নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সিইএসসি’র বিদ্যুতের বিল নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ জিইয়ে রইল শনিবারও। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, বিল কেন বেশি এসেছে, তার ব্যাখ্যা তাঁরা গ্রাহককে দেবেন। তিনি বলেন, আমরা একটা ভিডিওবার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি, যেখানে সহজভাবে গ্রাহককে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, কেন তাঁদের বিল বেশি এসেছে। গ্রাহকের থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। যতক্ষণ না তারা গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে পারবে, ততক্ষণ আমিও বিষয়টি ছাড়বো না। সিইএসসি থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, গ্রাহকদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করবে। কীভাবে সেই কাজ হবে, তা আমাকে জানাবে। এখনও ন’লক্ষ গ্রাহককে এমাসে বিল পাঠায়নি তারা। সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে বলে তারা আমাকে জানিয়েছে। তেমনই যাঁদের কাছে বিল গিয়েছে, সেখানে যদি কোনও ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে তারা তা শুধরে নেবে বলেছে। আমি স্পষ্ট করে সিইএসসিকে বলেছি, গ্রাহকের উপর কোনওভাবে চাপ সৃষ্টি করা বা বড় অঙ্কের বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
এদিন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, করোনা আক্রমণের এই বিপদের দিনে বাড়াবাড়ি রকমের বিদ্যুতের বিল পাঠিয়ে সিইএসসি গ্রাহকের জীবন আরও বিপর্যস্ত করে তুলছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিএসসি এলাকায় তো বটেই, বিদ্যুতের বিল নিয়ে লুট চলছে রাজ্যের সর্বত্রই। অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী লাগামছাড়া বিলের বিরুদ্ধে সিইএসসিকে চিঠি দিয়েছেন। আগামী সোমবার সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা।