ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, রাস উপলক্ষে মদনমোহন মন্দিরকে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। রং করা, মঞ্চ বাঁধা সহ সমস্ত কাজ আমরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ করে ফেলব। আমরা জানতে পেরেছি, মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে এসে পুজো দেবেন। তারও প্রস্তুতি চলছে।
কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের সামনের মাঠে ডানদিকে রাস উৎসবের জন্য রাসমঞ্চ বানানোর কাজ চলছে। রাসচক্রের খুঁটি আগেই পোঁতা হয়েছে। সেখানেই রাসচক্র ঘোরানোর জন্য পুণ্যার্থীরা আসবেন। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মদনমোহন মন্দিরে মদনমোহনের বিগ্রহের পাশাপাশি রয়েছে আনন্দময়ীর কালীর মূর্তি। আরেক পাশে আছে তারা মা ও মা ভবানীর বিগ্রহ। এই সমস্ত দেব দেবীরাই এখানে নিত্য পূজিত হন। বিশেষ বিশেষ তিথিতে এঁদের বিশেষ পুজোও হয়। সারা বছরই এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। কিন্তু রাস উৎসব উপলক্ষে এখানে ভক্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। কোচবিহারের মহারাজাদের আমলে শুরু হওয়া এই রাস উৎসব পুরনো রীতি নিয়ম মেনেই হয়ে আসছে।
রাস উপলক্ষে মেলামাঠে ১৫ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। সেই অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন কোচবিহারের স্থানীয় লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে তেমনি নদীয়া, বহরমপুর থেকে কীর্তনের দল, কলকাতার যাত্রা দল আসবে। এছাড়াও বাউল, লোকনৃত্য, রবীন্দ্রনৃত্যের অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে ইতিমধ্যেই সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে। বুধবার মন্দিরে গিয়ে দিখা যায়, সামনের মাঠে উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। চারদিকে বাঁশ বেঁধে মঞ্চ গড়া হচ্ছে। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর এখানে মোট ১৩টি ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এবারে ২০টিও বেশি ক্যামেরা লাগানো হবে। মদনমোহন মন্দিরের কর্মীরাও চরম ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন। রাস উৎসবের দিনগুলিতে যাতে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, কোনও আয়োজনের যাতে ত্রুটি না থাকে সেই দিকে নজর রেখে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
অপরদিকে রাসমেলার মাঠেও জোরকদমে স্টল, মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। রাসমেলার মাঠের ধার দিয়ে বড় বড় স্টল তৈরি করার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি মেলার মাঠে যেসব দোকানগুলি বসবে সেগুলিও গড়ে তোলা হচ্ছে। মাঠের মধ্যে কোন কোন জায়গায় কীভাবে স্টল বানানো হবে তা আগেই চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র মাঠই নয়, রাসমেলা মাঠের বাইরের দিকে থাকা নিকাশি নালাগুলিও পরিষ্কার করা হয়েছে। গোটা এলাকায় এখন সাজ সাজ রব উঠেছে।