যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ব্রিটেনের অন্যান্য শাসকদের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে সোমবারের অনুষ্ঠান? এবিষয়ে ডারবান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ইতিহাসের অধ্যাপক ফিলিপ উইলিয়ামসনের বক্তব্য, সোমবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষযাত্রায় পুরনো ও নতুন প্রথার মেলবন্ধন দেখা যাবে। অবশ্য, রাজপরিবারের অন্যান্য শেষকৃত্যের থেকে খুব বেশি ব্যতিক্রম চোখে পড়বে না।
এপ্রসঙ্গে তিনি জানালেন, অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ব্রিটেনের রাজা বা রানিদের মৃত্যুর পর উইনসর ক্যাসেলেই সমাধিস্থ করা হতো। তবে, এর প্রথম অন্যথা হয় রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর। ১৯০১ সালে প্রয়াত হন তিনি। দীর্ঘ ৬৩ বছর রাজত্ব করেছিলেন ভিক্টোরিয়া। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রকে আরও বেশি করে তুলেছিলেন জনকল্যাণমুখী। তাঁর দীর্ঘ শাসনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফ্রগমোরে প্রিন্স অ্যালবার্টের সমাধির পাশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। তিনিই প্রথম ব্রিটিশ শাসক, যাঁর মৃত্যুর পর চার্চ অব ইংল্যান্ড বিশেষ প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের সমস্ত গির্জাকে। ১৯১০ সালে প্রয়াত হন রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড। সেবারও জনসাধারণের ভিড় উপচে পড়েছিল প্রয়াত রাজাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। ১৯৩৬ সালে রাজা পঞ্চম জর্জের মৃত্যুর পর তাঁর শেষযাত্রার ধারাবিবরণী রেডিওতে সম্প্রচার করা হয়। দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের প্রতি জনমানসে আলাদা রকম শ্রদ্ধা ছিল। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনিই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে প্রয়াত হন ষষ্ঠ জর্জ।
এদিকে, ব্রিটেনের বহুত্ববাদী চিন্তাধারা ও ধর্মবিশ্বাসকে রক্ষা করার জন্য ‘অতিরিক্ত দায়িত্ব’ পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস। শুক্রবার বাকিংহাম প্যালেসের বো রুমে বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এই আশ্বাস দেন। চার্লস ব্রিটেনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর জোর দেন। এদিন হিন্দু, শিখ, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাজার সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়াও ছিলেন ক্যাথলিক চার্চ, গ্রিক ওর্থডক্স চার্চ, চার্চ অব স্কটল্যান্ড ও জরাথ্রুস্টবাদীদের প্রতিনিধিরাও। ৩০ জন ধর্মীয় নেতাদের সামনে রাজা বলেন, ‘আমি মনে করি, ব্রিটেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্প্রদায়।’ রাজার এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট এদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।