প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
মাসখানেক আগে একটি নির্বাচনী বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে রিপাবলিকান শিবির। সেখানে ট্রাম্পের অন্যতম পরার্মশদাতা কিম্বারলি গালিফয়েল বলেন, ‘আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমরা প্রচারের সময়েও ইন্দো-আমেরিকানদের থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্দো-আমেরিকান ভোটার প্রায় ১৬ লক্ষ। এই ভারতীয়দের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির প্রভাব সম্পর্কেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ট্রাম্প। তাই তাঁর বিভিন্ন সময়ের প্রচারে এসেছে নমো প্রসঙ্গ। ভারতের সঙ্গে মধুর সম্পর্কের কথা।
রিপাবলিকান শিবির এই ভোটের জন্য ঝাঁপালেও ব্যালট বাক্সে তার ছাপ পড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি ফরেন প্রেস সেন্টারস আয়োজিত ভার্চুয়াল রিপোর্টিং ট্যুরের এক ওয়েবিনারে অধ্যাপক মার্ক রোজেল জানান, ৬০-৭০’র দশকে এশিয়ান-আমেরিকানদের বড় অংশই ছিল রিপাবলিকানদের পক্ষে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে ছবিটা। এখন এই অংশে ডেমোক্র্যাটদের পাল্লা ভারী। এশিয়ান-আমেরিকানদের পাশাপাশি লাতিন আমেরিকানদের অধিকাংশ ভোট বিডেনের ঝুলিতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেও জানান তিনি।
এশিয়ান-আমেরিকান ভোট পাওয়ার দৌড়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই এগিয়ে রেখেছেন বিডেনকে। তারপরও প্রচারে বিন্দুমাত্র খামতি রাখতে নারাজ ডেমোক্র্যাট শিবির। এক্ষেত্রে তাঁদের তুরুপের তাস ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। তাঁকে সামনে রেখেই ভারতীয়দের কাছে টানার কৌশল নিয়েছে ক্যাম্প বিডেন। বিডেন-হ্যারিস জুটিকে ভোট দেওয়ার বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার ১৪টি ভারতীয় ভাষায় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করা হয়েছে। দেশীয় ঘরানায় তৈরি এই ক্যাম্পেন ভারতীয়দের মন ছুঁয়ে যাবে বলেই আশা ডেমোক্র্যাট শিবিরের।
ডেমোক্র্যাটদের এই তৎপরতার মধ্যেই ট্রাম্পের চিন্তা বাড়িয়েছে আর্লি ভোটিং। অধ্যাপক মার্ক রোজেলের মতে, ভোটের এই পর্বে ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে পারেন বিডেন। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের পাখির চোখ নির্বাচনের দিন। ৩ নভেম্বর। কারণ, এই দিনে ভোটবাক্সে আছড়ে পড়তে পারে ট্রাম্প সমর্থকদের ঢেউ। যা বদলে দিতে পারে যাবতীয় অঙ্ক।