কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের এডিএফও রাজীব দে বলেন, চাপড়ামারি ও গোরুমারায় পর্যটকদের জন্য এন্ট্রি ফি ছিল ২০০ টাকা। নেওড়াভ্যালিতে এন্ট্রি ফি হিসেবে মাথাপিছু ধার্য ছিল ৫০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন থেকে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফ্লেক্স টাঙিয়ে পর্যটকদের তা জানানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পর্যটকরা শুধুমাত্র জিপসি ভাড়া করে এবং গাইড নিয়ে জঙ্গলে ঘুরতে যেতে পারবেন। এতে তাঁদের খরচ অনেকটাই কমবে।
বর্তমানে পর্যটনের মরশুম চলছে। তাছাড়া শীতে জঙ্গলে বন্যপ্রাণী ভালো দেখা যায়। ফলে এসময় অনেক বেশি পর্যটক ডুয়ার্সের জঙ্গলে বেড়াতে আসেন। বনদপ্তর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র গোরুমারায় এখন দিনে গড়ে সাড়ে পাঁচশো পর্যটক আসছেন। এছাড়া অন্যান্য জায়গা তো রয়েইছে।
কলকাতার গড়িয়াহাট থেকে শুক্রবার গোরুমারায় সপরিবার বেড়াতে এসেছিলেন মলয় দাশগুপ্ত। বললেন, মুখ্যমন্ত্রী খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে জঙ্গলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের উপর চাপ অনেকটাই কমবে। তবে এটা নিয়ে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। লাটাগুড়িতে জঙ্গল সাফারির টিকিট কাটতে গিয়ে এটা জানতে পারি।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, প্রতিটি শিফ্টে ওয়াচ টাওয়ার পিছু যতজন পর্যটককে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো, সেটাই থাকবে। ফলে আগে এসে সাফারির জন্য বুকিং করার ভিত্তিতে জঙ্গলে ঢোকার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, জঙ্গলে পর্যটকদের এন্ট্রি ফি প্রত্যাহার হয়েছে খুবই ভালো। কিন্তু এর ফলে জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তির মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যেন থমকে না যায়, সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে।
(গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের ভিড়।)