যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এলিজাবেথ। তাঁর মরদেহ মঙ্গলবার লন্ডনে আনা হয়। বাকিংহাম প্যালেস ঘুরে রানির মরদেহ এখন রাখা হয়েছে ওয়েস্টমিনস্টার হলে। প্রাচীন রাজকীয় রীতিনীতি মেনে হলের মাঝে একটি পোডিয়ামের উপর রানির কফিন রাখা হয়েছে। এই পোডিয়ামটিকে ‘ক্যাটাফাল্ক’ বলে। এখানেই এলিজাবেথকে শেষশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবারও রানিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উপচে পড়েছিল ভিড়। হাজার হাজার মানুষ লাইন দিয়ে ঢুকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে শেষশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রধানকে। বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় হলের গেট। সেই সময় এত ভিড় হয় যে, প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এপ্রসঙ্গে ব্রিটেনের ডিজিটাল, মিডিয়া ও স্পোর্টস ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য, যাতে কোনও অবস্থাতেই ১৬ কিলোমিটারের বেশি লাইন না পড়ে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার রানির মরদেহ লন্ডনে আনার পর সারা রাত বাকিংহাম প্যালেসে রাখা হয়। তারপর বুধবার দুপুরে শোকযাত্রা করে ঘোড়ায় টানা গাড়িতে এলিজাবেথের কফিন পৌঁছয় ওয়েস্টমিনস্টার হলে। ওই শোকযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। এছাড়াও ছিলেন রানির মেয়ে অ্যান এবং দুই ছেলে অ্যান্ড্রু ও এডওয়ার্ড। এই শোকযাত্রা দেখে মা ডায়ানার শেষযাত্রার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
সোমবার এলিজাবেথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ওইদিন সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে গোটা ব্রিটেন জুড়ে ২ মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। তারপর হবে জাতীয় সঙ্গীত। এরপর ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে রানি মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা শুরু হবে। দুপুর ১টায় পৌঁছবে ওয়েলিংটন আর্চে। রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এই যাত্রায় থাকবে কমনওয়েলথের সশস্ত্রবাহিনী। তারপর হাইড পার্কে দেওয়া হবে গান স্যালুট। তারপর শোকযাত্রা রওনা দেবে উইনসরের উদ্দেশে। সবশেষে বিকেল ৪টের সময় প্রিন্স ফিলিপের সমাধির পাশেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সমাধিস্থ করা হবে। মৃত্যুর পর এভাবেই ফিলিপ ও এলিজাবেথ ফের মিলিত হবেন।