মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
পেশ করার জন্য পাঠানো বা বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দিতে রাজ্যপাল অহেতুক দেরি করছেন বলে সরকারপক্ষের তরফে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে। সে ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সুর চড়িয়ে রাজ্যপাল এদিন বলেন, এটা একেবারে ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি কখনওই এই ধরনের কাজে দেরি করি না। ৩০ বছর আগে আমি নিজে কেন্দ্রের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলাম। তাই এসবের গুরুত্ব আমি জানি। গণপিটুনি বিলটি বেনিয়ম করে পাশ করানো হয়েছে বলে গোটা বিরোধী শিবির আমার কাছে অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে আমি খোঁজ করে জানতে পারি, এই বিষয়ে যে বিলটি সদনে পেশের জন্য আমি সই করে পাঠিয়েছিলাম এবং শেষ পর্যন্ত যেটি পাশ করানো হয়েছে, তা ভিন্ন। কেন এই ধরনের মারাত্মক ত্রুটি হয়েছে, তা জানতে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাই। সরকারের তরফে এ ব্যাপারে একটি ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করা হলেও কেন এবং কার জন্য তা হল, তা সঠিকভাবে জানানো হয়নি। যেহেতু বিলটির সঙ্গে রাজভবনের অফিস জড়িয়ে রয়েছে, তাই আমি বিধানসভার সংশ্লিষ্ট দিনের অধিবেশনের নথিপত্র তথা প্রসিডিংস চেয়ে পাঠাই। কিন্তু বার কয়েক তাগাদা দেওয়ার পর বিধানসভা থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রসিডিংস এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। আমি আমার অফিসকে লিখিত নির্দেশ দিয়েছি, যেদিন চূড়ান্ত প্রসিডিংস আসবে, সেদিনই যেন সেই ফাইল আমার কাছে পাঠানো হয়। এরপর কী করে আমার বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ আনা হচ্ছে?
বিষয়ে আপত্তি না তুললেও বিলটির ত্রুটির দিকটি তুলে ধরে সেই সময় সদনেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। ওই দুই শিবিরের প্রধান নেতা আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যকে কার্যত লুফে নিয়ে বলেন, আমরা গোড়া থেকেই এই ত্রুটির কথা বলছিলাম। এখন রাজ্যপাল যা বললেন, তাতে বেআইনিভাবে বিলটি পাশ করানো হয়েছে। সরকার যা করেছে, তাকে সাধারণ মানুষ প্রতারণা বলেই মনে করে। সরকারের তরফে মন্ত্রী চন্দ্রিমা অবশ্য রাজ্যপাল বা বিরোধীদের বক্তব্য খণ্ডন করে বলেন, বিলটি নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তা তখনই মিটিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এখন অহেতুক এ নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবালয় সূত্রে বলা হয়েছে, একমাত্র পাশ হওয়া বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো তাদের কাজ। এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। পেশ করার জন্য পাঠানো বিলটি নিয়ে কোনও বেনিয়ম ছিল না বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাদের জানিয়েছে।