আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
ওদিকে, করোনা সামাল দিতে লেজেগোবরে মোদি সরকার নিজেদের অস্বস্তি কাটাতে এবার ইতিবাচক প্রচারের মাধ্যমে আম আদমির দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে। যদিও চোখে আঙুল দিয়ে সত্য সামনে আনতে পাল্টা সক্রিয় বিরোধীরাও। সরকারের পক্ষ থেকে সচিব পর্যায়ের এক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দেশবিদেশে ভারতের যে বদনাম হচ্ছে, তার পাল্টা প্রচার করতে হবে। তুলে ধরতে হবে ইতিবাচক উদ্যোগ। সেই মতো পিএম কেয়ার্সের পয়সায় অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে কত অল্পদিনে ভারত কত বেশি লোককে ফ্রি ভ্যাকসিন দিচ্ছে, তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হচ্ছে। এমনকী ভোল বদলানো ভাইরাসের সঙ্গে ভারতের নাম যুক্ত হতেই ফোঁস করে উঠেছে মোদি সরকার। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসাররা অনায়াসে ইউকে ভেরিয়েন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ভেরিয়েন্টের তকমা দিচ্ছেন। অথচ করোনা ভাইরাসের একটি ভেরিয়েন্টের (B.1.617) সঙ্গে ভারতের নাম জড়াতেই বিবৃতি জারি করে বুধবার প্রতিবাদ করেছে কেন্দ্র।
কিন্তু এভাবে বালিতে মাথা গুঁজলেই কি বাস্তব বদলে যাবে? তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। ট্যুইটারে সরব হয়েছেন ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও। প্রতিনিয়ত দেশে যখন দুর্দশা আর বেদনার খবর সামনে আসছে, তখন ইতিবাচক প্রচারের নামে মিথ্যে প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে। ইতিবাচক হতে গিয়ে তো আর সরকারের অন্ধ প্রচারক হতে পারি না। মন্তব্য করেছেন তিনি।
করোনা কালে রাজ্যগুলির আর্থিক ক্ষতি বাড়লেও মোদি সরকার মুখে কুলুপ দেওয়ায় দপ্তরের দায়িত্ব নিয়েই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিমর্লা সীতারামনকে বুধবার চিঠি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কেন্দ্রের হিসেব মতোই ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিএসটি আদায়ে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা কম পড়তে চলেছে। এরপর যুক্ত হবে করোনার কুপ্রভাব। ফলে রাজ্যের ক্ষতি আরও বাড়বে। তাই অবিলম্বে অনলাইন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকুন। সংবিধান মোতাবেক প্রতি চার মাস অন্তর যেখানে কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার কথা, সেখানে কেন তা লঙ্ঘন হচ্ছে? অক্টোবর মাসের পর কেন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে আর্থিক পরিস্থিতি আলোচনা হল না? নির্মলার কাছে জবাব চেয়েছেন অমিত মিত্র।