গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
উচ্চ মাধ্যমিকে দীপ ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৮০। তিনি গাজোল শিউচাঁদ পরমেশ্বরী বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। ইংরেজিতে ৯৫, ভূগোলে ৯৬, দর্শনে ৯৬, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৪, শিক্ষা বিজ্ঞানে ৯৯ পেয়েছেন। এত ভালো ফলেও দুশ্চিন্তা তাঁর। দীপের মা, দাদাও চিন্তায়। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা পরিবারে। কীভাবে ছেলের পড়াশোনা করাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় এই মেধাবী পড়ুয়ার মা জয়ন্তী রায়। ভাঙা টিনের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, আমাদের পরিবারের অবস্থা ভালো নয়। ছেলেদের টিউশনের টাকায় সংসার চলে। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সংসার চালিয়ে পড়াশোনা খরচ চালানো খুব কঠিন। গাজোলের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস অবশ্য তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
কৃতী পড়ুয়া দীপের বাড়ি গাজোলের রামকৃষ্ণপল্লিতে। বাবা রতন রায় চার বছর আগেই মারা গিয়েছেন। মা জয়ন্তী সন্তানদের নিয়ে ওই এলাকায় টিনের বাড়িতে বসবাস করেন। ঝমঝম করে বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে জল পড়ে। ওই ঘরেই এই পড়ুয়া দিনে ৮ ঘণ্টা করে পড়াশোনা চালিয়ে ভালো ফল করেছেন। দীপ বলেন, আমরা গরীব। পাশে কেউ নেই। দাদা টিউশন পড়ায়। সেটা দিয়ে কোনওমতে সংসার চলে। নিজের হাত খরচের জন্য আমিও টিউশন পড়িয়েছি। আমি আগামী দিনে বড় আমলা হতে চাই। গাজোল শিউচাঁদ পরমেশ্বরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সুনীলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ছেলেটি সত্যিই খুব গরীব। সে আমাদের স্কুলের ছাত্র। খুব লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সে বড় হয়েছে। আমরা তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত।