আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
সরকারি অফিসে নিয়ম অনুযায়ী ডেপুটি সেক্রেটারি ও সমপদের আধিকারিকরা অফিসে যাতায়াতের জন্য গাড়ি পান। কিন্তু ওই পর্যায়ের আধিকারিকদের বাড়ি নির্ধারিত দূরত্বের বাইরে হলে তাঁদের গাড়ি দেওয়া হয়নি। হাওড়া-শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত তাঁদের গাড়ি দেওয়া হয়। শহরতলির ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই আধিকারিকরা সমস্যায় পড়েছেন। গত বছর লকডাউনের সময় অনেক আধিকারিক দীর্ঘ সময় অফিস করতে পারেননি। যদিও তাঁদের প্রতিদিন অফিসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল। উপস্থিতি সংক্রান্ত গত বছরের নির্দেশিকাটি এবারও কার্যকর করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় ডেপুটি সেক্রেটারি ও সমপদের আধিকারিকদের প্রতিদিন অফিস করার কথা বলা হয়েছিল।
গত বছর মার্চে সম্পূর্ণ লকডাউনের সময় বিভিন্ন অফিস জরুরি কাজে নিযুক্ত সাধারণ কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল। এবার সম্পূর্ণ লকডাউন হয়নি। শহরতলির ট্রেন বন্ধ হলেও বাস চলছে। তবে সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ ভিড় বাসে অফিসে যাতায়াত করতে আতঙ্ক বোধ করছেন। এই অবস্থায় কৃষিদপ্তরের ডিরেক্টরেট অফিস ২০ কিমির মধ্যে যে কর্মীরা থাকেন প্রয়োজনের ভিত্তিতে তাঁদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা চালু করেছে। আরও কিছু অফিসেও এই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। অনেক অফিসের কিছু কর্মী নিজের গাড়ি বা টু-হুইলারে আসা-আওয়া করছেন। জেশপ বিল্ডিংয়ে স্বল্প সঞ্চয় ডিরেক্টরেট অফিসের যেসব কর্মী জেলা থেকে আসেন তাঁদের অনেককে ওই অফিসের সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসে গিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে এই সুযোগ আছে সেখানে এই ব্যবস্থা চালু করার দাবি উঠেছে কর্মী মহল থেকেই।
জরুরি কাজকর্ম করার জন্য সরকারি অফিসে কিছু সাধারণ কর্মীর আসা খুব জরুরি। বিশেষ করে যে কর্মীরা অ্যাকাউন্টসের কাজ করেন। কর্মীদের বেতন সহ বিভিন্ন খরচের বিল তৈরি করে অনলাইনে ট্রেজারি বা পে অ্যাকাউন্টস অফিসে পাঠানোর জন্য অফিসে আসতেই হবে তাঁদের। গত বছর মার্চের শেষাশেষি থেকে জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন চলার সময় সরকারি অফিসে এই ধরনের জরুরি কাজে নিযুক্ত কর্মীদের মাঝে মাঝে আসা-যাওয়া করতেই হয়েছে।