ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
২০১৬ সালে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রথমনাথ রায়। কয়েক মাস আগে তিনি প্রয়াত হওয়ায় ওই আসনে উপ নির্বাচন হচ্ছে। ২৫ নভেম্বর এই নির্বাচন হবে। কংগ্রেস ও বাম জোট অনেক আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনে নেমে পড়ে। এই জোটের প্রার্থী হয়েছেন প্রমথবাবুর মেয়ে ধীতশ্রী রায়। বাবার হয়ে অনেকবার নির্বাচনে ছায়াসঙ্গী হয়ে কাজ করলেও এবারে সরাসরি নির্বাচনী ময়দানে নেমে ভোট প্রার্থনা করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন কংগ্রেস প্রার্থী। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস অনেক পরে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করায় রাজনৈতিক মহলে একটা ধোঁয়াশা ছিল। কংগ্রেস প্রার্থীর ক্ষেত্রে সহানুভূতির ভোট ব্যাংক একটা রয়েছে। তাই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিষয়ে এবারে একটু বেশি সতর্ক ছিল। সব দলেরই স্বচ্ছভাবমূর্তির প্রার্থীরা উপনির্বাচনে লড়ছেন। ফলে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের লড়াইটা এবারে সব দলের কাছেই শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপনির্বাচনের জন্য কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে অনেক আগেই হাত লাগিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনই তারা ময়দানে নামল। এদিন সকালে কালিয়াগঞ্জ শহরের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে নাটমন্দির মাঠে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেন। এখান থেকে মিছিল বের হয়ে হাসপাতাল রোড, বিবেকানন্দ মোড়, এনএস রোড, সুকান্ত মোড় হয়ে বয়রা কালী মন্দির রোড হয়ে ডাকবাংলো হয়ে নাটমন্দিরেই মিছিল শেষ হয়। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন দেব সিংহ বয়রা কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে রায়গঞ্জে কর্ণজোড়ায় আসেন।
অপরদিকে কর্ণজোড়া কালীবাড়ি এলাকায় প্রায় হাজারখানেক নেতা কর্মী সমর্থক জমায়েত হয়ে সেখান থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবনের দিকে বিজেপি’র শোভাযাত্রা বের হয়। হুডখোলা গাড়িতে বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের সঙ্গে রাহুল সিনহা, রথীন্দ্র নাথ বসু সহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সামনে মহিলাদের মিছিল ছিল। ঢাক বাজিয়ে মিছিলটি এগিয়ে যায়। প্রশাসনিক ভবনে বিজেপি প্রার্থী যখন প্রবেশ করেন তখন মহিলারা শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনিতে এলাকা মুখরিত করে তোলেন। সবমিলে নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে প্রধান তিন প্রতিপক্ষই কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে আরও শান দিচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে এত মানুষের সাড়া আমরা পাইনি। এবারে কালিয়াগঞ্জের মানুষ দলের প্রার্থীকে জেতাতে এদিনের মিছিলে পা মিলিয়ে ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার বলেন, নির্বাচনটাকে মানুষ উৎসবের আনন্দে উপভোগ করেন। তাই সবার মিছিলেই মানুষ যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমি কাউকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেখছি না।