গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহল ও পুলিসের একাংশের দাবি, একাধিক কারণে টোটো দুর্ঘটনা ও মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটছে। তারমধ্যে ট্রাক চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো অন্যতম কারণ। একইসঙ্গে দিল্লি রোড বা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মতো রাস্তায় দূরপাল্লার লরি চলাচল করে। সেই সব রাস্তায় টোটো চলাচল করাও বিপজ্জনক। সমস্যার কারণ যাই হোক, হুগলির একাধিক রাস্তা ও এলাকা যে ক্রমেই যাত্রীদের জন্য মরণফাঁদ হয়ে উঠছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার।
বুধবার বাঙ্গিহাটির জলট্যাঙ্ক মোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরে দীর্ঘসময় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে র্যাফ পর্যন্ত নামাতে হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রাফিক পোস্ট তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পাঁচমাসে পূরণ করা হয়নি। এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন বাসিন্দা নজরুল শেখ বলেন, বাঙ্গিহাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। পুলিসও তা জানে। কালীপুজোর সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তখনই আমরা দাবি করেছিলাম, ট্রাফিক পোস্ট করতে হবে। অন্তত ট্রাফিক পুলিস রাখার ব্যবস্থা করা যেত। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেসব কিছু করেনি পুলিস। আর সেই জন্যই আরও তিনটে তাজা প্রাণ অকালে চলে গেল। আরেক বাসিন্দা রিতাব হোসেন মল্লিক বলেন, রাস্তার ধার ধরে বেআইনি পার্কিং চলছে। মাঝেমাঝে পুলিস তৎপর হয়ে ওঠে। আবার তাদের তৎপরতা হারিয়ে যায়। এদিন রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে একটি লরি দাঁড়িয়ে ছিল। টোটোতে লরির ধাক্কা লাগার পরে সেই লরিতে গিয়ে সেটি ধাক্কা খায়। তাতে দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। রাস্তার ধারে লরি না থাকলে চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়ার বিষয় থাকত না।
যদিও চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিসের দাবি, এদিনের ঘটনা লরি চালকের ত্রুটির জন্য হয়েছে। বেআইনি পার্কিং থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনার যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। ট্রাফিক পোস্টের মতো স্থায়ী পদক্ষেপের জন্য অনেকগুলি আইনি স্তর পার করতে হয়।
সমস্ত দুর্ঘটনার পরেই পুলিসের আত্মপক্ষ সমর্থন শুরু হয়ে যায়। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু বারবার হুগলিতে টোটো দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনা জেলার মানুষকে চিন্তায় ফেলেছে।