প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি তথা ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম বসু বলেন, ইংরেজি তারিখ ধরেই তাঁর জন্মভিটেতে সরকারিভাবে জন্মদিবস পালন করা হবে। সেই মতো সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরসিংহ গ্রামে এসে বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে বীরসিংহ গ্রামে আড়াই কোটি টাকা খরচ করে নতুন রাস্তা তৈরি হয়। গ্রামজুড়ে লাগানো হয় পথবাতি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৬ লক্ষ টাকা খরচ করে জন্মভিটের সংস্কার করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যাসাগরের জন্মভিটেকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর জন্মের দ্বিশতবর্ষ পূর্তিতে এক বছর ধরে নানা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এমনকী, বীরসিংহ গ্রামের পরিকাঠামো উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী ডেবরার প্রশাসনিক সভায় একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, করোনার জেরে সব কিছুতেই ছেদ পড়ে। এখনও ওই গ্রামে একাধিক প্রকল্পের কাজ বাকি রয়েছে। বিদ্যাসাগরের তৈরি ভগবতী বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নতুন কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। জেলাশাসকের হাতে ওই ভবনের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে জন্মভিটেতে বিদ্যাসাগরের ব্যবহৃত বই, হুঁকোদানি, দাঁত, সিলমোহর সবকিছু রাখা রয়েছে।
বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক তথা ভগবতী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ বেরা বলেন, বাংলা তারিখ ধরেই আমরা তাঁর জন্মদিন পালন করে আসছি। এবছর ইংরেজি তারিখ মেনে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হবে। চারদিন ধরে অনুষ্ঠান চলবে। বাংলা তারিখ অনুযায়ী এবার ১২ আশ্বিন হচ্ছে ২৯ সেপ্টেম্বর। ওইদিন সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে। প্রতি বছরই ভগবতী বিদ্যালয় ছাড়াও আশেপাশের স্কুলে ছেলেমেয়েরা জন্মদিবস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এবার আর ছাত্রছাত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে না। অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাও আবার সীমিত সংখ্যক। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই অনুষ্ঠান করা হবে। জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর বীরসিংহে জন্মদিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমিও যাব। তাছাড়া গত বছরই ওই গ্রামের স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশকিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল। কাজের অগ্রগতির কাজও খতিয়ে দেখা হবে। বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের কাজও অনেকটাই এগিয়েছে। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ক্যাবিনেটে গিয়েছে। বাকি যে সব কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলি সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিদ্যাসাগরের জন্মদিনের আগে তাঁর মূর্তিতে রং করছে এক কিশোরী। শান্তিপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র