আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
বিধানসভা ভোটের চতুর্থ দফায় উত্তপ্ত হয় শীতলকুচি। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের সামনে গুলি চালান সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা। তাতে চারজন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। গুলি কোমরের নীচে না চালিয়ে কেন বুক লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রথমে মাথাভাঙা থানা তদন্ত শুরু করে। পরে তদন্ত ভার হাতে পায় সিআইডি। কেন সেখানে লাঠিচার্জ বা কাঁদানে গ্যাসের সেল না ফাটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাসরি গুলি চালাল, তা জানতে চায় সিআইডি। একইসঙ্গে এও জানতে চায়, সেদিন ওই জওয়ানদের গুলি চালানোর নির্দেশ কে দিয়েছিল। তাই ওই দিন শীতলকুচির ওই বুথে থাকা সিআইএসএফ-এর অফিসার ও জওয়ানদের নোটিস পাঠিয়ে ডেকে পাঠায় সিআইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে এক শীর্ষ কর্তা অনুরোধ করেন, কোভিড পরিস্থিতিতে সরাসরি হাজিরা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। তাঁদের কেউ পরবর্তীতে কোভিডে আক্রান্ত হলে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তাই তাঁদের ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কিন্তু সিআইডি এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের সরাসরি হাজির হতে বলা হয়েছে। যদি তাঁরা না আসেন, তাহলে ফের নোটিস পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
মাথাভাঙা থানার আইসি’র কাছে এদিন জানতে চাওয়া হয়, ভোটের দিন শীতলকুচিতে ঠিক কী হয়েছিল। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন, গুলি চলার খবর শোনার পরই থানা থেকে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। তাঁরা গিয়ে দেখেন, সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারজন পড়ে রয়েছেন। উদ্ধার হয় গুলির খোল সহ অন্যান্য সামগ্রী। কুইক রেসপন্স টিমের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনসপেক্টরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা যাওয়ার পর কী দেখেছিলেন? সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন, সেখানে ওই টিম গিয়ে দেখে গোলমাল হচ্ছে। লোকজনকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয়। এরপর আচমকা গুলি চালিয়ে বসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হয়েছে।