কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিনগরে গ্রেপ্তার হওয়া ওই বাংলাদেশি প্রায় বছর সাতেক আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসেছিল। এদেশে ঢুকে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে দক্ষিণ ভারতে শ্রমিকের কাজ করত সে। বছর কয়েক আগে সেখান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় রানিনগরের সীতানগরের এক যুবতীর সঙ্গে। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত বছর কয়েক আগে তাদের বিয়েও হয়। এই সময়কালে ভুয়ো আধার কার্ড ও ভুয়ো রেশন কার্ডও তৈরি করে ফেলেছিল সে। এভাবেই রীতিমতো ঘর সংসার বেঁধে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস শুরু করেছিল। তবে ধৃত মেহের বছরের বেশিরভাগ সময় কেরলেই থাকত। মাঝেমধ্যেই কেরল থেকে সীতানগরে এসে শ্বশুরবাড়িতে থেকে যেত অভিযুক্ত। দিন কয়েক আগেও নিজের শ্বশুরবাড়ি সীতানগরে এসেছিল অভিযুক্ত। সোর্স ইনপুটে সেই খবর পৌঁছয় রানিনগর থানার পুলিসের কাছে। এরপরই শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। শনিবার ধৃতকে সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে লালবাগ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, শনিবার সকালে জলঙ্গির সরকারপাড়ার দিকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল তিন বাংলাদেশি পাচারকারী। ছক ছিল অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকে মাদক নিয়ে পুনরায় ওপারে ফিরে যাওয়া। সেই মোতাবেক তারা জলঙ্গির সরকারপাড়ার সীমান্ত দিয়ে এদেশে কিছুটা প্রবেশও করে ফেলেছিল। সেই সময় বিষয়টি নজরে আসে সেখানে টহলরত জওয়ানদের। জওয়ানদের দেখেই ধৃতরা পালানোর চেষ্টা করে। বিএসএফ তাদের পেছনে ধাওয়া করে। দু’জন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে সফিকুল। তাকে পাকড়াও করে জলঙ্গি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধৃত নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে জানায়, মাদক পাচারের জন্যই তারা এসেছিল।
বিএসএফের এক অধিকারিক বলেন, কুয়াশার সুযোগ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ওপারের পাচারকারীরা এপারে আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএসএফের কড়া নজরদারিতে প্রত্যেকবারই ভেস্তে যাচ্ছে তাদের পরিকল্পনা। এবারও তাই হয়েছে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফ বদ্ধপরিকর।