উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি ও ক্ষতিপূরণের দেওয়ার বিষয়ে সমস্ত নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকা পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সাংসদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল লণ্ডভণ্ড করে দেয় হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, বসিরহাট,সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশকে। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ার পাশাপাশি ঘর চাপা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। কয়েক হাজার বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। এখনও হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ অংশ অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার একর ধান ও রবি শস্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিদের পথে বসার জোগাড় হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতা,মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা দুর্গত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ রবিবার থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও এলাকায় অভিনেত্রী-সংসদ সদস্যকে দেখতে পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের অনেক নেতাই বুধবারের প্রশাসনিক সভায় নুসরত আসতে পারেন ভেবেছিলেন। কিন্তু, এদিনও তাঁকে দেখতে না পেয়ে সাধারণ মানুষের মতো তৃণমূল কর্মীরা হতাশ হওয়ার পাশাপাশি ক্ষুব্ধও হয়েছেন। তৃণমূলের একাংশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেত্রী-এমপি বর্তমানে ভিন রাজ্যে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে টিপ্পনি কাটতে ছাড়ছে না বিরোধী দলগুলি। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, অনেক অভিনেত্রী রাজনীতিতে আসার পর মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। তাঁদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন। কিন্তু, বসিরহাটের সংসদ সদস্য এখনও নিজের অবস্থান ঠিক করতে পারেননি। তাই ভয়ঙ্কর বুলবুলের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত মানুষ হাহাকার করলেও তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করেননি। মানুষ অভিজ্ঞতা থেকে আগামী দিনে নিশ্চই সিদ্ধান্ত নেবেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস বলেন, বুলবুল হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, বসিরহাট সহ অন্যান্য ব্লকে ভয়ঙ্কর ক্ষতি করেছে। পাঁচ জনের মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলেছে। কেন মৃতরা মাটির ঝুপড়ি ঘরে ছিলেন, কেন তাঁদের আবাসন প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া হয়নি, কেন সঠিক চিকিৎসা পেলেন না— এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। মানুষের কাছে ত্রাণ নেই, পানীয় জল নেই, মাথার উপর ছাদ নেই। অথচ তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা হয় কাটমানি নিয়ে ব্যস্ত, না হয় অভিনয় জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। সংসদ সদস্যকে মানুষ বিপদের দিন থেকে এখনও পাশে পায়নি। মানুষকে যাঁরা বোকা ভাবেন, তাঁরা নিশ্চই এর যোগ্য জবাব পাবেন।