ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তপন দেব সিংহ ও বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই কর্মসূচিকে ঘিরে এদিন দুই দলের নেতা-মন্ত্রী-কর্মীরাই কর্ণজোড়ায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সামান্য সময়ের ব্যবধানে দুই দলের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে রিটার্নিং অফিসারের ঘরে প্রবেশ করেন। সেখানেই তাদের রাজনৈতিক বিরোধের বদলে এক পক্ষ অপর পক্ষকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে।
আগামী ২৫ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সবদলই অল আউট লড়াইয়ে নেমেছে। এক দল আরেক দলের সমালোচনা করতে ছাড়ছে না। কিন্তু এদিন দু’দলের নেতাদের রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখে অনেকেই নেতাদের প্রশংসা করেন। এদিন দুপুরের দিকে বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা, জেলা সভাপতি নির্মল দাম, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসুকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক ভবনে আসেন। সেখানে রিটার্নিং অফিসারের ঘরে বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে সেখানে তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সহ একঝাঁক নেতাকে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। সেখানে রাহুল সিনহাকে দেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন গোলাম রব্বানি ও কানাইয়ালাল। দুই দলের নেতাপ্রার্থীরা একে অপরের উদ্দেশ্যে নমস্কার করেন। ওই সময় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে দু’-একটা কথা বলেন। রিটার্নিং অফিসারের ঘরে পাশাপাশি দুটি চেয়ারে বসের বিজেপি জেলা সভাপতি নির্মল দাম ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। দু’জনে কিছুক্ষণ কথাও বলেন। একটু পরে সেখানে প্রবেশ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখর রায়। তিনি এসে বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের সঙ্গে করমর্দন করেন। বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়ে বেরোনোর সময় করিডোরে দাড়িয়ে ছিলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দধিমোহন দেবশর্মা। তাঁকে জড়িয়ে ধরে কমলবাবু সকলের সামনেই কোলাকুলি করেন। একে অপরের কুশল জানতে চান। রাজনৈতিক সৌজন্য ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের কাছে যেন এদিন হার মানলো রাজনৈতিক বিরোধ।
রাহুলবাবু বলেন, আমি রায়গঞ্জে আগে নির্বাচনে লড়েছি। সে সময় থেকে এখানকার অনেক তৃণমূল নেতার সঙ্গে আমার আলাপ পরিচয় রয়েছে। রাজনীতি কখনও শত্রুতা হওয়া উচিত নয়। আমরা নীতির লড়াই করি। এটাকে যুদ্ধক্ষেত্র ভাবা উচিত নয়। এনিয়ে মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, এটাই রাজনৈতিক শিষ্টাচার। তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার রাজনীতি করে না।
পরক্ষণেই রাহুলবাবু অবশ্য বলেন, আমাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন যতটা কড়াকড়ি দেখিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সেটা মানা হয়নি। ওরা দলবল নিয়ে যেন ঘোরাও করতে এসেছিল। এনিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।