আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
মঙ্গলবারই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিবাজিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক আর রোশন বেগ। এদিন স্পিকারের অফিসে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘কর্ণাটক বিধানসভা থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছি।’ পদত্যাগের পর তিনিও মুম্বইয়ে যাবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে দেন তিনি। বলেন, ‘আমি মুম্বই বা দিল্লি যাচ্ছি না। রাজ্যের হজ কমিটির সভাপতি হিসেবে হজ যাত্রীদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে আমি বিমানবন্দরে যাচ্ছি।’ রোশন বেগের পদত্যাগপত্র প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, ‘বেগের চিঠি আজই জমা পড়েছে। আমি এখনও পর্যন্ত তা খুঁটিয়ে দেখিনি।’ স্পিকার জানিয়েছেন, ১৩ জন বিদ্রোহী বিধায়কের পদত্যাগপত্র খারিজ করার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়া। এদিকে, ১৩ জন বিধায়ক এবং একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যপাল বজুভাই বালা। এর জবাবে তিনি রাজ্যপালকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে পদত্যাগকারী কোনও বিধায়কই তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। যে আটজন বিধায়ক নিয়ম লঙ্ঘন করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদেরকে মুখোমুখি হাজির হওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, স্পিকারের অফিসে চারজন বিধায়কের পদ বাতিলের জন্য একটি আবেদন জমা পড়েছে। এই প্রসঙ্গে রমেশ কুমার জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
রাজ্যের উদ্ভূত রাজনৈতিক সঙ্কট প্রসঙ্গে স্পিকার কে আর রমেশ কুমার জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি পদক্ষেপই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য যাবতীয় সিদ্ধান্ত আইন মেনেই গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে বরিষ্ঠ আইনপ্রণয়নকারীদের সঙ্গেও আলোচনা করে দেখা হবে যে বিধায়কদের পদত্যাগপত্রগুলি গ্রহণ করা হবে নাকি অন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কুমার বলেন, ‘আমাকে অত্যন্ত সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি যে পদক্ষেপই নেব, তা ইতিহাস হয়ে যাবে। সুতরাং আমার পক্ষে কোনও ভুল করা সম্ভব নয়। কারণ, পরবর্তী প্রজন্ম আমাকে অপরাধী হিসেবে দেখুক, তা আমি কখনই চাই না।’ তাঁর সঙ্গে দেখা না করলেও বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না, তা স্পিকারের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি সমস্ত কিছু চিঠিপত্রের মাধ্যমেই হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমার তো আর কোনও প্রয়োজন নেই।’