আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীতে যোগ দেওয়ার পরই বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেকচার সিরিজ শুরু করেন। ওই সিরিজের অধিকাংশ বক্তৃতাই রাজনীতি বিষয়ক। ইতিমধ্যে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়, বিবেক দেবরায়ের মতো নেতারা এই লেকচারে অংশ নিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ৮ জানুয়ারি সিএএর মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও লেকচারের আয়োজন করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেখানে বক্তব্য পেশ করেছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। আয়োজকদের রাতভর ঘেরাও করে রেখেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু এত কিছুর পরও এমন একটি ‘বিতর্কিত’ বিষয়ে লেকচারের আয়োজন করে বিশ্বভারতী।
বিতর্কিত ওই লেকচার সিরিজের নিন্দা করে প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘এই করোনা বিপর্যয়কেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। বিশ্বভারতীতে রাজনীতি একেবারেই ছিল না। গুরুদেব এটা পছন্দ করতেন না। কিন্তু বর্তমান উপাচার্যের জমানায় বিশ্বভারতী আপাদমস্তক রাজনীতিতে ডুবে গিয়েছে। চলতি আবহে এমন রাজনৈতিক আলোচনা মোটেই কাম্য নয়।’ বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও এর তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কি রাজনীতি করার জায়গা? উপাচার্য কোন অধিকারে এসব করছেন? মাঝে মাঝে ওঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ হয়। করোনা আবহে এই ধরনের কাজ ওঁর মতো পাগলের পক্ষেই সম্ভব।’
সোশ্যাল মিডিয়াতেও উপাচার্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন নেট নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে লেকচার সিরিজ বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে এরপর ওই লেকচার সিরিজের ঘোষণা ও বাতিল হওয়ার দু’টি বিজ্ঞপ্তিই ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে জানতে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। এমনকী, মেসেজেরও উত্তর দেননি।