কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
বরুণ সেনগুপ্তকে আমি কখনও ‘স্যার’, আবার কখনও ‘বরুণদা’ বলে ডাকতাম। আমার ‘বর্তমান’-এ যোগদান বা বরুণদার সঙ্গে আলাপ বেশ আকস্মিক। আমি চাকরি করতাম এলাহাবাদে। হঠাৎ পিতৃবিয়োগ হওয়ায় সেই চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসতে হয়। সেই সময় ‘বর্তমান’ কাগজ বের করার তোড়জোড় চলছে। আর আমিও হন্যে হয়ে কাজ খুঁজছি। ‘বর্তমান’-এ প্রথম প্রিন্টিং ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন তাপসবাবু। উনিই হাতে ধরে আমাকে ‘বর্তমান’-এর পুরনো অফিস অর্থাৎ এ জে সি বোস রোডের দপ্তরে নিয়ে যান। বরুণদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আমিও সেখানে কাজে যোগ দিই। তখনও কিন্তু কাগজ প্রকাশিত হয়নি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কাগজ প্রকাশের ঠিক এক সপ্তাহ আগে প্রিন্টিং ম্যানেজার তাপসবাবু ইস্তফা দিলেন। স্বভাবতই বরুণদাও প্রচণ্ড আতান্তরে পড়লেন। চিন্তিত বরুণদা ওঁর চেম্বারে ডেকে পাঠালেন। বললেন, ‘কাগজ কীভাবে বেরবে?’ বলেছিলাম, ‘আপনার আশীর্বাদের হাত মাথার উপর থাকলে যেদিন কাগজ বেরনোর কথা, ঠিক সেদিনই কাগজ বেরবে।’
সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় ১৯৮৪ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্দিষ্ট দিনেই প্রকাশিত হল নতুন দৈনিক— ‘বর্তমান’। তিনি যত বড় সাংবাদিক-সম্পাদক, ঠিক তত বড় মাপের মানুষ। বরুণদা আমার কাছে যুগপুরুষ।