গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
ক্ষুদ্র চা চাষি স্বরূপ চাকি বলেন, জলের অভাবে চা পাতা লাল হয়ে যাচ্ছে। গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ শুরু হয়েছে। কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে চা পাতা কম পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সঙ্কটের মুখে। অপর কৃষক রাজীব বিশ্বাস বলেন, আমার ২২ বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে চা চাষ করি। প্রায় দু’বিঘার মতো জমির চা গাছ মরে গিয়েছে। জল দিচ্ছি, কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে কোনওভাবেই ভালো চা পাতা পাওয়া সম্ভব নয়। চা চাষি শ্যামল রায় বলেন, একদিকে চা পাতার উৎপাদন কমে গিয়েছে, অন্যদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় ভালো পাতা পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে আমরা চা পাতার দাম পাচ্ছি না। ফলে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছি। রামশাই চা ফ্যাক্টরির মালিক দেবু রায় বলেন, একটি ফ্যাক্টরি চালাতে গেলে প্রচুর খরচ। চায়ের পাতা সেভাবে না এলে ফ্যাক্টরির মেশিনপত্র চালানো যায় না। কিছুদিন ধরে একেবারে কম চা পাতা আসছে। এভাবে কতদিন ফ্যাক্টরি চালাব, বুঝে উঠতে পারছি না। ফ্যাক্টরি বন্ধ করলে কয়েকশো শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন। জলপাইগুড়ি জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক অলোককুমার মণ্ডল বলেন, বৃষ্টির অভাবে ফসলের উৎপাদন কম হতে পারে। বৃষ্টি না হলে শুধু চা কেন অন্য সব্জির ফলনও মার খাবে। নিজস্ব চিত্র