মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, এবিষয়ে উপগ্রহের মাধ্যমে গোটা রাজ্যের উপর নজরদারির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সর্বক্ষণ পাওয়া চিত্রের উপর তাঁদের বিজ্ঞানীরা নজরদারি রাখবেন। কোথাও কোনও নাড়া পোড়ানোর আগুন জ্বালানোর চিত্র ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গাটিকে চিহ্নিত করা হবে। তারপর স্থানীয় জেলা এবং ব্লক প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে। কিন্তু কেন এই পরিকল্পনা? কল্যাণবাবু বলেন, দিল্লি সহ সংলগ্ন এলাকার মতো রাজ্যেও জেলায় জেলায় এই সময় ফসলের গোড়া পোড়ানোর রীতি চলে আসছে। গ্রামের প্রত্যেক মাঠ ঘুরে নজরদারি চালানোর মতো পরিকাঠামো পর্ষদ বা কারও নেই। এই অবস্থায় উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে নজরদারি করা খুব সহজ। সেই সঙ্গে অনায়াসে সেই কাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নেওয়া সম্ভব। কারণ কলকাতা সহ শহরতলির দূষণ কমাতে এই নাড়া পোড়ানো বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি বলই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তবে এই নজরদারি চালানো এত সহজ নয়।
উপগ্রহ-চিত্র কীভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে সেবিষয়ে সঠিক জ্ঞান পর্ষদের কারও নেই। তাই এবিষয়ে আইআইটি-দিল্লির সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। কল্যাণবাবু জানান, তাঁদের দু’জন বিজ্ঞানী আইআইটি-দিল্লিতে গিয়ে এবিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। এবিষয়ে ইতিমধ্যে পর্ষদ এবং আইআইটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করার বিষয়ে একটা বিশেষ সফ্টওয়্যার প্রয়োজন। সেবিষয়ে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ নেওয়া হবে বলেও পর্ষদ জানিয়েছে। এদিকে এই নজরদারির কাজের জন্য একটা বিশেষ কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে। সেখানেই ওই বিজ্ঞানীরা বসবেন বলে পর্ষদ সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে বায়ু দূষণ নজরদারিতে আরও পরিমাপক যন্ত্র বসানো হচ্ছে বলে পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমার বলেন। অন্যদিকে, এই সমস্যাসহ কলকাতার বায়ুদূষণ রোধে এবার বিশ্বব্যাংকের সাহায্য নিতে চলেছে পর্ষদ। পরিবেশ ভবনে দু’দিনব্যাপী এক সেমিনার বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। সেখানেই পর্ষদ, দিল্লির বিশেষজ্ঞ সংস্থা সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা এদিন নিজেদের কাজসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন নিজেদের মধ্যে।