ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আসন্ন ডেভিস কাপ টাইয়ের আগে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব (নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন) কেড়ে নেওয়া হয়েছে মহেশ ভূপতির হাত থেকে। তাঁর পরিবর্তে নতুন অক্রীড়ক অধিনায়ক হিসেবে নাম ঘোষিত হয়েছে প্রাক্তন প্লেয়ার ও জাতীয় টেনিস ফেডারেশনের নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান রহিত রাজপালের। কারণ হিসেবে এআইটিএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে পাকিস্তান সফরে যেতে চাননি ভূপতি। পরে পাক মুলুক থেকে ওই টাই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সরে গেলেও ভূপতির মনোভাব মেনে নিতে পারেনি এআইটিএ। তাই তাঁকে অক্রীড়ক অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে ভূপতিএদিন বলেন, ‘ভারতের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব হারানোর জন্য বিন্দুমাত্র আক্ষেপ আমার নেই। ১২টি গ্র্যান্ডস্লাম খেতাব জিতেছি আমি। ২৫ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলেছি। আর কিছু পাওয়ার নেই আমার। কিন্তু যে ভাবে আমাকে সরানো হল, সেটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি দুঃখ দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ওরা জাতীয় দায়িত্ব পালনে অবহেলার যুক্তি দেখিয়েছে। এটা আমি মানতে পারছি না। একদম বাজে কথা। আমি একবারও বলিনি যে, পাকিস্তানে যাব না। অথচ আমাকে সরানোর জন্য ওরা গুরুতর মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারতীয় টেনিস দলের অক্রীড়ক অধিনায়ক হিসেবে কাজ শুরু করা ভূপতি নিজের টুইটারেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘এআইটিএ সচিব হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় আমাকে সোমবার ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, আমার জায়গায় রহিত রাজপালকে অক্রীড়ক অধিনায়ক নিযুক্ত করা হচ্ছে। এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওরা আমার সঙ্গে একবার আলোচনা করার সৌজন্যটুকুও দেখায়নি। এটা আমার কাছে চরম অপমানজনক মনে হয়েছে।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সোমবারের পর থেকে আমার সঙ্গে আর এআইটিএ-র আর কথা হয়নি। আমাকে সরকারি ভাবে এখনও বরখাস্ত করার কথাও জানানো হয়নি। তাই আমি মনে করি, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত অধিনায়ক পদে রয়েছি, যতক্ষণ না তাদের তরফে কিছু জানানো হচ্ছে।’ আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন যে প্লেয়ারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভারত-পাক টাই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে সেটাও তিনি জানতেন না বলে জানিয়েছেন ভূপতি। প্রসঙ্গত, মহেশের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০১৮ ডিসেম্বরেই। ফেব্রুয়ারিতে ইতালি টাই পর্যন্ত তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছিল এআইটিএ।
এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রোহন বোপন্না অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কোথায় টাই হবে তা নিয়ে আইটিএফ সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই যে ভাবে এআইটিএ ভারতের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন বদলে দিল, তাতে আমি ভীষণ অবাক হয়েছি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি। এমনকি জানানো হয়নি যে, এমনটা হতে চলেছে।’ বোপান্না আরও লেখেন, ‘ক্যাপ্টেন, খেলোয়াড়দের পারস্পরিক সম্পর্ক, অন্তরঙ্গতা, আস্থা থেকেও অনেক সমর্থন পাওয়া যায়। তাই খেলোয়াড়দের কথা সব সময় শোনা উচিত।’ বোপান্নার টুইটের জবাবে এআইটিএ সচিব হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এক্তিয়ারের বাইরে খেলোয়াড়দের প্রশ্ন করার অধিকার নেই। ওদের কাজ খেলা। প্রশ্ন তোলার ও কে? এ সব বিষয় দেখার জন্য প্রশাসকরা রয়েছে। ওর এ ব্যাপারে নাক গলানো উচিত নয়।’