পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
পুরস্কার পেয়ে ঘরের ছেলে মঙ্গলবার পা রাখলেন মছলন্দপুরের বাড়িতে। তাঁকে দেখে উচ্ছ্বাস এলাকায়। ঢাকিরা সেভাবে সম্মান পান না। তাই সম্মানপ্রাপ্তির পর খানিকটা আপ্লুত গোকুলচন্দ্র দাস নিজেও। বললেন, ‘রাজ্যে ঢাকিদের জন্য একাডেমি গড়তে চাই। রাজ্য সরকারের কাছে জমির জন্য আবেদন করব।’ এই ঘোষণা শুনে অন্যান্য ঢাকিদের মধ্যে খুশি ছড়িয়ে পড়ে। গোকুলবাবুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে বহু নতুন ছেলে-মেয়ে ঢাক বাজানোর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পাবেন। পাশাপাশি ঢাকিদের কল্যাণেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা জাগছে সবার মনে।
পদ্মশ্রী প্রাপক হিসেবে নাম ঘোষণার সময় দিল্লিতেই ছিলেন গোকুলবাবু। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাক বাজানোর জন্য জানুয়ারি মাসের বেশিরভাগ সময় রাজধানীতেই থাকছিলেন। সেখানে কাজের ফাঁকেই শুনেছেন কেন্দ্রীয় ঘোষণা। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে মছলন্দপুরে ফেরেন। দুপুর একটা নাগাদ স্টেশনে নামতেই ঢাকের তালে তাঁকে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করেছিল এলাকাবাসী। এরপর মিছিল করে তাঁকে স্টেশন থেকে বিধানপল্লির বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। বরণ করতে এসেছিলেন শিষ্যরা। ছিলেন অংসখ্য শুভানুধ্যায়ী। এলাকার কয়েকটি ক্লাবের সদস্যরাও উপস্থিত হয়েছিলেন। আর স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করে তো ছিলেনই। গোকুলবাবু এদিন বলেছেন, ‘পদ্মশ্রী পাব কোনওদিন আশা করিনি। ভারত সরকার প্রাচীন এই শিল্পকে সম্মান জানিয়ে আমায় খেতাব দিয়েছে, আমি আপ্লুত। ঢাক বাঁচিয়ে রাখতে আমি ঢাকিদের জন্য একাডেমি গড়তে চাই। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন সংস্কৃতি অনুযায়ী বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। আমাদের রাজ্যে তা হল ঢাক। পুজো থেকে শুরু করে বাঙালির অধিকাংশ অনুষ্ঠানে ঢাকবাদ্য অপরিহার্য। তাই বাংলাতেই একাডেমি গড়তে চাই। আমি প্রথমে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতাও প্রার্থনা করব।’ নিজস্ব চিত্র