কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
নবম দফায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার শিবির ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই সময়কালে জেলাজুড়ে প্রায় তিন হাজার ২৩৭টি শিবির আয়োজিত হবে। প্রথমদিনে জেলার সিউড়ি-১ ও ২ ব্লক এবং সিউড়ি পুরসভা, সাঁইথিয়া পুরসভা ও ব্লক, রামপুরহাট পুরসভা, রামপুরহাট-১ ও ২ ব্লক সহ মোট ২৫টি জায়গায় ৪০৫টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। শুরুর দিন থেকেই নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে প্রতিটি শিবিরে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। বহু মানুষ তাদের চাহিদা মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন জানিয়েছে। প্রথম দিনেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নজর কেড়েছে। প্রায় ৪ হাজার ৩০৭টি আবেদন জমা পড়েছে। বার্ধক্যভাতার ক্ষেত্রে প্রায় ৩ হাজার ১২৫টি আবেদন পড়েছে। বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় দু’হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়াও সব প্রকল্পেই কমবেশি আবেদন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে এই জেলায় প্রথম দিনেই ১৪ হাজার ৭৫৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এতে জেলা প্রশাসনের কর্তারা উচ্ছ্বসিত। তাঁদের কথায়, দুয়ারে সরকারের দৌলতে বহু মানুষ সরকারি সুবিধার আওতায় আসতে পারছে। প্রবীণ নাগরিকরা বিশেষ করে যাঁরা হাঁটাচলা করতে অক্ষম, তাঁরা যাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই দিকটিও নিশ্চিত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে জেলাজুড়ে মোবাইল ক্যাম্পের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
এদিন সকালে সিউড়ির মহকুমা শাসক সুপ্রতীক সিনহা একাধিক শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের উত্সাহ চোখে পড়ার মতো ছিল। প্রতিটি শিবিরেই যথেষ্ট ভিড় হয়েছে। আবেদনকারীদের থেকে কেউ যাতে এক টাকাও না নিতে পারে, সেই বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
এদিন দুয়ারে সরকার শিবিরে কল্পনা ডোম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ফিলআপে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, এই শিবিরের জন্য আমাদের অনেক উপকার হয়। শিপ্রা রায়ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘরের কাছেই শিবির হচ্ছে। আমাদের দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে না। খুব সুবিধা হয়েছে।