সোমবার রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট। সাত লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হতে চলেছে। শনিবার প্রচারের শেষ দিন কেন্দ্রগুলিতে ব্যস্ত থাকল সবকটি রাজনৈতিক দল। কোথাও হুড খোলা জিপে মিছিল করলেন প্রার্থীরা। কোথাও বাইকে বসে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে ভোট চাইলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।
রাত পোহালেই উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে নির্বাচন। এই কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ১৮৬৩। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য এই লোকসভা কেন্দ্রে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আর ঠিক হয়েছে, প্রতি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করবে।
মানুষের আশীর্বাদ পেলে সংসদে গিয়ে বজবজ, মহেশতলা, বিষ্ণুপুর ও ফলতাজুড়ে অসংখ্য বন্ধ হওয়া কারখানা খোলা ও কয়েক হাজার কর্মহীন শ্রমিকের জন্য লড়াই চালাবেন। পুনর্গঠনে উদ্যোগ নেবেন।
লিভ ইন পার্টনার অভিনয় প্রশিক্ষক সঞ্জয় দাসের মোবাইলের লকটা সেদিন কিছুক্ষণ খোলা ছিল। ফোনটি ঘেঁটে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা দাস। আর তাতেই প্রায় বজ্রাহত হওয়ার দশা তাঁর। প্রশিক্ষকের যাবতীয় কুকীর্তি ভেসে ওঠে চোখের সামনে।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে রাস্তার উপর উল্টে পড়ে যাত্রী বোঝাই একটি বাস। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল সেটি। শনিবার উত্তর দিনাজপুরে চাকুলিয়া থানার কানকি পুলিস ফাঁড়ি এলাকার মনোড়ার ডাঙ্গি এলাকায় ঘটেছে দুর্ঘটনাটি।
হাওড়ার হিন্দিভাষী এলাকায় বিজেপির জমি তুলনায় কিছুটা শক্ত, এমনটাই প্রচার ছিল এতদিন। এবার সেই ‘মিথ’ ভাঙতে চলেছে। স্রেফ রামের নামে আর চিঁড়ে ভিজছে না। বিশেষ করে শ্রমজীবী আর বিজেপির উপর ভরসা রাখতে পারছেন না।
তিনি মেয়র থাকাকালীন হাওড়া পুরসভায় প্রচুর চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। পরে জানা যায়, রাজ্যের অর্থদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই হয়েছিল সেই নিয়োগ। আজও সেই যন্ত্রণায় জর্জরিত হাওড়া পুরসভা।
ভোট ঘোষণার আগে থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বনগাঁ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের হর্তাকর্তারা মনে করেছিলেন, প্রচার তুঙ্গে উঠলে যাবতীয় ক্ষোভবিক্ষোভ স্তিমিত হয়ে যাবে। কিন্তু হয়েছে ঠিক উল্টো! কেউ কেউ সরাসরি নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ‘শিক্ষা’ দিতে।
গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জনসংযোগ বৃদ্ধিতে এবার নয়া উদ্যোগ নিল জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানকার বিধায়ক পরেশ রাম দাসের তত্ত্বাবধানে একটি ফোন নম্বর চালু হয়েছে। সেই নম্বরে মিসড কল দিলেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভোট বার্তা জানানো হবে সংশ্লিষ্ট কলারকে। কারা ফোন করছেন, সেই সংক্রান্ত একটি ডেটাবেসও তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। তারপর সেই নম্বর ধরে ধরে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলবেন দলীয় কর্মীরা। কারও কোনও অভাব অভিযোগ আছে কি না, বা কোনও পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে কি না ইত্যাদি জানবেন তাঁরা। শনিবার তৃণমূল সমর্থিত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠনের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলীয় প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। সেই সভাতেই এই নম্বরের কথা ঘোষণা করেন পরেশবাবু। এই নম্বর বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রচুর মিসড কল এসেছে বলেও জানা গিয়েছে। ফোন করলে জনগর্জনের একটি রিংটোন বাজছে। তারপর বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন সংক্রান্ত একটি বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এরপরই তৃণমূলের তরফে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি মেসেজ ঢুকছে। এদিকে, ওই সভায় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে দলের সমর্থক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাছে আবেদন জানানো হয়। আরও বলা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে নানা অভাব, অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী তৃতীয়বারের জন্য সংসদে যেতে পারলে সেসব নিয়ে সরব হবেন।
