গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
অন্যান্য বছর এসময় আলুর কেজি ২০ টাকার মধ্যে থাকে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির সহকারী সচিব অনুপম মৈত্র বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সব হিমঘর এখনও আলু ছাড়েনি। সেকারণে আলুর জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গতবার আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। এই ঘাটতির কারণে আলুর দাম ৩০ টাকা কেজি হয়েছে। এভাবে হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষি বিপণন দপ্তরও বিষয়টিতে নজর দিয়েছে। আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকটি হিমঘর থেকে যেন আলু চাহিদামতো বের করা হয়। কোথাও যেন আলু আটকে না রাখা হয়।
এবার হিমঘরে আলু ঢোকানোর সময় দাম ছিল ১৪ টাকা কেজি, যা অনেকটাই বেশি ছিল বলে জানান অনুপমবাবু। তিনি বলেন, গত নভেম্বর মাসের পর যে আলু উঠেছে, তা হিমঘরে ঢোকানোর সময় দাম বেশি থাকায় আলুর এই মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত ছিল। হিমঘর থেকে আলু বের করার সময় সব খরচ ধরে দাম ঠিক হয়।
অন্যান্য জায়গা থেকে শিলিগুড়িতে মূলত আলুর দাম একটু বেশি হওয়ার কারণ হিমঘরের অভাব। কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমায় একটিমাত্র হিমঘর রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত আলু খড়িবাড়ির সেই হিমঘরে রাখার পর বাকি আলু জলপাইগুড়ি জেলার হিমঘরে রাখা হয়। এখান থেকে হিমঘরে নিয়ে যাওয়া ও আসার জন্য বাড়তি পরিবহণ খরচ লেগে যায়। এই বাড়তি খরচের জন্য শিলিগুড়িতে আলুর দাম অন্যান্য জায়গার তুলনায় একটু বেশি হয়ে থাকে। তাহলেও ৩০ টাকা কেজি আলু মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। নিজস্ব চিত্র