ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া পুরসভার অন্তর্গত নেতাজি আবাসনের ভিতরের ফাঁকা জায়গায় নতুন একটি বহুতল নির্মাণ শুরু হয়েছে। ওই বহুতল নির্মাণের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা প্রায় প্রতিদিন পুরসভা থেকে পানীয় জলের একাধিক ট্যাঙ্ক নিয়ে সেই পানীয় জলই নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। বুধবার নেতাজি আবাসনের নির্মীয়মাণ বহুতলে গিয়ে দেখা যায়, পুরসভার পানীয় জলের ৩টি ট্যাঙ্ক সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনটিতেই জল ভর্তি রয়েছে। একটি ট্যাঙ্কে পাম্প লাগিয়ে পাইপের মাধ্যমে নির্মাণকাজে জল ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, নির্মাণ কাজ শুরুর সময় থেকেই প্রায় প্রতিদিনই পুরসভার পানীয় জলের ট্যাঙ্কার থেকেই নির্মাণ কাজের জল ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিনই দিনের বিভিন্ন সময় সেই ট্যাঙ্ক খালি হলে পুরসভার গাড়ি গিয়ে অন্য জল ভর্তি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক সেখানে দিয়ে আসে বলে অভিযোগ। এবিষয়ে নির্মাণকাজে যুক্ত কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা কেউ নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে তাঁরা জানান, ওই জায়গায় জলের অন্য কোনও সংস্থান না থাকায় পুরসভার সরবরাহ করা জলই একমাত্র ভরসা। ওই জল ট্যাঙ্ক থেকে একাধিক ড্রামেও অনেকসময় ভর্তি করে রাখা হয়। তাছাড়া রয়েছে পাম্পের ব্যবস্থা। পাম্প চালিয়ে পাইপের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক থেকে জল নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে ওই ট্যাঙ্কের জল পানীয় নয় বলে দাবি নির্মাণ কাজে যুক্ত শ্রমিকদের।
নেতাজি আবাসনের বাসিন্দা বৃদ্ধ বরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, নেতাজি আবাসনে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় ৯২টি পরিবার রয়েছে। পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ করার পাইপ লাইন থেকেই ওই নির্মাণ কাজের জন্যও পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বহুতল নির্মাণে পানীয় জল ব্যবহার করা হলে আবাসনের পানীয় জলে সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বহুতল নির্মাণের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পিপিপি মডেলে ওই কাজ হচ্ছে। পুরসভার সঙ্গেই যৌথভাবেই কাজ চলছে। পুরসভার জল সরবরাহ করার কথা রয়েছে। জলের সংযোগ এখনও না হওয়ায় এখন ওই জল নিতে হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট অর্থ দিয়েই নিয়ম মেনে ওই জল নেওয়া হচ্ছে। তবে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক হলেও তাতে পানীয় জল নেই।
এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার রবিশঙ্কর দাস বলেন, পুরসভার পানীয় জলের ট্যাঙ্কার থেকে জল নিয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অন্যায় কাজ। বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব। নেতাজি আবাসনের ভিতরে এদিন সকালে পুরসভার পানীয় জলের ট্যাঙ্ক দেখেছিলাম। তবে তা যে নির্মাণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে এরকমটা জানতাম না। এই কাজে কাউন্সিলারের কোনও ভূমিকা নেই। তবে পুনরায় গিয়ে খতিয়ে দেখব। এরকমটা হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রতিবাদ করব। নির্মাণ কাজের জন্য নেতাজি আবাসন থেকে জলের সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। আবাসনের বাসিন্দারা বুঝতে ভুল করছেন।
এবিষয়ে জানতে এদিন পুরসভায় গিয়ে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান পুরসভার কাজে কলকাতায় রয়েছেন। তাঁকে ফোন করেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।