাপ তখন খুব বেশি ছিল না। লকডাউনের পর, গত জুন-জুলাই থেকে এগুলোর সংখ্যা ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়ে চলেছে।
এই অন্যায় বন্ধ করতে গুগল বা ওই ধরনের সার্স ইঞ্জিন সংস্থাগুলোর উচিত আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসা। কারণ তাদের ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্মকে তারা অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। লোন অ্যাপসহ সমস্ত বিপজ্জনক অ্যাপ অবিলম্বে তাদের তরফেই ‘রিমুভ’ করে দেওয়া উচিত। বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করুক কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কারণ, এই ভয়ানক বিপদ কাটিয়ে ওঠা সাধারণ মানুষের একার পক্ষে সম্ভব নয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা পরিবার সাইবার থানায় অভিযোগ জানাতেই পারেন। কিন্তু ততদিনে তাঁদের সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়েই যায়। বিভিন্ন অবাঞ্ছিত ঘটনা থেকে কিছু মানুষ সতর্কও হয়তো হবেন। কিন্তু তার পরেও সমস্যা থেকে যায়। কারণ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মারফত অনবরত মেসেজ আসতে থাকে। তার কিছু থাকে নিত্যনতুন অ্যাপ ডাউনলোডের ফাঁদ। সবাই এগুলি আগাম আন্দাজ করতে পারেন না। আবার কিছু মানুষ এসব বিষয়ে নিতান্তই অজ্ঞ। অল্প বয়সিদেরও হাতে হাতে এখন স্মার্ট ফোন। এই ধরনের কিছু মানুষ ভুলবশত বিপজ্জনক অ্যাপ ডাউন লোড করে ফেলতে পারেন। তাই এই বিপদ এড়াবার সবচেয়ে ভালো সমাধান হল, ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম বা অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকেই তাদের বিতাড়িত করা। নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল ইন্ডিয়া নির্মাণের সঙ্কল্প ঘোষণা করেছেন। ইন্টারনেট এবং অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটাই যদি হয় কিছু মানুষের অভিজ্ঞতা, তবে তা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জন্য মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়। তাই এই দায়িত্ব স্বীকারসহ কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেই হবে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া নির্মাণে সরকারের আন্তরিকতা প্রমাণের এটা সুযোগও বটে।