প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
সম্প্রতি রাজ্য সরকার ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী যোগ্যতায় স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে কর্মসাথী প্রকল্প চালু করেছে। ওই প্রকল্পে যেকোনও ধরনের উৎপাদন, উদ্যোগ, পরিষেবা এবং ব্যবসার জন্য সর্বোচ্চ দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। মোট প্রকল্প মূল্যের ১৫শতাংশ এবং সর্বাধিক ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার। ভর্তুকির পাশাপাশি ঋণ নেওয়ার তিন বছর পর্যন্ত সুদের উপর ৫০শতাংশ ছাড় আছে। আবেদনকারীর বয়স ১৮থেকে ৫০বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। একটি পরিবারে একজনই আবেদন করতে পারবেন। কর্মসাথী পোর্টালে যেমন আবেদন করা যাবে, তেমনই গ্রামীণ এলাকার জন্য বিডিও অফিস এবং পুরসভা এলাকার ক্ষেত্রে এসডিও অফিসে ফর্ম জমা করা যাবে। তাছাড়া সরাসরি জেলা শিল্পকেন্দ্রেও আবেদন জমা করা যেতে পারে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, www.wbmsme.gov.in ওয়েবসাইটে ফর্ম পাওয়া যাচ্ছে। প্রকল্পের খুঁটিনাটি জানা যাবে ওয়েবসাইট থেকে। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন বিডিও অফিস এবং এসডিও অফিসে অনেকেই আবেদন করেছেন। সেইসব আবেদনপত্র আগে পোর্টালে এন্ট্রি করা হবে। তারপর খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হবে। ফর্মের সঙ্গে সচিত্র পরিচয়পত্র, স্থায়ী বাসিন্দা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য কার্স্ট সার্টিফিকেট এবং লোনের স্কিম মেনশন করতে হবে।
এখনও পোর্টাল চালু হয়নি। তাই এই মুহূর্তে জেলাজুড়ে অফলাইনে বিডিও অফিস এবং এসডিও অফিসে কর্মসাথীর ফর্ম জমার লাইন পড়ে গিয়েছে। আগামী সোমবার জমা পড়া ফর্ম নিয়ে তমলুকে জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে ফের বৈঠক আছে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য সহজ শর্তে ঋণ এবং ভর্তুকির সুবিধা পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে। তাই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না অনেকেই।
রুজি রোজগারের টানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু যুবক কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকে। তাঁদের অনেকেই নিজের এলাকায় কাজের সুযোগ পেলে অন্য রাজ্যে কাজ ছেড়ে দিতে চান। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় ৪৫হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফিরে এসেছেন। তাঁদের অনেকেই ফের ভিনরাজ্যে রওনা দিয়েছেন। আবার একটা বড় অংশ জেলায় আছেন। তাঁদের অনেকেই কর্মসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। পাঁশকুড়ার রাধাবল্লভচক গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত গুছাইত বলেন, ফর্ম সংগ্রহ করেছি। বিডিও অফিসে জমা করব। ধান, গম ভাঙানো মেশিন কিনে স্বনির্ভর হতে চাই।