গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে গিয়েছে সুই নদী। বছরের অন্যসময় তেমন জল না থাকলেও বর্ষায় জলের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। সুই নদীতে স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন মহলে একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছিল। কয়েকমাস আগে বিডিও মিহির কর্মকার দক্ষিণ বেরুবাড়ি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে এসে নদীতে কাঠের সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু সেই আশ্বাস হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। বিজয় মালপাহাড়ি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকমাস আগে বিডিও পরিদর্শন করে কাঠের সেতুর আশ্বাস দেন। এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি। সারাবছর নড়বড়ে সাঁকো আমাদের ভরসা। অতি বর্ষণে সাঁকো ভেসে গেলে কলাগাছ কিংবা থার্মোকল দিয়ে ভেলা বানিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। প্রতিদিন ওই এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে হলদিবাড়ি পাইকারি বাজারে নিয়ে যান। ওই এলাকা থেকে সাতকুড়া, মানিকগঞ্জ বাজার ও হলদিবাড়ি শহরে যাতায়াত করতে হয়। এতবছরেও সেতু তৈরি না হওয়ায় সকলেই প্রশ্ন তুলছেন। রবীন মালপাহাড়ি নামে আরএক বাসিন্দা বলেন, নদীর ওপর সেতু না থাকায় জরুরি পরিষেবা থেকে আমরা বঞ্চিত। একাধিকবার জানানো হলেও প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এ ব্যাপারে দক্ষিণ বেরুবাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত্রা দেব অধিকারী বলেন, পঞ্চায়েতের পক্ষে সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, সুই নদীর ওপর কাঠের সেতু তৈরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটের পর কাজ শুরু হবে।